সাতক্ষীরার আশাশুনিতে ইটের আঘাতে সহকর্মী নিহত হয়েছেন।
নারী ঘটিত বিষয়কে কেন্দ্র করে ইটভাটা শ্রমিক আব্দুল কুদ্দুস সহকর্মী আরিফুল ইসলাম শেখের (৩০) মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে। এতে মারাত্মক আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (৬ ডিসেম্বর) ভোরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন আরিফুল শেখ। এঘটনায় নিহতের ভাই আশরাফুল ইসলাম বাদী হয়ে কুদ্দুসকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
নিহত আরিফুল কালিগঞ্জ উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের নুর ইসলাম শেখের ছেলে।

স্থানীয় বাসিন্দা বড়দল গ্রামের আব্দুল হাকিম জানান, আব্দুল কুদ্দুস ও আরিফুল ইসলাম দুজনেই আশাশুনি উপজেলার বড়দল গ্রামের আব্দুল কাদেরের ইটের ভাটায় শ্রমিকের কাজ করে। গত সোমবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে কুদ্দুস ইট দিয়ে আরিফুলের মাথায় সজোরে আঘাত করে। এতে আরিফুল গুরুতর আহত হয়। আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হতে থাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার ভোর রাতে আরিফুল মারা যায়।

আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিশ্বজিৎ অধিকারী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নারী ঘটিত একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে কুদ্দুস ইট দিয়ে আরিফুলের মাথায় সজোরে আঘাত করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়েছে।
তিনি আরো জানান, এঘটনায় নিহতের ভাই আশরাফুল ইসলাম বাদী হয়ে আব্দুল কুদ্দুসকে আসামি করে আশাশুনি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।