আহরন নিষিদ্ধকালীন সময়ে ভারত ও মায়ানমারের জেলেদের আমাদের নৌ সীমায় মাছ ধরায় সংকট বাড়ছে
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০১ পিএম | আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০১ পিএম
জলবায়ু পরিবর্তনের পাশাপাশি উজানে প্রবাহ নিয়ন্ত্রনে ক্রমাগত নাব্যতা সংকট বৃদ্ধি এবং অবাধে শিল্প ও মনুষ্য বর্জ্য অপসারনের ফলে বরিশাল সহ দক্ষিণাঞ্চল ও সংলগ্ন উপক’লভাগে ইলিশের বিচরন ক্রমাগত পূর্ব-দক্ষিণ উপক’লে সরে যাচ্ছে। সাথে আহরন নিষিদ্ধকালীন সময়ে বঙ্গোপসাগরে আমাদের সীমার অভ্যন্তরে ভারতীয় জেলেদের অবাধ মৎস্য আহরন মৎস্য সম্পদের ওপর আরো বিরূপ প্রভাব ফেলছে। অতি নিকট অতীতেও বরিশালের অভ্যন্তরীণ ও উপক’লভাগে যেখানে ৬৮-৭০ ভাগ ইলিশ আহরন হত, গত কয়েক মাসে তা প্রায় অর্ধেকের মত হ্রাস পেয়েছে। একইসাথে বিগত গ্রীস্ম মৌসুমে অতিরিক্ত তাপ প্রবাহ ও মূল বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির ব্যাপক ঘাটতির সাথে শীত মৌসুমে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের ৩-৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস পর্যন্ত হ্রাস পাবার কারণেও ইলিমের বিচরেনস্থল পরিবর্তন সহ জেলেরা নদ-নদী ও সাগর উপক’লে নামতে না পরায় ইলিশ আহরন অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে। এ দাবী মৎস্যজীবীদের। এমনকি খুব সহসাই ইলিশের অবাধ ও সুস্থ বিচরন সহ প্রজনন ক্ষেত্রে উন্নতি ঘটাতে না পারলে আগামীতে উৎপাদনেও বিরূপ প্রভাব সৃষ্টির আশংকার কথা বলেছেন একাধিক মৎস্য বিজ্ঞানী।
গত বছর ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিনের মূল প্রজনন মৌসুমের ২২ দিনের আহরন নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে দেশের ইলিশ প্রজন্মে আরো অন্তত ৪১ হাজার কোটি জাটকা যুক্ত হয়েছে বলে মনে করছেন মৎস্য গবেষনা ইনস্টিটিউট এর বিজ্ঞানীগন। যা পূর্ববর্তি বছরে ছিল ৪০ হাজার ২৭৬ কোটি। বিগত মূল প্রজনন কালীন সময়ে দক্ষিণাঞ্চলের অভ্যন্তরীণ ও উপক’লীয় প্রজনন এলাকায় ৫২.০৪ ভাগ মা ইলিশ ডিম ছাড়ে। যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় দশমিক ৫ ভাগ বেশী এবং আরো অন্তত ৩৫ ভাগ মা ইলিশ ডিম ছাড়ারত ছিল বলে গবেষনা ইনস্টিটিউট-এর মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ মৎস্য গবেষনা ইনস্টিটিউট এবং পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের গবেষকদের মতে, ইলিশ উৎপাদনের ক্রমবর্ধনশীল ধারায় এখনো খুব বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব না পরলেও ভবিষ্যতে বিরূপ পরিবেশ ও নানামুখি প্রাকৃতিক সমস্যা নেতিবাচক পরিস্থিতি তৈরী করতে পারে। তাদের মতে, মনুষ্য সৃষ্টি নানা কর্মকান্ডের সাথে স্বাভাবিক প্রাকৃতিক পরিবেশের পরিবর্তনে এবার ইলিশের বিচরন স্থলে নানামুখি বিরূপ প্রভাবে আবাস্থলের কিছুটা পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। দক্ষিণাঞ্চল সহ সংলগ্ন উপক’লভাগে এবার ইলিশের বিচরন কম থাকায় আহরনও কিছুটা কম লক্ষ্যনীয়। ফলে বাজারে সরবারহ ঘাটতির সাথে মূল্যও আকাশচুম্বি।
তবে এরমধ্যেও বিগত দূর্গা পুজার সময় বন্ধুত্বের নিদর্শন স্বরূপ ভারতে প্রায় ৪ হাজার টন ইলিশ রপ্তানী করা হয়েছে স্থানীয় বাজার দরের চেয়ে অনেকটাই কম মূল্যে। দেশের মানুষের জন্য সহনীয় মূল্যে ইলিশ সরবারহের লক্ষ্যে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশে বিগত প্রায় ১০ বছর ধরে ইলিশ রপ্তানী বন্ধ রয়েছে। কিন্তু অঅহরন হ্রাস সহ বাজারে যোগান কম থাকায় বরিশালের খুচরা বাজারে এখন সাড়ে ৮শ গ্রাম থেকে ১ কেজি সাইজের ইলিশ বিক্রী হচ্ছে সাড়ে ১২শ থেকে ১৪শ টাকা কেজি। এর পর থেকে সাইজ যত বড়, দামও তত বেশী। তবে গত ১ নভেম্বর থেকে জাটকা নিধনে নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও বরিশাল সহ সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলে জাটকার অবাধ বিপনন অব্যাহত রয়েছে।
মৎস্য বিজ্ঞানীদের মতে, এবার মূল বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টিপাতের ঘাটতি সহ জীব বৈচিত্রের নানা পরিবর্তনের সাথে হাইড্রো-মেট্রোলজিক্যাল সমস্যায় ইলিশের বিচরন ক্ষেত্র পরিবর্তন হচ্ছে। ইতোপূর্বে খেপুপাড়া, গলাচিপা, রাংগাবালী, মনপুরা,ঢালচর, চরকুকরী-মুকরি, চর কচ্ছপিয়া ও সংলগ্ন সাগর এলাকায় ইলিশের যে বিচরন ছিল, এবার তা অনেকটাই পূর্ব-দক্ষিনে সন্দ্বীপের দক্ষিন হয়ে টেকনাফ ও সেন্টমার্টিন এলাকায় সরে গেছে। তবে তাও অতীতের মত অফুরন্ত নয়। ধারনা করা হচ্ছে ইলিশ অনেকটাই গহীন সমুদ্রে চলে গেছে। এর পেছনে উজানে পানির প্রবাহ নিয়ন্ত্রনের সাথে সময়মত বৃষ্টিপাতের অভাবে পদ্মা-মেঘনা ও এর শাখা নদ-নদীগুলোতে প্রবাহ হ্রাস সহ পানির দুষনের মাত্রা বৃদ্ধির বিষয়টি কাজ করছে বলে মৎস্য বিজ্ঞানীগন মনে করছেন।
গত বছরের জানুয়ারী থেকে মার্চ পর্যন্ত বরিশাল সহ দক্ষিণাঞ্চলে কোন বৃষ্টি হয়নি। এপ্রিলে স্বাভাবিকের তুলনায় কিছু বেশী বৃষ্টি হলেও জুন-জুলাইতে তা ছিল স্বাভাবিকের কম। এমনকি ভরা বর্ষা মৌসুমের জুলাই মাসে বরিশালে বৃষ্টিপাতের পরিমান ছিল স্বাভাবিকের ৫৮% কম। কিন্তু আগস্টে ৮০% এবং সেপ্টেম্বরে প্রায় ১২% বেশী বৃষ্টি হয়েছে। এমনকি গত অক্টোবর ও নভেম্বরে স্বাভাবিকের প্রায় দেড়গুন বৃষ্টি হয়েছে বরিশাল সহ উপক’লভাগে।
মৎস্য গবেষনা ইনস্টিটিউট-এর মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আশরাফুল আলম জানান, চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনা ও ডাকাতিয়ার মোহনায় যে শ্রোত অতীতে ছিল বিগত বর্ষা মৌসুমে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের অভাব সহ উজানে প্রবাহ নিয়ন্ত্রনের ফলে তা লক্ষ্য করা যায়নি। উপরন্তু চাঁদপুর থেকে সাগর মোহনা পর্যন্ত দেড়শর’ও বেশী ডুবোচর সৃষ্টি হয়ে ইলিশের গতিপথ রুদ্ধ হচ্ছে। আবার যেখানে নদীর গভীরতা বেশী সেখানে নৌপথের মূল চ্যানেল হওয়ায় জেলেরা জাল ফেলতে পারছে না।
এমনকি শীত মৌসুমে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের প্রায় ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস নিচে নেমে যাবার সাথে লাগাতার মাঝারী থেকে ঘন কুয়াশায় জেলেরা সাগর ও নদ-নদীতে নামতে না পারায় সরবারহে ব্যাপক ঘাটতি সৃষ্টি হয়েছে। ড. আশরাফুল আলমের মতে, অতিমাত্রায় শিল্প ও মনুষ্য বর্জ্য অপসারনের ফলে নদ-নদীতে ইলিশের প্রধান খাবার ফাইটো প্লাঙ্কটন ও জু-প্লাঙ্কটনের ঘাটতি অতীতের যেকোন সময়ের তুলনায় এবার প্রকটাকার ধারন করেছে। যেখানে প্রতি লিটার পানিতে ফাইটো প্লাঙ্কটন ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার থাকার কথা, সেখানে তা দেড় হাজারের নিচে এবং জিও প্লাঙ্কটন ১৫শর স্থলে কোন কোন নদীতে ২-৩শতে নেমে এসেছে। ফলে খাবারের অভাবেও ইলিশ সাগরের উপক’ল অতিক্রম করে অভ্যন্তরীণ নদ-নদীতে আসছেনা। মৎস্য বিজ্ঞানীদের মতে, সীমান্তের ওপর সহ উজানের সব নদ-নদীর প্রায় ৭০ ভাগ পানি মেঘনা ও এর শাখা নদী নদী দিয়ে বঙ্গোপসাগরে প্রবাহিত হয়। কিন্ত সীমান্তের ওপারে নিয়ন্ত্রনে প্রবাহ যেমনি বাধা গ্রস্থ হচ্ছে, তেমনি শিল্প ও মনুষ্য বর্জের কারণে দুষনের মাত্রাও ক্রমশ বাড়ছে। পাশাপাশির গত কয়েক বছর ধরে অতিরিক্ত তাপ প্রবাহের ফলেও ইলিশ সাগর থেকে নদী মুখি হচ্ছে না। ইলিশ বিচরনের জন্য যেখানে অভ্যন্তরীন নদ-নদীর পানির তাপমাত্রা ২৮-৩০ ডিগ্রী সেলসিয়াস থাকা প্রয়োজন, সেখানে বিগত গ্রীস্ম মৌসুমে তা ৩৪-৩৫ ডিগ্রী অতিক্রম করে বলেও জানান তিনি।
মৎস্য বিজ্ঞানীদের মতে, জীবনচক্রে অভিপ্রয়াণী মাছ ইলিশ স্বাদু পানি থেকে সমুদ্রের নোনা পানিতে এবং সেখান থেকে পুনরায় স্বাদু পানিতে অভিপ্রয়াণ করে। পূর্ণাঙ্গ ইলিশ প্রতিদিন শ্রোতের বিপরিতে ৭১ কিলোমিটার পর্যন্ত ছুটে চলে উপক’লের প্রায় সাড়ে ৭ হাজার বর্গ কিলোমিটারের মূল প্রজনন ক্ষেত্রে মূক্তভাবে ভাসমান ডিম ছাড়ার পরে তা থেকে ফুটে বের হয়ে ইলিশের লার্ভা স্বাদু পানি ও নোনা পানির নার্সারী ক্ষেত্রসমুহে বিচরন করে। এরা খাবার খেয়ে নার্সারী ক্ষেত্রসমুহে ৭Ñ১০ সপ্তাহ ভেসে বেড়িয়ে জাটকা হিসেব কিছুটা বড় হয়ে সমুদ্রে গিয়ে পরিপক্কতা অর্জন করে। বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন এলাকায় ১২Ñ১৮ মাস অবস্থানে প্রজননক্ষম হয়ে ইলিশ আবার স্বাদু পানির নার্সারী ক্ষেত্রে ফিরে এসে ডিম ছাড়ে।
২০২২ সালের প্রজন মৌসুমে দক্ষিণ উপক’ল সহ সংলগ্ন অভ্যন্তরীন নদ-নদীতে প্রায় ৮৪% মা ইলিশ ডিম ছাড়ে। এরমধ্যে ৫২ ভাগ মা ইলিশ ২২ দিনের মূল প্রজননকালীন সময়ে এবং পরবর্তিতে আরো ৩২% ডিম ছাড়ারত ছিল। যা ছিল অগের বছরের প্রজননকালের চেয়ে প্রায় ২.৪৫% বেশী।
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যলয়ের মৎস্য অনুষদের অধ্যাপক ড. সাজেদুল ইসলামও মৎস্য গবেষনা ইনস্টিটিউট-এর বিজ্ঞানীদের সাথে একমত পোষন করে ইলিশের বংশ বিস্তার সহ নদ-নদীর হাইড্রো-মেট্রোলজিক্যাল বিষয়গুলোর প্রতি নজরদারীর আহবান জানিয়েছেন।
এদিকে বঙ্গোপসাগরে আমাদের সীমায় প্রতি বছর ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই ছাড়াও আশি^নের বড় পূর্ণিমার আগে পড়ের ২২দিন সব ধরনের মৎস্য আহরন নিষিদ্ধ থাকলেও ভারত ও মায়নমারের জেলেরা এসময়ে অবাধে আমাদের নৌ সীমা থেকেমাছ ধরে নিয়ে যাবার অভিযোগ রয়েছে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের জলসীমায় শুধুমাত্র ১৫ এপ্রিল থেকে ৩১ মে পর্যন্ত মৎস্য আাহরনে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। মিয়ানমারেও জুন থেকে আগষ্ট পর্যন্ত সাগরে মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকলেও এ দুটি দেশের জেলেরাই আমাদের নিষিদ্ধকালীন সময়ে বঙ্গোপসাগরে নৌ সীমা অতিক্রম করে অবাধে মাছ লুটে নেয় বলে সুস্পষ্ট অভিযোগ রয়েছে। জাতীসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা-ফাও’এর বিজ্ঞানী ড. হাসনাত সহ অন্যান্য মৎস্য বিজ্ঞানীগন ‘প্রতিবেশী দেশের সাথে সমতা রেখে সাগরে মৎস্য আহরন নিষিদ্ধ ঘোষনার সময় পুণঃ বিবেচনার’ ওপরও গুরুত্বারোপ করেছেণ ইতোপূর্বে।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
খাগড়াছড়িতে অবরোধের তৃতীয় দিন, বাজারে পাহাড়ি-বাঙালি উপস্থিতি স্বাভাবিক
শৈলকুপায় নিখোঁজের ৩ দিন মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার
অমিত শাহ’র বক্তব্য বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ইঙ্গিত বহন করে না : জামায়াত
এবার পাকিস্তানে ১২ দেশের কূটনীতিকদের গাড়িবহরে হামলা
নতুন থিয়ানছি স্যাটেলাইটগুচ্ছ উৎক্ষেপণ করেছে চীন
বাংলাদেশের জন্য এবারের জাতিসংঘ সম্মেলন যেসব কারণে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ
‘প্রতি বছরই সম্পদের হিসাব দিতে হবে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের’
গোয়ালন্দে চরমপন্থি দলের সদস্যকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা
দিসানায়েক : দিনমজুরের ছেলে থেকে শ্রলীঙ্কার প্রেসিডেন্ট
ভারতে মহাসংকটে ভোডাফোন-আইডিয়ার ভবিষ্যৎ
পর্তুগালে অপপ্রচারের প্রতিবাদে বেজা বিএনপির সভা
‘মুরুব্বি মুরুব্বি উঁহু’ বলায় গরম পানিতে ঝলসে দেওয়া হলো কিশোরীকে
বিএনপির সমাবেশে হামলা-ভাঙচুরের দুই বছর পর আ.লীগের ১০৯ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
তোফাজ্জল হত্যাকাণ্ডের নির্দেশদাতা ছিলেন তার ভাবি শরীফা আক্তার
চীনা বৈদ্যুতিক গাড়ির বিক্রি কমেছে জার্মানিতে
ইসরাইলি বর্বরতা থামছে না, গাজায় আরও ৪০ জনকে হত্যা
নতুন মামলায় সাবেক আইজিপি মামুন দুটি এবং আনিসুল একটিতে গ্রেপ্তার
কমলার সঙ্গে আর বিতর্ক করবেন না ট্রাম্প
নার্সিং কাউন্সিলের নতুন রেজিস্ট্রার হালিমা আক্তার
নিউইয়র্কের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধান উপদেষ্টা