রামুতে একটি বৌদ্ধ মন্দিরে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। তবে এটি দুর্ঘটনা না, নাশকতা এনিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

আগামী কাল ৭ জানুয়ারী দেশে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সরকার ঘোষিত একতরফা জাতীয় সংসদ নির্বাচন। দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল এই নির্বাচন বর্জন করেছে। বিরোধী দলগুলো আজও আগামী কাল নির্বাচনের দিন হরতাল ডেকেছে। তারা দেশবাসীকে ভোটকেন্দ্রে না যেতে প্রচারণা চালাচ্ছে। এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে নাটকীয়ভাবে নাশকতা কার্যক্রম ঘটতে শুরু হয়েছে।

গতরাতে রামুর একটি প্রাচীন বৌদ্ধবিহারে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে ওই বিহারের সিঁড়ি ও দেয়ালে সাঁটা অনেক পুরানো কাঠ পুড়ে গেছে।

বৌদ্ধ বিহারের অবস্থানকারীরা জানান, শুক্রবার রাত তিনটার দিকে রামুর দেড়শত বছর পুরানো এই বিহারের মূল ফটকে কে বা কারা আগুন ধরিয়ে দেয়। তাদের শোর চিৎকারে লোকজন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

স্থানী এক ইউপি সদস্য বিষয়টি নাশকতা বলে উল্লেখ করে এর নিন্দা ও জড়িতদের শাস্তির দাবী জানিয়েছেন। নির্বাচনের আগে এই বিষয়টিকে ঘিরে রামুতে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

২০১২ সালেও রামু, উখিয়াও টেকনাফের বৌদ্ধ মন্দিরগুলোতে নাশকতার ঘটনা ঘটিয়েছিল দূর্বৃত্তরা। এতে হাজার হাজার নিরীহ মানুষের বিরুদ্ধে মামলা-মোকদ্দমা হয়েছিল। ওসব হয়রানীমুলক মামলা এখনো শেষ হয়নি।
এখন আবারো বৌদ্ধ মন্দিরে নাশকতা-অগ্নিকান্ডের ঘটনা রহস্যজনক ও ষড়যন্ত্রমুলক বলেই মনে করছেন রামুবাসী।