বরিশাল-২ আসনে নৌকার প্রার্থী রাশেদ খান মেননের সামনে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে তিনজন আহত হয়েছেন।

গতকাল সোমবার বিকালে বানারীপাড়া পৌর এলাকায় আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন বানারীপাড়া থানার ওসি মাইনুল ইসলাম।

আহতরা হলেন- বানারীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুব্রত লাল কুণ্ড, সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল হুদা এবং জুয়েল হাওলাদার।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগে সংসদ সদস্য শাহে আলম এবং জেলা সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুসের অনুসারী রয়েছে। বরিশাল-২ আসনে প্রথমে ইউনুস মনোনয়ন পেলে শাহে আলমের অনুসারীরা নিষ্ক্রিয় হয়ে যান।

পরে ইউনুসের পরিবর্তে এ আসনে ১৪ দলীয় জোটের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি মেননকে মনোনয়ন দেওয়া হলে শাহে আলমের অনুসারীরা সক্রিয় হন। বিকালে তারা দলীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করতে চাইলে ইউনুসের অনুসারীরা বাধা দেন। তখন দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারি ঘটনা ঘটে।

আহত ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল হুদা বলেন, “নৌকার প্রার্থী রাশেদ খান মেনন বানারীপাড়ায় এলে তাকে ডাক বাংলো মোড়ে অভ্যর্থনা জানিয়ে দলীয় কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক এবং সাধারণ সম্পাদক মাওলাদ হোসেন সানার কর্মীরা আমাদের বাধা দেন।

‘এক পর্যায়ে দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও মারধরের ঘটনা ঘটে। এতে আমিসহ তিনজন আহত হই। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে।’

হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে মাওলাদ হোসেন সানা বলেন, ‘আমরা প্রার্থীকে নিয়ে দলীয় কার্যালয়ে সভা করছিলাম। এ সময় কার্যালয়ের বাইরে ঝামেলা হয়েছে শুনেছি। কারা ছিল আমি জানি না।’

আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হাতাহাতির খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে বলে জানিয়েছেন ওসি মাইনুল।