বগুড়ায় তিন জমজ ভাই সুযোগ পেল মেডিকেলে পড়ার।। ভর্তি পরীক্ষার তাক লাগানো ফল
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৫:১৮ পিএম | আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৫:১৮ পিএম
বগুড়ার ধুনট উপজেলার প্রত্যান্ত গ্রামের তিন জমজ ভাই চলতি বছরের মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তাক লাগিয়ে দিয়ে দিয়েছে।
তারা ধুনটের নবির উদ্দিন পাইলট হাই স্কুল থেকে মাধ্যমিক ও পরে বগুড়া সরকারী শাহ সুলতান কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করেন। তিন জমজ ভাই এর মাঝে মোঃ মাফিউল হাসান গত বছর ঢাকার সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ এবং এবারে মোঃ সাফিউল দিনাজপুর মেডিকেলে ও মোঃ রাফিউল হাসান নোয়াখালী মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়েছে।
ধুনট নবির উদ্দিন পাইলট হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ তোফাজ্জল হোসেন জানান, মঙ্গলবার বার তিন ভাই এক সাথে স্কুলে আসে। শিক্ষকদের কাছ থেকে দোয়া চায়। বিনয়ী, ভদ্র তিন শিক্ষার্থীদের দোয়া করি। তারা মিষ্টি নিয়ে এসেছিল। ওদের মেডিক্যালে চান্স পাওয়া আমাদের স্কুলের গৌরব বৈকি ।
শাহ সুলতান কলেজের অধ্যক্ষ শহীদুল ইসলাম বলেন, শুনেছি তিন জমজ ভাই এর মধ্যে গতবার একজন এবং এইবার দুজন মেডিকেলে চান্স পেয়েছে। ওদের জন্য দোয়া থাকলো।
তিন শিক্ষার্থী মা আর্জিনা বেগম জানান, ২০০৯ সালে ওদের বাবা গোলাম মোস্তফা হার্ট এটাকে মারা যায়। তখন ওদের বয়স ৫ মাস। বাবার স্নেহ মমতা পায়নি ওরা। বাবা মারা যাওয়ার পর তিন সন্তানকে পড়ালেখা করানো নিয়ে বিপাকে পড়ি। নিজে কষ্ট করে জমি বিক্রি করে ওদের পড়ালেখা করিয়েছি। প্রায় ৫ বিঘা জমি ছিল। বাবার বাড়ীর জমিও বিক্রি করে ওদের পিছে লাগিয়েছি। বাকী যা আছে তাও প্রয়োজনে বিক্রি করবো। তবুও ওদের ডাঃ বানাবো যাতে আমাদের মত গরীব মানুষদের সেবা করতে পারে। কত খুশি হয়েছি প্রকাশ করতে পারবো না। গ্রামের লোকজন ওদের যখন দেখতে আসে তখন বুক ভরে যায়।
মাফিউল হাসান তার প্রতিক্রিয়ায় জানান, তিন জমজ ভাই বগুড়ায় মেসে একই সাথে থেকে সরকারী শাহ সুলতান কলেজে পড়েছি। মা, কষ্ট করে এবং জমি বিক্রি করে পড়ালেখা করিয়েছে। কখনোই আমাদের কষ্ট করতে দেয়নি। তিনি আরও জানান, বথুয়াবাড়ী গ্রামের মধ্যে আমরাই প্রথম মেডিকেলে চান্স পেয়েছি। এর আগে আর কেউ চান্স পায়নি। খুবই ভালো লাগছে।
আরেক ভাই সাফিউল জানান, আজ বাবা থাকলে কত খুশী হতো। বাবাকে হারিয়েছি শিশু কালে। এখন মা,ই বাবার অভাব পুরন করছে। মানুষের সেবা করার জন্য চিকিৎসক হতে পারি এই দোয়া চাই সবার কাছে।
মোঃ রাফিউল ইসলাম জানান, অসুস্থ অবস্হায় বাবা মারা যায়। যখন বুঝতে পারলাম বাবার সেই কথা তখন থেকেই তিন ভাই প্রতিজ্ঞা করি ডাক্তারী পড়বো এবং গরীব মানুষদের পাশে দাড়িয়ে চিকিৎসা করবো। বাবার মত যেন কাউকে অকালে ঝরে পড়তে না হয়।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
কুষ্টিয়ায় আ.লীগ নেতাকে হাতুড়িপেটায় মাথা ফাটাল, যুবদল-স্বেচ্ছাসেবক দল নেতারা
কালীগঞ্জে বিএনপির উদ্যোগে মোচিক ইউনিয়নের কমিটিকে সংবর্ধনা
বগুড়ায় করেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলার প্রধান আসামি সহ গ্রেপ্তার ৪
সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের আকাশে উড়ার স্বপ্ন পূরণ করল নভোএয়ার
সিলেটে 'সিটিজেন রাইটস এন্ড জাস্টিস নেটওয়ার্ক' এর আত্মপ্রকাশ
ঠাকুরগাঁওয়ে কাজে লাগছে না দুই কোটি টাকার স্লুইস গেট
এনসিটিবির সামনে হামলার সময় সরব ছিল না পুলিশ
নগরকান্দায় “তারুণ্যের ভাবনায় আগামীর বাংলাদেশ”-শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
ফেনীতে ট্রেনের ধাক্কায় মহিলার মর্মান্তিক মৃত্যু
নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয়ে ঘেরা হচ্ছে ট্রাম্পের অভিষেকের মঞ্চ
৬টি কমিশনের মেয়াদ আরও এক মাস বাড়ানো হবে : সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
লস অ্যাঞ্জেলসে ভয়াবহ দাবানলের কারণে বাতিল হতে পারে অস্কার
২৪ গণ অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্রের দাবীতে আলোচনাসভা
ফ্রিল্যাসিং করে তাসনিমুলের মাসে আয় লাখ টাকা
ঈশ্বরগঞ্জে বিজ্ঞান মেলার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ
রাজবাড়ীতে মধ্যরাতে শীতার্তদের পাশে ইয়ামাহা রাইডার্স ক্লাব
অবৈধ বালু উত্তোলনের প্রতিবাদ করায় যুবদল নেতাকে পিটুনি দিল বিএনপি নেতা
নোবিপ্রবির সঙ্গে চীনের শিহেজী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
বড় ধামাকা নিয়ে আসছে ‘অ্যাভাটার: ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’
রাষ্ট্রীয় সম্মানে ভুষিত হলেন বীর প্রতীক আজাদ আলী