কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় মিগজাউমের প্রভাবে আমন ধানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসে হেলে পড়েছে আমন ধানের গাছ। এতে জমিতে জমে থাকা পানিতে নষ্ট হচ্ছে পাকা ধান। আমন ধানের ক্ষতিতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকেরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, এখন আমন ধান কাটার সময়। বৃষ্টির প্রভাবে অনেক নিচু জমিতে জমে আছে পানি। পানির মধ্যে হেলে পরে আছে ধান গাছ। বিশেষ করে গাছপালা সংলগ্ন জমিতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক ক্ষেতেই পাকা ধান ভেঙে পড়েছে।

সাহেবাবাদ ইউনিয়নের ছাতিয়ানি গ্রামের কৃষক আলী আকবর জানান, আমি ২ কানি( ১২০ শতক) জমিতে আমন ধান রোপন করেছি। এখন ধান কাটার সময়। কিন্তু বৃষ্টি ও বাতাসের কারণে জমির সব ধান গাছ পানির সাথে মিশে থাকায় ধান নষ্ট হচ্ছে।

চান্দলা ইউনিয়নে বাড়ানি গ্রামের কৃষক মানিক মিয়া বলেন, আমি এ বছর ৩০ শতক জমিতে আমন ধান করেছি। ধান এখনো ভাল ভাবে পাকেনি। জমিতে পানি জমে আছে। পানি না কমলে এ শীতে ধান কাটা সম্ভব হবেনা। মনে হয় এবছর খরচের টাকা উঠবেনা।

এছাড়া ঘুর্ণিঝর মিগজাউমের বৃষ্টির প্রভাবে শীতকালীন রবি শষ্যের ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বোরো ধান, গম, ভুট্টা, আলু, পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ, শীতকালীন সবজিসহ বিভিন্ন ধরনের ডাল ও তেলবীজ উৎপাদন হয় মৌসুমটিতে। শীতকালে কম বৃষ্টিপাত ও তাপমাত্রা এসব ফসল উৎপাদনে বড় ভূমিকা রাখে। কিন্তু এ অকাল বৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা কৃষি অফিসার মাসুদ রানা বলেন ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা এই বছর আমন ধানের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫৪২৯ হেক্টর। অর্জিত হয়েছে ৫৪৩০ হেক্টর। এছাড়া যে সকল জমিতে ঘূর্ণিঝড়ের মিগজাউমের প্রভাবে ক্ষতির আশঙ্কা ছিল তা আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং পানি নিষ্কাশনের কারণে ক্ষয়ক্ষতি তেমন হবেনা।