নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরী এম,পি বলেছেন, ইসলাম মানেই শান্তি। এই অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশে ইসলাম একমাত্র আওয়ামীলীগের কাছেই নিরাপদ। যারা ইসলামের কথা বলে দাঙ্গা হাঙ্গামা করে। তারা ইসলামের জন্য কিছুই করে নাই। জাতির পিতা শেখ মুজিব ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন । তাই আমরা আজকে বাংলায় তর্জমা সম্বলিত কুরআন ও হাদিসের ভাবার্থ বুঝতে পারছি এবং পড়তে পারছি। সেই ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে মসজিদ ভিত্তিক ইসলামিক শিক্ষা দেয়া হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মাদ্রাসা শিক্ষার স্বীকৃতি দিয়েছেন। টুঙ্গীর তুরাগ নদীর পাড়ে যে বিশ্ব ইজতেমা হয়, সেই বিশ্ব ইজতেমার জমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বরাদ্দ দিয়েছেন। তার যোগ্য উত্তরসূরী দেশরতœ জননেত্রী শেখ হাসিনা কওমী সাদ্রাসা শিক্ষার স্বীকৃতি দিয়েছেন। প্রায় ১০ লক্ষ মুসলিম রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছেন। দেশের ৫৬০ টি উপজেলায় মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন করেছেন। যারা আজকে ইসলামের কথা বলে তারা এদেশে ইসলামের জন্য কিছুই করেন নাই। তারা ইসলামের কথা বলে এদেশে জঙ্গীবাদ সন্ত্রাসবাদ কায়েম করেছিলো। ইসলামকে খাটো করে দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিলো। শেখ হাসিনা তাদের কালো থাবা থেকে এদেশকে উদ্ধার করে আলোর পথে নিয়ে এসেছে। আমরা দেখেছি বীন লাদেন, আইএস এসব জঙ্গী সংগঠন গুলির কারণে অনেক ইসলামি রাস্ট্র ধ্বংস হয়েছে। এখনো মুসিলম দেশ গুলিতে হামলা ও যুদ্ধ চলছে। এই জঙ্গী সংগঠন গুলির কারণে মুসলমান ও ইসলামের আর এক নাম আজকে আতংক হয়ে দাড়িছে। আমাদের পথ প্রদশক মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) আমাদের সে শিক্ষা দেন নাই। তিনি ইসলামের মাধ্যমে শান্তিরপথ ও আলোর পথ দেখিয়ে গেছেন। কোন ধর্ম বা কাউকে অন্যায় ভাবে আক্রমণ করা মানে ইসলাম নয়। তাই আমাদের সোচ্চার হতে হবে। এদেশে আর যেন কেউ ধর্মের নামে সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গীবাদ এবং জ্বালাও পড়াও করতে না পারে।
বুধবার সকালে দিনাজপুরের বিরল উপজেলা ৮নং ধর্মপুর ইউপি’র ধর্মজইন আলফালাহ মডেল মাদ্রাসার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে এক সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি রিয়াজুল ইসলামের সভাপতিতে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, বিরল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম মোস্তাফিজুর রহমান বাবু, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফছানা কাওছার উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র আলহাজ্ব সবুজার সিদ্দিক সাগর, সাধারণ সম্পাদক রমা কান্ত রায়, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন ও ধর্মপুর ইউপি শাখা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল মজিদ মাষ্টার প্রমুখ। প্রধান অথিতি এর আগে উপজেলার বোর্ডহাট হতে বর্ম্মপুর ভায়া শিবপুর সড়ক, ওয়াইএমসি পাথরঘাটা পুকুর হতে ফতেপুর মাদ্রাসা ভায়া চৌধুরী ডাঙ্গা স্কুল পর্যন্ত সড়ক, ভান্ডারা ইউপি অফিস হতে বহবলদিঘী হাট পর্যন্ত সড়ক, বহবলদিঘী হাট হতে কালয়াগঞ্জ হাট সংযোগ সড়ক ভায়া ছোট চৌপুকুরিয়া পর্যন্ত সড়ক, উপজেলা হেডকোয়াটার হতে শিকদারগঞ্জ জিসি ভায়া কালিয়াগঞ্জ হাট ও কামদেপুর হাট সড়কের ভিত্তিপ্রস্তর করেন। অনুষ্ঠানের পরে তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ মেখ হাসনিা কর্তৃক শুভ উদ্বোধনকৃত দিনাজপুর জেলার গৌরীপুর নামক স্থানে খোরা মৌসুমে সম্পুরক সেচ প্রদানের লক্ষ্যে পুনর্ভবা নদীর উপর সমন্বিত পানি নিয়ন্ত্রণ অবকাঠামো পরিদর্শণ, উপজেলার বিজোড়া হাজ্বীপাড়া হতে বৈদ্যনাথপুর মোড় ভায়া পলাশবাড়ী পর্যন্ত সড়ক, সিঙ্গুল হামিদ-হামিদা উচ্চ বিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি যাদু ঘরের সংযোগ সড়ক, সিঙ্গুল হতে গোবিন্দপুর ভায়া শ্যামপুর সড়ক, গোবিন্দপুর হতে লক্ষীর হাট সড়ক, ধামইড় ইউপি হেডকোয়াটার হতে তারগাঁও ইউপি পর্যন্ত সড়কের ভিত্তিপ্রস্তর করেন। শেষে তিনি চৌরঙ্গী হাটের নব নির্মিত বহুতল ভবনের শুভ উদ্বোধন করে এক সুধী সমাবেশে প্রদান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন।