ঢাকা   রোববার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৭ আশ্বিন ১৪৩১

নৌকা এদেশের আপামর জনগণের ভাগ্য উন্নয়নের মার্কা : মমতাজ

Daily Inqilab হরিরামপুর (মানিকগঞ্জ) থেকে স্টাফ রিপোটার

২১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০৪ এএম

 


দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তারকা আসন খ্যাত ১৬৯, মানিকগঞ্জ-২ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত দলীয় নৌকা প্রতীক প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য সিংগাইর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেশ বরেণ্য কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম বলেছেন, নৌকা মার্কায় কেন ভোট দিবেন? কারণ নৌকা মার্কা আওয়ামী লীগের মার্কা, নৌকা মার্কা শেখ হাসিনার মার্কা, নৌকা এদেশের আপামর জনগণের ভাগ্য উন্নয়নের মার্কা। । আর সেই মার্কাটাই আমাকে দিয়েছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। আমি অনেক দিন ধরেই উন্নয়নমূলক কাজ করছি। আপনারা জানেন আমাকে দিয়ে কোনো কাজে কোনো দিনই পার্সেন্টেজ খাওয়াইতে পারে নাই। আমাকে দিয়ে চাকরির নামে কোনো দিন টাকা খাওয়াইতে পারে নাই। আমাকে দিয়া দুই নাম্বারি করাইতে পারে নাই। আমাকে দিয়ে মানুষের হক আত্মসাৎ করাইতে পারে নাই। পারে নাই দেখে দুই চারজন আবার আমার ওপর বেজার হইছে। তাই আমাকে বাদ দিয়ে নতুন কোনো পয়সাওয়ালা আইন্যা তার পেছনে যাই তাহলে নগদ ক্যাশও পামু, দালালী বাটপারি কইরা পয়সা কামামু। এই ধান্দা করে একদল আমাদের মধ্য থেকে তাকে গ্রুপিং করে তারা ছুটে গেছে। সারাদেশের মানুষ তা এখন জেনে গেছে। সর্বনিম্ন তিন হাজার/পাঁচ হাজার টাকা থেকে শুরু করে বড় বড় নেতারা লাখের ওপরেও বিক্রি হয়ে গেছে। আপনারা কি পাইছেন দুই চার হাজার টাকা? পান নাই। তাহলে আমি আপনাদের বলতে চাই, নৌকা মার্কা উন্নয়নের মার্কা, নৌকা মার্কা শেখ হাসিনার মার্কা, নৌকা মার্কা সততার মার্কা। নৌকা মার্কা আমার ন্যায় নিষ্ঠা, সততা ও পরিশ্রমের মার্কা। তাই আপনারা নৌকার সাথে থাকবেন।"
২০ ডিসেম্বর (বুধবার) বিকেলে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার লেমুবাড়ি হাইস্কুল মাঠে উপজেলার পুটাইল, হাটিপাড়া ও ভাড়ারিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে নির্বাচনী জনসভায় তিনি এ সব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আজ থেকে বিশ বছর আগে এই এলাকাকে দুর্গম এলাকা বলা হতো। এখন কিন্তু অবহেলিত বলার কেউ নেই। কারণ প্রত্যেকটা ইউনিয়নের মোড়ে মোড়ে গেলে গ্রামের ভেতরে ঢুকলে দেখা যায় সব জায়গায় এখন শহরের মতো হয়ে গেছে। এখন কোনো জায়গায় আর গ্রাম খুৃঁজে পাওয়া যায় না। শহরে যেমন সব কিছু পাওয়া যায়, এখন গ্রামেও কিন্তু সবই পাওয়া যায়। আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কিন্তু বলেছিলেন গ্রামকে শহর করা হবে। আজ কিন্তু আমরা তাই দেখতে পারছি। এখন গ্রাম কিন্তু শহরে পরিণত হয়েছে। আজ বালিরটেকের ব্রীজের কারণে কিন্তু হরিরামপুর, সিঙ্গাইর ও সদরের তিনটি ইউনিয়নের সাথে এক সেতু বন্ধন তৈরি গেছে।
মমতাজ বেগম বলেন, তৎকালীন বিএনপির আমলে বেগম খালেদা জিয়া এখানে এসে বালিরটেকের ব্রীজ করার কথা বলেছিলেন। তারা কিন্তু করেননি। আমি যখন নির্বাচনে আসি তখন কিন্তু এই ব্রীজের দাবি এই এলাকার জনগণের। আমি কিন্তু তা পূরণ করেছি। জননেত্রী শেখ হাসিনা কিন্তু আপনাদের দাবী পূরণণ করেছেন। এই এলাকায় আগে ছিল ঘুটঘুটে অন্ধকার। আজ এখানে শতভাগ বিদুৎ দেয়া হয়েছে। আজ হরিরামপুরের প্রধান সমস্যা ছিল পদ্মা ভাঙন। পদ্মা ভাঙন রোধে শেখ হাসিনা কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। আজ কিন্তু আগের মতো আর পদ্মা ভাঙন নেই। তাই উন্নয়নের ধারাবাহিকতাকে অব্যাহত রাখতে হলে শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নাই।
দলীয় বিদ্রোহীদের সম্পর্কে মমতাজ বলেন, আজ ফেসবুক খুললেই যারা নৌকার বিরোধীতা করছেন তাদের বক্তব্যে বলতে দেখা যায়, আমরাও আওয়ামী লীগ করি। আওয়ামী লীগ করলে তো তারা অন্য মার্কা নিয়ে আসতো না। নৌকার সাথেই থাকতো। ওই সব হলো বাওয়া আওয়ামী লীগ। আমরা কোনো বাওয়া আওয়ামী লীগের সাথে নাই। এই এলাকায় অনেক উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে। অনেক কাজ প্রক্রিয়াধীনও রয়েছে। এখন ছোটোখাটো কিছু কাজ বাকি আছে। এগুলো আমরাই করতে পারব ইনশাআল্লাহ। আপনারা নৌকার সাথে থাকবেন। শেখ হাসিনার সাথে থাকবেন। আগামীতে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে এমপি বানালে এবং শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনলে আপনাদের কোনো কাজই বাকি থাকবে না। আর যদি তা না বানান তাহলে শেখ হাসিনাই বলবেন, বালি বনে পানি ঢেলে কোনো লাভ নাই। তাই আমি আপনাদের অনুরোধ করে বলব, আপনাদের মধ্যে দুই চার জন লাখ লাখ টাকা পাইব। আপনাদের কি লাভ হইব? তাই নিজেদের ক্ষতি নিজেরা কইরেন না। এলাকার উন্নয়নকে অব্যাহত রাখতে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় আনতে হবে।
জনসভায় হরিরামপুর, সিংগাইর ও সদেরর তিনটি ইউনিয়নসহ জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


বিভাগ : বাংলাদেশ


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

শান্ত-সাকিবের সাবধানী শুরু

শান্ত-সাকিবের সাবধানী শুরু

ট্রাম্পের সঙ্গে আবারো মুখোমুখি হতে চ্যালেঞ্জ কমলার

ট্রাম্পের সঙ্গে আবারো মুখোমুখি হতে চ্যালেঞ্জ কমলার

পরিচারককে অপমান! মেয়েকে ‘শিক্ষা’ দিতে গিয়ে বিপাকে রণবীরের বোন

পরিচারককে অপমান! মেয়েকে ‘শিক্ষা’ দিতে গিয়ে বিপাকে রণবীরের বোন

হার্ট অ্যাটাক করেছেন মাহমুদুর রহমান মান্না, হাসপাতালে ভর্তি

হার্ট অ্যাটাক করেছেন মাহমুদুর রহমান মান্না, হাসপাতালে ভর্তি

দ্বিতীয় দিনের মতো সড়ক অবরোধে অচল তিন পার্বত্য জেলা

দ্বিতীয় দিনের মতো সড়ক অবরোধে অচল তিন পার্বত্য জেলা

যুক্তরাষ্ট্র পৌঁছে প্রথম দিনেই বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকে যে আলোচনা হলো মোদির

যুক্তরাষ্ট্র পৌঁছে প্রথম দিনেই বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকে যে আলোচনা হলো মোদির

পাগড়ি বিতর্কে সাফাই দিয়ে বিজেপিকে তোপ রাহুলের

পাগড়ি বিতর্কে সাফাই দিয়ে বিজেপিকে তোপ রাহুলের

ড. ইউনূসকে মার্কিন চার সিনেটরের চিঠি, যা জানা গেল

ড. ইউনূসকে মার্কিন চার সিনেটরের চিঠি, যা জানা গেল

পাকিস্তান সফরে যাচ্ছেন ড. জাকির নায়েক

পাকিস্তান সফরে যাচ্ছেন ড. জাকির নায়েক

খালেদা জিয়া মানসিকভাবে অনেক শক্ত : মুশফিকুল আনসারী

খালেদা জিয়া মানসিকভাবে অনেক শক্ত : মুশফিকুল আনসারী

স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার পর থানায় স্বামীর আত্মসমর্পণ

স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার পর থানায় স্বামীর আত্মসমর্পণ

বৈরুতে ইসরায়েলি হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৭

বৈরুতে ইসরায়েলি হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৭

গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতায় নিহত আরও শতাধিক ফিলিস্তিনি

গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতায় নিহত আরও শতাধিক ফিলিস্তিনি

শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এগিয়ে কুমারা দিসানায়েকে

শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এগিয়ে কুমারা দিসানায়েকে

ড. ইউনূস-জো বাইডেন বৈঠক হবে নিউইয়র্কে

ড. ইউনূস-জো বাইডেন বৈঠক হবে নিউইয়র্কে

ফ্রিজের ভেতর থেকে মিলল তরুণীর ৩০ টুকরা লাশ

ফ্রিজের ভেতর থেকে মিলল তরুণীর ৩০ টুকরা লাশ

খলিস্তানপন্থীদের সঙ্গে বৈঠকে মার্কিন কর্তারা, সফরের আগেই অস্বস্তিতে মোদি

খলিস্তানপন্থীদের সঙ্গে বৈঠকে মার্কিন কর্তারা, সফরের আগেই অস্বস্তিতে মোদি

আওয়ামী দুর্বৃত্তায়ন ও দুর্নীতি র আতুঁড়ঘর ‘পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক’

আওয়ামী দুর্বৃত্তায়ন ও দুর্নীতি র আতুঁড়ঘর ‘পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক’

বড় ব্যবধানে হেরে এএফসি বাছাই শুরু যুবাদের

বড় ব্যবধানে হেরে এএফসি বাছাই শুরু যুবাদের

যাত্রাবাড়ীতে ট্রাকের ধাক্কায় নিহত ১

যাত্রাবাড়ীতে ট্রাকের ধাক্কায় নিহত ১