চকরিয়া-পেকুয়া আসনে এমপি জাফরের তান্ডবের জবাব দিতে ভোটাররা জে. ইব্রাহীম এর দিকে ঝু্ঁকছে বলে জানা গেছে।

(আগামী কাল) রাববার দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণের দিন। এই নির্বাচন বর্জন করেছে দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল। নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়ে টানা ৪৮ ঘন্টার হরতাল ডেকেছে বিরোধী দল। তারা ভোটারদের কেন্দ্রে না যেতে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

এই নির্বাচনে বিরোধী দলের কোন প্রার্থী না থাকলেও রয়েছে সরকারী দলের প্রার্থীর সাথে কিছু স্বতন্ত্র ও কয়েকটি ছোট রাজনৈতিক দলের প্রার্থী। কক্সবাজারের চকরিয়া-পেকুয়া আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় এমপি জাফর আলম এবার নৌকা না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন ট্রাক প্রতীক নিয়ে। তার প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান জে. ইব্রাহীম। সরকারী দল আওয়ামী লীগ জে. ইব্রাহীম এর পক্ষে মাঠে নেমেছেন আটঘাট বেঁধে।

জানা গেছে, নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারে কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়ায়) ইতিমধ্যে বিভিন্ন এলাকা থেকে সহস্রাধিক অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের ভাড়া করেছে স্বতন্ত্র প্রার্থী এমপি জাফর আলম। এসব সন্ত্রাসীদের চকরিয়া পেকুয়ার বিভিন্ন চিংড়ি ঘেরে জড়ো করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে জাফরের লালিত সন্ত্রাসীরা প্রতিপক্ষের লোকজন ও সাধারণ মানুষকে ভয় ভীতি দেখাচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে। কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান অব, মেজর জেনারেল সৈয়দ ইব্রাহিমের পক্ষে কাজ করার কারনে ৭০টি পরিবারের পানির মোটর খুলে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে এমপি জাফরের লোকজনের বিরুদ্ধে। তারা পুড়িয়ে দিয়েছে প্রতিপক্ষের
অনেক সমর্থকের ঘরবাড়িও। নির্বাচনে পারাজিত হলে দখলকৃত কয়েক হাজার একরের শতাধিক চিংড়ী ঘেরসহ রাজত্ব হারানোর ভয়ে মরণ কামড় দিতে চায় এমপি জাফর। এখানে তার শক্তি সন্ত্রাসী ও দখলবাজরা। ভোটের দিন এসব চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা ভোট কেন্দ্রে সন্ত্রাস করতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ভোটাররা।

সর্বশেষ মাঠ জরিপে জানা গেছে, জাফর বাহিনীর এসব তান্ডবের জবাব দিতে ভোটাররা জে. ইব্রাহীম এর দিকে ঝুঁকছেন।

আওয়ামী লীগ নেতা ও চকরিয়া পৌর মেয়র আলমগীর চৌধুরী ও চকরিয়া উপজেলার ফজলুল হক সাঈদী বলেন, এমপি জাফর তার পাঁচ বছরের শাসন আমলে চকরিয়া- পেকুয়া চোর ডাকাতের স্বর্গরাজ্য বানিয়ে ফেলেছেন। মানুষের কাছ থেকে শতাধিক চিংড়ি ঘের দখল করে নিয়েছেন ।মানুষের ভিটেমাটি দখল করে রেখেছেন। এখন নির্বাচন বানচাল করার জন্য তার লালিত ও ভাড়াটিয়া সহস্রাধিক সন্ত্রাসী জড়ো করেছেন। তারা নিরীহ মানুষকে হুমকি দিচ্ছেন। এর ফলে মানুষ জে. ইব্রাহীমকে সমর্থন করছেন।