ভোটকেন্দ্রে যাতে ভোটাররা নিরাপদে পৌঁছতে পারে সে জন্য আমরা নির্বাচনে ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি করে দিব। আজ বিকেলে ফেনীতে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আনিছুর রহমান।
তিনি বলেন, ভোটারদের কেন্দ্রে আনার দায়িত্ব প্রার্থীদের তাদের দলীয় নেতাকর্মীদের। কেন্দ্রে ভোটার যতো বেশি আসবে তত বেশি সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হবে বলে আমরা মনে করি।
ইসি আনিছুর রহমান বলেন,ভোটকে শুধু আমরা সুষ্ঠু বললে হবে না, বহির্বিশ্ব আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। ভালো ভোট না হলে কিন্তু আমাদের ভবিষ্যৎ খুব একটা ভালো না। আমি অনেক জায়গায় বলেছি যে ভালো ভোট না করে আপনি এমপি হলেন, কিন্তু এমপি হিসেবে আপনি কিছু করতে পারবেন না। তারপরে সরকার গঠন হবে, সরকার গঠন হিসেবে যদি বহির্বিশ্ব আমাদের ওপর বিভিন্ন রকমের বিধি নিষেধ আরোপ করবেন। তখন আমরা সুখে থাকবো না। ভোট সুষ্ঠু,সুন্দর, অবাধ করা ছাড়া আমাদের কোনো উপায় নেই।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা নিরপেক্ষভাবে কাজ করছি। আগামী এক সপ্তাহে অনেক কিছুই ঘটবে। অপেক্ষা করুন। এবারের ভোটে সর্বোচ্চ সংখ্যক বিদেশি পর্যবেক্ষক আসবে। কোনো সন্দেহ নেই ভোট নিরপেক্ষ হবে।’
এর আগে দুপুরে ফেনী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ফেনীর ৩টি আসনের প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
আনিছুর রহমান বলেন, আগামী ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারী পর্যন্ত সেনাবাহিনী,বিজিবি সহ সকল বাহিনী মাঠে থাকবে। আমরা ইতিমধ্যে কিছু ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র ও ভালো কেন্দ্রগুলো চিহ্নিত করেছি। এসব কেন্দ্রে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। তিনি বলেন,নির্বাচন উপলক্ষে সারা দেশে ৭ লক্ষাধিক ফোর্স নিয়োজিত থাকবে। নির্বাচনের আগের দিন কেন্দ্রে ব্যালট পেপার যাবে না। ভোটের দিন সকালে যাবে। তবে কিছু দুর্ঘম পাহাড়িয়া অঞ্চল, চরাঞ্চল,দীপাঞ্চল আছে সেগুলোতে আগেরদিন ব্যালট পেপার দেয়া হবে। কারন সেসব অঞ্চলে দুরত্ব বেশি থাকায় ব্যালট পেপার পৌঁছানো কষ্টকর। কিন্তু সেগুলোর সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফেনী জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার, পুলিশ সুপার জাকির হাসান, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রেজাউল করিমসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।