পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় শনিবার ভোররাতে উপজেলার টিকিকাটা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড সূর্যমনি বাসাবাড়ি আওয়ামীলীগ ও কলার ছড়ি প্রতিকের কার্যালয়ে অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটেছে। পিরোজপুর-৩ (মঠবাড়িয়া) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের ডা. রুস্তম আলী ফরাজীর কর্মী সমর্থকরা ভূড়িভোজে ব্যার্থ হয়ে আ’লীগ অফিসে আগুন দিয়েছে বলে প্রতিদ্বন্ধী কলার ছড়ি প্রতিকের মো. শামিম শাহনেওয়াজের সমর্থকরা অভিযোগ করেছেন। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় কলার ছড়ি প্রতীক ও ঈগল প্রতীকের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানাযায়, শুক্রবার দিনগত রাতে উপজেলার টিকিকাটা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড সুর্য্যমনি বাসাবাড়ী এলাকায় ঈগল প্রতীকের নির্বাচনী সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভাশেষে ঈগলের কর্মী সমর্থকরা খিচুরি খাওয়ার আয়োজন করে। প্রশাসন টের পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে খিচুরি খাওয়া পন্ড করে দেয়। এঘটনার পর শনিবার ভোররাতে কে বা কারা আ’লীগ ও কলার ছড়ি প্রতিকের নির্বাচনী কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ ও আসবাবপত্র ভাংচুর করে। এতে কার্যালয়ের দরজাসহ আংশিক পুড়ে যায়। স্থানীয় চায়ের দোকানী বাসুদেব ওঝা জানান শনিবার ভোরে নিজের দোকানে যাবার পথে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে অগ্নিকান্ডের ঘটনা দেখে স্থানীয়দের খবর দেয়। পরে স্থানীয়দের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়।
এ ব্যাপারে টিকিকাটা ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী কলার ছড়ি প্রতীকের প্রধান সমন্বয়ক মোঃ রিপন মাতুব্বর অভিযোগ করেন, ঈগল প্রতীকের কর্মী সমর্থকরা নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে পথসভা শেষে মধ্যরাত অবধি মাইকে গান বাজনা প্রচারণা চালিয়ে ভুরি ভোজের আয়োজন করে। প্রশাসন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে তা পন্ড করে দেয়ায় ঈগলের কর্মী সমর্থকরা ক্ষুব্ধ হয়। পরে ভোররাতে ক্ষুব্ধ ঈগলের সমর্থকরা স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে অগ্নি সংযোগ করে।
ঈগল প্রতীকের টিকিকাটা ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড সমন্বয়কারী ও ইউপি সদস্য বাবুল হাওলাদার জানান, আওয়ামীলীগ অফিসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ঈগল প্রতীকের কর্মী সমর্থকরা জড়িত নয়। তবে নির্বাচনী পথসভা শেষে কর্মী সমর্থকদের জন্য রান্না বান্নার আয়োজন চলছিল তা প্রশাসন এসে বাধা দিলে আমরা বন্ধ করে যে যার মত বাড়িতে চলে যাই।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনী কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।