লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলার বড়খেরী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি সংলগ্ন বেড়ি বাঁধের পাশে প্রায় ৫০টি নৌকাতে বেদে (মানতা) সম্প্রদায়ের ২ শতাধিক নারী-পুরুষ ও শিশুর বসবাস। নৌকা শুধু তাদের বাসস্থান নয়, আয়েরও উৎস। নৌকা দিয়ে মেঘনায় মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন তারা। শুক্রবারে মিধিলি'র তান্ডবে তাদের প্রায় ২৫টি নৌকা মেঘনায় ভেসে যায়, যে নৌকা গুলো রয়েছে সে গুলোর অধিকাংশই ভেঙে গেছে।

বেদে সম্প্রদায়ের লোকজনের বাসস্থান ও কর্মসংস্থানের একমাত্র অবলম্বন নৌকা ও নৌকায় থাকা সহায়-সম্বল হারিয়ে তার এখন নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। পরিবার পরিজন নিয়ে কোথায় থাকবেন সে চিন্তাই এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছে।

ঝড়ে নৌকা হারানো বেদে সম্প্রদায়ের সকিনা, নুরী, কমেলা, ফরিদা বেগম, রমজানসহ বেশ কয়েকজন নারী-পুরুষ বলেন, নৌকার মধ্যেই আমাদের জন্ম-বিয়ে, থাকা-খাওয়া। এখন সব শেষ। কী করব, কোথায় যাব, কিছুই বুঝতে পারছি না। কিছু খাওয়ার টাকাও নেই, থাকার জায়গাটুকুও নেই। নতুন নৌকা বানানোর টাকাও নেই, কীভাবে চলব? যেটুকু অর্থ ছিল, তা নদীতে ভেসে গেছে। এখন আমাদের দেখবে কে?

চরগাজী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান তাওহীদুল ইসলাম সুমন বলেন, ভাসমান জেলেরা নদীর তীরে ছোট ছোট নৌকাতে বসবাস করেন। পাশাপাশি মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন। ঝড়ের তাণ্ডবে বেশ কিছু নৌকা ডুবে গেছে, আবার বেশ কিছু নৌকা ভেঙে গেছে। সবমিলিয়ে ওই এলাকায় অর্ধশতাধিক নৌকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ আমজাদ হোসেন বলেন, তালিকা করে ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারি সহায়তা দেওয়া হবে। ভাসমান বেদে জেলেদের একটি স্কুল ঘরে থাকার জন্য বলা হয়েছে।