ঘন কুয়াশার কারণে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া, আরিচা-কাজিরহাট ও ধাওয়াপাড়া-নাজিরগঞ্জ নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে মাঝ পদ্মায় আটকা পড়ছে ছোট-বড় ৭টি ফেরি; দুর্ভোগে পড়েছেন যানবাহনের শ্রমিক, ব্যবসায়ী ও যাত্রীরা।

গতকাল রাববার (২৪ ডিসেম্বর) রাত ১টার দিকে দুর্ঘটনা এড়াতে ওই তিন নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখেন কর্তৃপক্ষ। সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ৭টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়নি।

ঘাট কর্তৃপক্ষ জানান, রাত ১০টা থেকেই ওই তিনটি নৌ-রুটে কুয়াশা পড়তে শুরু করে। রাত ১টার দিকে কুয়াশার মাত্রা আরও ঘন হয়। এতে ফেরি চলাচলের মার্কিং পয়েন্ট ও বিকনবাতির কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। এ সময় দুর্ঘটনা এড়াতে রাতে নৌরুটগুলোতে ফেরি চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ ঘোষণা করেন কর্তৃপক্ষ।

এ সময় চলাচলরত ফেরি ‘বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান’, ‘বনলতা’, ‘রজনীগন্ধা’, ‘পরবি’, ‘খান জাহান আলী’, ‘ভাষা শহীদ বরকত’, ‘কেরামত আলী’ নামের সাতটি ফেরি মাঝ নদীতে আটকা পড়ে। এদিকে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় উভয় ঘাট এলাকায় শত শত যানবাহন আটকে আছে। এতে যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।

যাত্রী আলমাস মিয়া জানান, রাত ১২টা থেকে এখানে বসে আছি। ফেরি বন্ধ থাকায় তীব্র শীতে কষ্ট করছি।

রাহেলা খাতুন জানান, ছোট শিশু নিয়ে শীতের ভিতরে বসে থাকাটা খুব কষ্টের।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) শাহ মোহাম্মদ খালেদ নেওয়াজ জানান, কুয়াশার মধ্যে মাঝ নদীতে নোঙ্গর করে আছে সাতটি ফেরি। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশার মাত্রা কমে গেলে ফেরি চলাচল ফের স্বাভাবিক হবে।