ভোটারদের ব্যাপক বর্জন ও সরকারিদলের জবরদস্তির মাধ্যমে শেষ হয়েছে দ¦াদশ জাতীয় সংসদের ভোট গ্রহন। ভোট চলাকালে দু’জন স্বতন্ত্র প্রাথী নাজেহাল হয়েছেন সরকারিদলের উগ্র সমর্থকদের হাতে। জাল ভোট দিতে গিয়ে ধরা পড়েছে দু’জন। অনেকস্থানে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পোলিং এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া হরতাল সমর্থক ও নির্বাচন বিরোধিরা বেশ কয়েকটি কেন্দ্র ককটেল নিক্ষেপ করেছে।
ভোট চলাকালে বগুড়া সদর ৬ , বগুড়া ৭ (গাবতলি- শাজাহানপুর ) এবং বগুড়া ১ ( সারিয়াকান্দি - সোনাতলা ) এলাকার শতাধিক ভোট কেন্দ্রে সরাসরি পরিদর্শন করে দুপুর ২টা পর্যন্ত পাওয়া তথ্যে ৫/৭ শতাংশ ভোট পড়ার তথ্য মিলেছে । অনেক কেন্দ্রেই বেলা ১১ টা পর্যন্ত সময়ে ঘন্টায় ৪/৫ টা ভোট পড়ার তথ্য মিলেছে। বহুস্থানে প্রিসাইডিং অফিসাররা সাংবাদিকদের তথ্য সংগহে বাধা দিয়েছে বলে সাংবাদিকরা অভিযোগ করেছেন।
বেলা ১২টার দিকে বগুড়া সদরের ট্রাক প্রতীকধারী স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ আব্দুল মান্নান আকন্দ গোকুল তছলিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে তার এজেন্টদের বের করে দেওয়া হচ্ছে মর্মে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে প্রতিবাদ করায় একজন যুবলীগ নেতার নেতৃত্বে তার সমর্থকদের ওপর হামলা করে। হামলার শিকার হয়ে তিনি নির্বাচন কেন্দ্রের ভেতরে আশ্রয় নিয়ে অনলাইনে বক্তব্য দিয়ে পুরো ঘটনার বিবরণ তুলে ধরে প্রশাসনের কাছে প্রতিকার চান।
দুপুর দেড়টায় বগুড়া ১ সংসদীয় আসনের ঈগল প্রতীকধারী স্বতন্ত্র প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান শ্যামল সোনাতলা উপজেলার রানীরপাড়া কেন্দ্রে পরিদর্শনে গিয়ে সরকারি দলের প্রার্থীদের হামলা ও ধাওয়ার শিকার হন। বগুড়া সদরের ঈগল প্রতীকধারী স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ কবির আহম্মেদ মিঠুর নির্বাচন কেন্দ্রর বাইরের ক্যাম্পগুলোর কর্মিরা সরকারিদলের কর্মি সমর্থকদের হয়রানী ও জুলুমের শিকার হন । বগুড়া -৭ সংসদীয় আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সরকার বাদলের অভিযোগ বহু কেন্দ্রেই তার পোলিং এজেন্টদের ঢুঁকতেই দেওয়া হয়নি। তিনি এবিষয়ে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেও প্রতিকার পাননি। বগুড়ার সোনাতলায় জাল ভোটের অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতার করে সাজা দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত । তবে মিডিয়ার কাছে তাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি ।