রাজনৈতিক কর্মসূচি বন্ধের সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে : পীর সাহেব চরমোনাই
১৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৬:৪৭ পিএম | আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৬:৪৭ পিএম
রাজনৈতিক কর্মসূচি বন্ধের সিদ্ধান্তে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই। এক বিবৃতিতে পীর সাহেব বলেন, ১৮ ডিসেম্বর থেকে জাতীয় নির্বাচনের ভোট গ্রহণের আগপর্যন্ত কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি আয়োজনের অনুমতি না দিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সেই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর বলেন, গণতান্ত্রিক দেশে এধরণের সিদ্ধান্ত মেনে নেয়া যায় না। মানুষের প্রতিবাদের ভাষা কেড়ে নেয়ার এই চক্রান্ত প্রত্যাহার করতে হবে।
তিনি বলেন, মতপ্রকাশের অধিকারকে রুদ্ধ করার এই অশুভ উদ্যোগ বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক, অর্থনীতিক ও কূটনীতিক সংকটকে আরও ঘনীভূত করবে। পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, বিরোধী দলবিহীন প্রহসনের ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের নামে ভাগ-বাঁটোয়ারার মাধ্যমে ডামি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ১৮ ডিসেম্বর থেকে জাতীয় নির্বাচনের ভোট গ্রহণের আগপর্যন্ত কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি আয়োজনের অনুমতি না দেয়ার দলবাজ ইসির আবেদন আমলে নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নিষেধাজ্ঞা দেশে সঙ্কটকে আরো প্রকট করে তুলবে। পাতানোর নির্বাচনকে বৈধতা দিতেই অথর্ব ও অযোগ্য নির্বাচন কমিশন জনবিদ্বেষী সিদ্ধান্তটি নিয়েছে। এর ফলে নির্বাচন কমিশনের দলান্ধতা প্রকাশ পেয়েছে।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, জনগণের মুক্তি ও স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষাকে দমিয়ে রাখতে দুঃশাসন, দুর্নীতি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অসহনীয় মূল্যবৃদ্ধিতে মানুষের ভয়াবহ দুর্গতির মধ্যে নীলনকশার এই অন্যায় পদক্ষেপকে গণমানুষ ঘৃণাভরে ধিক্কার জানাচ্ছে। ইতিপূর্বে নামসর্বস্ব রাজনৈতিক দলকে নিবন্ধন এবং ভুয়া প্রতিষ্ঠানকে নির্বাচনী পর্যবেক্ষক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে ফ্যাসিস্ট সরকারের নির্দেশনা প্রতিপালন করেছে মেরুদণ্ডহীন নির্বাচন কমিশন।
তিনি বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশনও ২০১৪ সালের ভোটারবিহীন প্রহসন বা ২০১৮ সালের নিশিরাতের ভোটপ্রদান-এর মত আরো একটি প্রহসনের নির্বাচনের আয়োজন করছে। জনগণ পরিকল্পিত ভাগ-বাঁটোয়ারার নির্বাচনকে বর্জন করেছে। ১২ কোটি ভোটারের ভোটের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে নির্বাচনকালীন জাতীয় সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনই দেশের চলমান সঙ্কট থেকে জাতিকে মুক্তি দিতে পারে। এজন্য আমরা তিনটি প্রস্তাবনা দিয়েছি। এই প্রস্তাবনা মেনে নিয়ে দ্রুত নির্বাচন কমিশন থেকে পদত্যাগ করুন।
তিন প্রস্তাব হলো : ১. বিতর্কিত নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ঘোষিত একতরফা তফসিল বাতিল করে গ্রেফতারকৃত বিরোধী দলীয় রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের মুক্তি দিয়ে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরী করতে হবে। ২. বর্তমান বিতর্কিত পার্লামেন্ট ভেঙ্গে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। ৩. কার্যকরী সংসদ, রাজনৈতিক সংহতি এবং শতভাগ জনমতের প্রতিফলনের জন্যপিআর (চজ)বা সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচন’ই অধিকতর উত্তম পদ্ধতি; যা বিশ্বে স্বীকৃতি লাভ করেছে তা প্রবর্তন করতে হবে।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
চুয়াডাঙ্গার আন্দুলবাড়ীয়া বালিকা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ডিজিটাল ডিসপ্লেতে ভেসে উঠল‘আ.লীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে’
জন্মভিটায় গিয়ে অদ্বৈতের প্রতি শ্রদ্ধা
বিপিএল টি- ২০ উপলক্ষে সমন্বয় সভা করলো বিসিবি
৫৫ দিনের তারুণ্য উৎসবে শত আয়োজন
৫ সমন্বয়কের ফেসবুক আইডিতে আক্রমণ, নেপথ্যে জানা গেল যাদের নাম
এক বছরে ১৫০ কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ, আটক ৮৬
ভারত থেকে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের সময় বেনাপোল সীমান্তে আটক ৭
মতলব দক্ষিণে ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত
৫৭৫ কোটি টাকা মুনাফা করেছে রূপালী ব্যাংক
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের যোদ্ধাদের জন্য হেলথকার্ড বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন
ঢাবি দাবা প্রতিযোগিতা শুরু
জোকোভিচ-কিরগিওস জুটির বিদায়
গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের তালিকাভুক্তির সময় বাড়ল
হাসিনার বিরুদ্ধে সিনেমা করে হুমকির মুখে তিশা
ডুয়েটে টেকনিক্যাল সেমিনার ও কর্মশালা অনুষ্ঠিত
প্রতিদিনের বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হলেন মোরছালীন বাবলা
‘লেখাপড়া না করে দেশ শাসন করতে গেলে আ.লীগের মতো ভুল করার আশঙ্কা রয়েছে’
বিরলে অবৈধ সুদ ও মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
বিরলে বুরো বাংলাদেশের আয়োজনে শীতবস্ত্র বিতরণ
বিরল প্রেস ক্লাবে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত