র‌্যাবের মহাপরিচালক এম খুরশিদ হোসেন বলেছেন, বিশ্ব ইজতেমায় জঙ্গি হামলার কোন আশঙ্কা নেই। আমরা এ ব্যাপারে সজাগ রয়েছি।

বুধবার বেলা ১১ টায় টঙ্গীর তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমায় উপলক্ষে র‍্যাবের গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘বিশ্ব ইজতেমায় কোনো ধরনের জঙ্গি হামলার আশঙ্কা নেই। আমরা এ ব্যাপারে সজাগ রয়েছি। আমাদের গোয়েন্দা নজরদারি ও সাইবার পেট্রলিংয়ের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করেছি।’

র‌্যাবের মহাপরিচালক বলেন, ‘পুরো ইজতেমা ঘিরে ময়দানের পার্শ্ববর্তী এলাকাসমূহে নিয়মিত টহল জোরদার ও সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করতে পর্যাপ্ত সংখ্যক র‌্যাব সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। সামগ্রিকভাবে আসন্ন বিশ্ব ইজতেমায় নিরাপত্তা নিশ্চিতে র‌্যাব ফোর্সেস সদর দপ্তর র‌্যাব-১সহ অন্যান্য পাঁচটি ব্যাটালিয়ান দায়িত্বরত থাকবে। ইজতেমা এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা সার্বক্ষণিকভাবে মনিটরিং করতে কন্টোল রুম স্থাপন করা হয়েছে।

এ ছাড়া সদর দপ্তর থেকে সেন্ট্রাল কন্ট্রোলরুম থেকে মনিটরিং করা হচ্ছে। যেকোনো উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য র‌্যাবের স্পেশাল টিম, বোম ডিসপোজাল ইউনিট এবং পর্যাপ্ত স্ট্রাইকিং রিজার্ভ ফোর্স সার্বক্ষণিকভাবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।’

এ ছাড়াও র‌্যাবের হেলিকপ্টার পেট্রল প্রদান করা হবে। বিশ্ব ইজতেমায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সমগ্র ইজতেমা ময়দান ঘিরে র‌্যাবের অবজারভেশন পোস্ট স্থাপন করা হয়েছে। পর্যাপ্ত সংখ্যক সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে যাতে সার্বক্ষণিক ইজতেমা এলাকা পর্যবেক্ষণ করা যায়।’বিদেশি মুসল্লিদের নিরাপত্তা নিয়ে এম খুরশীদ হোসেন বলেন, ‘বিদেশি মুসল্লিদের বিদেশি খিত্তা এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে সতর্ক দৃষ্টি ও নজরদারি রাখা হয়েছে। ইজতেমামুখী যানবাহন ও যাত্রীদের তল্লাশির জন্য চেরাগআলী বাসস্ট্যান্ড, টঙ্গী-কালীগঞ্জ রোড, উত্তরা নর্থ টাওয়ারের সামনে ও আশুলিয়া কামারপাড়া এলাকায় নিয়মিত চেকপোস্ট স্থাপন করে তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।’

র‍্যাবের মহাপরিচালক আরো বলেন, ‘বিশ্ব ইজতেমাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাষ্ট্র ও ধর্ম বিরোধী অপপ্রচার এবং গুজব রোধে র‍্যাবের সাইবার মনিটরিং টিম অনলাইনে নজরদারি রাখছে। ইজতেমায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিনষ্ট করতে কোনো ব্যক্তি বা স্বার্থান্বেষী মহলের অপপ্রচার কঠোর হস্তে দমন করা হবে।