জয়পুরহাটে ১ আসনে শামসুল আলম দুদু ও ২ আসনে আল মাহমুদ স্বপন নৌকা প্রতীকে বিজয়ী হয়েছেন

Daily Inqilab জয়পুরহাট জেলা সংবাদদাতা

০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:২৩ পিএম | আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:২৩ পিএম

আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের দুই প্রার্থী বিপুল ভোটের ব্যবধানে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।
রোববার (৭ জানুয়ারি) রাত ৯টায় সংশ্লিষ্ট উপজেলার সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও নির্বাহী অফিসার স্বাক্ষরিত চিঠিতে এসব তথ্য গেছে।সংশ্লিষ্টরা জানান, সদর ও পাঁচবিবি উপজেলা নিয়ে জয়পুরহাট-১ আসন গঠিত। এই আসনে ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তাদের মধ্যে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সামছুল আলম দুদু ৯৬ হাজার এক ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল আজিজ মোল্লা পেয়েছেন ৪৭ হাজার
৭৭৬ ভোট। এই আসনে ৪৮ হাজার ২২৫ ভোটের ব্যবধানের নৌকার প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।

 

আক্কেলপুর, ক্ষেতলাল ও কালাই উপজেলা নিয়ে গঠিত জয়পুরহাট-২ আসনে ৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এক লাখ ৫১ হাজার ১২৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম মাহফুজ চৌধুরী পেয়েছেন ৩২ হাজার ৫৪১ ভোট। এই আসনে এক লাখ ১৮ হাজার ভোটের ব্যবধানের প্রসঙ্গত, জয়পুরহাটের দুই আসনে মোট পাঁচটি উপজেলা. ও পাঁচটি পৌরসভা রয়েছে। আর ইউনিয়ন রয়েছে ৩২টি। মোট ভোটার সংখ্যা ৭ লাখ ৭৯ হাজার ৬৯৯ জন। পুরুষ ভোটার ৩ লাখ ৮৭ হাজার ৬৩৪ জন, নারী ভোটার ৩ লাখ ৯২ হাজার ৫৮ জন ও তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ৭ জন।

 

আসন ভিত্তিক ভোটার হিসাব করলে জয়পুরহাট-১ (সদর ও পাঁচবিবি) আসনে ৪ লাখ ৪৩ হাজার ৭২৭ জন এবং জয়পুরহাট-২ (আক্কেলপুর, ক্ষেতলাল ও কালাই) আসনে ৩ লাখ ৩৫ হাজার ৯৭২ জন ভোটার রয়েছে।
দুটি আসনে মোট ভোটকেন্দ্র ২৫৪টি। এর মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ১৮৯টি কেন্দ্রের তালিকা করা হয়েছিল।
কেন্দ্রগুলোতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের টিম, র‍্যাব, আনসার, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া ২০০ জন বিজিবি ও ২৮০ জন সেনাবাহিনী দুটি আসনের দায়িত্বে ছিল। প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।


বিভাগ : বাংলাদেশ


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

এনআরবিসি ব্যাংকে ‘ফরেন এক্সচেঞ্জ ও ফরেন ট্রেড’ বিষয়ে প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

এনআরবিসি ব্যাংকে ‘ফরেন এক্সচেঞ্জ ও ফরেন ট্রেড’ বিষয়ে প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে রাজনীতির বিস্তার বন্ধ না হলে দেশের ভবিষ্যৎ চরম হুমকির মুখে

শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে রাজনীতির বিস্তার বন্ধ না হলে দেশের ভবিষ্যৎ চরম হুমকির মুখে

বিএনপি থেকে পদত্যাগ করলেন আলোচিত অ্যাক্টিভিস্ট ড. ফয়জুল

বিএনপি থেকে পদত্যাগ করলেন আলোচিত অ্যাক্টিভিস্ট ড. ফয়জুল

মেয়েদের শিক্ষার বার্তা নিয়ে তানজানিয়ায় মালালার জন্মদিন উদযাপন

মেয়েদের শিক্ষার বার্তা নিয়ে তানজানিয়ায় মালালার জন্মদিন উদযাপন

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি নিহত

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি নিহত

এখনও ধাক্কা সামলে উঠতে পারিনি, তবে হাল ছাড়ছি না

এখনও ধাক্কা সামলে উঠতে পারিনি, তবে হাল ছাড়ছি না

কিশোরগঞ্জে এসএসসি পরীক্ষায় সাংবাদিক দম্পতির জিপিএ ৪.১১ প্রাপ্তি

কিশোরগঞ্জে এসএসসি পরীক্ষায় সাংবাদিক দম্পতির জিপিএ ৪.১১ প্রাপ্তি

মিডফোর্ডে ভাঙারি ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে হত্যার ঘটনায় দুই আসামি গ্রেফতার: র‍্যাবের একের পর এক অভিযান

মিডফোর্ডে ভাঙারি ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে হত্যার ঘটনায় দুই আসামি গ্রেফতার: র‍্যাবের একের পর এক অভিযান

কেউ সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি করলে তাদের বিএনপি করার অধিকার নেই: ব্যারিস্টার খোকন

কেউ সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি করলে তাদের বিএনপি করার অধিকার নেই: ব্যারিস্টার খোকন

আজ বিশেষ সেমিনার 'ভবিষ্যতের চলচ্চিত্র : বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট’

আজ বিশেষ সেমিনার 'ভবিষ্যতের চলচ্চিত্র : বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট’

এডাস্টে ‘ইংলিশ ফর ওয়ার্ক’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

এডাস্টে ‘ইংলিশ ফর ওয়ার্ক’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

ছেলের পরকীয়া ঠেকাতে মা ফোন করে বললেন—বিমানে বোমা আছে

ছেলের পরকীয়া ঠেকাতে মা ফোন করে বললেন—বিমানে বোমা আছে

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেন প্রেস সচিব

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেন প্রেস সচিব

মিটফোর্ডের সামনে হত্যার ঘটনায় জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে

মিটফোর্ডের সামনে হত্যার ঘটনায় জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে

বলিউডে আবেগের ঘাটতি রয়েছে— সঞ্জয় দত্ত

বলিউডে আবেগের ঘাটতি রয়েছে— সঞ্জয় দত্ত

সুনামগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফ'র গুলিতে নিহত এক বাংলাদেশী

সুনামগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফ'র গুলিতে নিহত এক বাংলাদেশী

গাজার যুদ্ধবিরতির আলোচনা অনিশ্চয়তার মুখে, ইসরায়েলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন

গাজার যুদ্ধবিরতির আলোচনা অনিশ্চয়তার মুখে, ইসরায়েলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন

ক্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ৭ দিন পর মালয়েশিয়া থেকে বাড়ি ফিরল রনির মরদেহ

ক্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ৭ দিন পর মালয়েশিয়া থেকে বাড়ি ফিরল রনির মরদেহ

সোহাগ হত্যার দায়ে টিটন গাজী নামে আরও একজনসহ মোট গ্রেপ্তার ৫

সোহাগ হত্যার দায়ে টিটন গাজী নামে আরও একজনসহ মোট গ্রেপ্তার ৫

পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতকারীদের হামলায় মার্কিন তরুণ নিহত

পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতকারীদের হামলায় মার্কিন তরুণ নিহত