রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে অভ্যন্তরীন কোন্দল ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ইউপি সদস্য ও আওয়ামীলীগ নেতা আইয়ুব আলীকে খানকে (৪৭) কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা করে দূর্বৃত্তরা।

গুরুতর অবস্হায় তাকে ঢাকার সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

এ ঘটনায় আইয়ুব আলীর ভাতিজা জাকির খা বৃহস্পতিবার রাতে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো ৫/৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ শান্ত গাজী (১৯) এবং হারেজ শেখ (৩২) নামের এজাহারভুক্ত দুই আসামীকে গ্রেফতার করেছে।এরা দুইজনই স্হানীয় বাসিন্দা। শুক্রবার দুপুরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে রাজবাড়ীর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ ও স্হানীয় সূত্রে জানা গেছে,আইয়ুব আলী উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নং ওয়ার্ডের সদস্য ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সহসভাপতি। সেই সাথে তিনি দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর একজন প্রভাবশালী বাড়ীওয়ালা।

যৌনপল্লীর অভ্যন্তরে প্রভাব বিস্তার ও দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় বালির ব্যাবসা নিয়ন্ত্রন নিয়ে স্হানীয় ভাবে একটি গ্রুপের সাথে বেশ কিছুদিন ধরে তার দ্বন্দ্ব চলছিল।

বৃহস্পতিবার দিনগত রাত আড়াইটার দিকে যৌনপল্লীর একটি বাড়িতে অবস্হানকালীন সময়ে দূর্বৃত্তরা তার উপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। এ সময় তারা আইয়ুবকে এলোপাথারি কুপিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে ফেলে যায়।
এ সময় আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে দূবৃত্তরা পালিয়ে যায়।

খবর পেয়ে থানা পুলিশের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্হলে পৌছে আইয়ুব আলীকে উদ্ধার করে। এরপর তাকে প্রথমে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরবর্তিতে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন স্বজনরা।

আইয়ুব আলী মুঠোফোনে দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, তার ওয়ার্ডে মেম্বার নির্বাচন করতে ইচ্ছুক ইয়াসিন নামের এক যুবক তাকে হত্যা করে পথের বাঁধা দূর করতে চায়। তার নেতৃত্ত্বেই এ হামলা হয়েছে।

গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি স্বপন কুমার মজুমদার বলেন, পূর্ব শত্রুতা ও অভ্যন্তরীন কোন্দলের কারনে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ইতিমধ্যে দুইজন এজাহারভুক্ত আসামিকে আমরা গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়েছি। অপর আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।