শিল্পাঞ্চল খ্যাত ভালুকা উপজেলায় বিএনপিনেতা বাউন্ডারি শহীদের মালিকানাধীন গ্রীন অরণ্য পার্কে পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসে হামলা ও গাড়ী ভাংচুরের ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় হয়েছে। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছে পার্কের ম্যানেজার ও কর্মচারিসহ তিন জন।
বুধবার (৭ ফেবুয়ারি) সকালে উপজেলার হবিরবাড়ি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় গ্রীন অরণ্য পার্কে এই তিন কর্মকর্তা ও কর্মচারিকে।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন- ম্যানেজার মো. আবু নাঈম(৩৮), কর্মচারি মো. হাসান চৌধুরী (৪০) এবং মো. আতিয়ার রহমান (৩৭)। তারা এই ন্যাক্করজনক হামলা ও গাড়ী ভাংচুরের ঘটনায় প্রত্যক্ষ জড়িত বলে ভাইরাল হওয়া ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে।
এর আগে গত পরশু সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) গাজিপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার বাসিন্দা মো: শাহজাহান মিয়া স্ত্রী-সন্তানসহ পরিবারের স্বজনদের নিয়ে ঘুরতে আসে গ্রীন অরণ্য পার্কে। এ সময় টিকিট নিয়েও সুয়িং রাউডে উঠতে না পারা নিয়ে তর্ক-বির্তকের সৃষ্টি হয় পার্ক কর্র্তৃপক্ষের সাথে। এতে ক্ষুব্ধ দর্শনার্থী মো. শাহজাহান মিয়া পার্ক থেকে বেরিয়ে যেতে চাইলে তার ওপর হামলা করে ম্যানেজার ও কর্মচারিদের নেতৃত্বে একটি দল। এ সময় তারা ভুক্তভোগী শাহজাহান মিয়ার গাড়ীতে হামলা করে ভাংচুর চালায়। পরে গাড়িতে থাকা শিশু ও নারীরা চিৎকার শুরু করলে আশাপাশের লোকজনের হস্থক্ষেপে শাহজাহান পরিবার নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
এ সময় ঘটনাটি দর্শনার্থী শাহজাহান ভিডিও লাইভ করে সহযোগীতা কামনা করলে মূহর্তের তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে নেটিজেনরা ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করে ন্যক্করজনক এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
পরে গতকাল মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভুক্তভোগী শাহজাহান মিয়া ভালুকা মডেল থানায় অজ্ঞাত ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামি করে একটি অভিযোগ দায়ের করে। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভালুকা থানার উপ-পরিদর্শক (এস.আই) মো. আমিনুল ইসলাম অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে।
এ বিষয়ে ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ কামাল আকন্দ বলেন, আলোচিত এই ঘটনাটি গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে। এতে জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলেও জানান তিনি।