লক্ষ্মীপুরে স্কুলছাত্রকে গুলি করে হত্যা, ৬ জনের যাবজ্জীবন
০৯ নভেম্বর ২০২৩, ০৩:১৭ পিএম | আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০২৩, ০৩:১৭ পিএম
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জে মো. রবিউল আউয়াল শিমুল (১৪) নামে এক স্কুলছাত্রকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম ৬ আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) জসিমউদ্দিন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রায়ের সময় শুধুমাত্র ইলিয়াস আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকিরা পলাতক।
ভিকটিম শিমুল চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক ও থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক কাজী মামুনুর রশীদ বাবলুর ভাগিনা। মামার সঙ্গে রাজনৈতিক বিরোধের জেরে ভাগিনাকে হত্যা করা হয়।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের বশিকপুর গ্রামের মাসুদুর রহমান ওরফে কালা মাসুদ (৩২), দিঘলী ইউনিয়নের উত্তর জামিরতলী গ্রামের নুর মোহাম্মদ লিটন (৩৮), গোবিন্দখিল গ্রামের শাহরিয়ার রাশেদ ওরফে লন্ডনি রাশেদ (৩৩), চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের ইলিয়াছ (৩৫), পশ্চিম লতিফপুর গ্রামের সাদ্দাম (৩১) ও একই এলাকার পশ্চিম লতিফপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেন সাদ্দাম ওরফে বিড়ি সাদ্দাম (৩১)। তারা সবাই সন্ত্রাসী জিসান বাহিনীর সক্রিয় সদস্য ছিলো। অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় এ মামলায় বেকসুর খালাস পেয়েছেন চন্দ্রগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক তাজুল ইসলাম (৩১)।
মামলার এজাহার সূত্র জানায়, ২০১৪ সালের ২১ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টার দিকে বন্দুকধারী সন্ত্রাসীরা রবিউল আউয়াল শিমুলকে তার নানার বাড়ি থেকে চন্দ্রগঞ্জের দেওপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠের পাশে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে মরদেহ ফেলে যান। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় শিমুলের মামা কাজী মামুনুর রশিদ বাবলু বাদী হয়ে ৫ মে লক্ষ্মীপুর সদর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, হত্যা মামলাটি প্রথমে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) তদন্ত করে ২০১৬ সালের ১০ আগস্ট আদালতে প্রতিবেদন দেয়। এতে চারজনকে অভিযুক্ত করা হয়। পরে তদন্ত প্রতিবেদনের ব্যাপারে আলাদতে নারাজি দেন বাদী। এরপর মামলাটি নোয়াখালী পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত করে। তদন্তে সাতজন আসামিকে অভিযুক্ত করে ২০২০ সালের ৪ মার্চ আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন পিবিআই নোয়াখালীর সে সময়ের পুলিশ পরিদর্শক মো. আনোয়ার উল ইসলাম৷
তদন্তে উল্লেখ করা হয়, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা কাজী মামুনুর রশিদ বাবলুর সঙ্গে চন্দ্রগঞ্জের ওই সময়ের শীর্ষ সন্ত্রাসী যুবদল নেতা জিসানের বিরোধ ছিল। এ বিরোধকে কেন্দ্র করে ২০১৪ সালের ২১ এপ্রিল রাতে জিসান বাহিনী বাবলুর বাড়িতে হানা দেয়। এসময় শিমুল তার মা পেয়ারা বেগমের সঙ্গে নানার ঘরে বসে নাস্তা করছিলেন। সন্ত্রাসীদের উপস্থিতি টের পেয়ে শিমুল দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
রোমাঞ্চকর ম্যাচে বার্সাকে হারিয়ে শীর্ষে আতলেটিকো
জেসুসের জোড়া গোলের রাতে আর্সেনালের বড় জয়
বিলুপ্তির পথে মাটির ঘর
চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
প্রতিবন্ধী স্কুল শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ
কেরু চিনিকলে আখ মাড়াই মৌসুমের উদ্বোধন
বিহারিরা কেমন আছে
লক্ষ্মীপুরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি
আসাদ সরকারের পতন : নতুন সিরিয়ায় ইসরাইলি আগ্রাসন
মেটলাইফ বাংলাদেশের গ্রাহকরা ডিসকাউন্ট পাবেন ওশান প্যারাডাইস হোটেলস ও রিসোর্টে
১৫ নারী ও শিশুকে হস্তান্তর
আবাসন ও গার্মেন্ট খাতের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে
মেহেরপুরে বেড়েছে গরম কাপড় বিক্রি
কাশিয়ানীর হাট-বাজার নিষিদ্ধ পলিথিনে সয়লাব
অ্যানুয়াল বিজনেস কন্টিনিউয়িটি প্ল্যান ড্রিল ২০২৪ আয়োজন করলো ব্র্যাক ব্যাংক
সমস্যায় জর্জরিত আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
সবুজ গালিচায় হলুদের সমারোহ
আখাউড়ায় ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের মেধা বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
নিউ ইয়র্কের আদালতে অভিযুক্ত লুইজি
কিউবায় সমাবেশ