সরস্বতী পূজায় জবি ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মারামারি, আহত ১২
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:৩১ পিএম | আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:৩১ পিএম
নারী শিক্ষার্থী উত্যক্ত করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সরস্বতী পূজা চলা অবস্থায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দুই গ্রুপে দফায় দফায় মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই গ্রুপের অন্তত ১২ থেকে ১৫ জন আহত হয়ে মেডিকেলে ভর্তি আছেন।
আজ বুধবার সন্ধ্যার পর ক্যাম্পাসের গেটের সামনে এরপর ভিতরে দুই গ্রুপের মারামারি ও ধাওয়া, পাল্টা-ধাওয়া হয়।
জানা যায়, নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের এক নারী শিক্ষার্থীর সঙ্গে এরআগে একাউন্টটিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীর সঙ্গে বিবাদ বাঁধে। এ ঘটনার সূত্রপাতে গত মঙ্গলবার দুপুরে একাউন্টটিং বিভাগের ওই ছেলেকে মারধর করে নৃবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তারা সবাই শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহীম ফরাজি গ্রুপের নেতাকর্মী।
আজ বুধবার ঢাকার দ্বিতীয় বৃহৎ পরিসরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পালিত হওয়া সরস্বতী পূজার সময় সন্ধ্যায় প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের পাশে পুলিশ ফাঁড়ির সামনে ইব্রাহীম ফরাজী গ্রুপের নেতাকর্মীদের (নৃবিজ্ঞান বিভাগ ছাত্রলীগ) ওপর অতর্কিত হামলা করে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইন গ্রুপের নেতাকর্মীরা। এরপর প্রধান ফটকের সামনে মারামারি হয়। এসময় সভাপতি ফরাজি গ্রুপের নেতাকর্মী কম থাকায় তার গ্রুপের নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ব্যাচের তাফসির ও নিরব, বাতেন বিল্লাহ, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুল বারেকসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়। এতে তাফসির মাথা ও নিরব হাতে রক্তাক্ত গুরুতর আহত হয়ে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়। বাতেন বিল্লাহর দাঁত পড়ে যায়।
পরবর্তীতে সভাপতি গ্রুপের নেতাকর্মীরা জড়ো হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পূজা চলা অবস্থায় ক্যান্টিনে সাধারণ সম্পাদক আকতারের গ্রুপের ওপর লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করে। এতে সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের নিয়ামত, সংগীতের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের অনন্ত, কলা অনুষদ ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের মিরাজ হোসেন, মনোবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শেখ রিফাত আব্দুল্লাহ, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের তামিম ইকবালসহ আরো অনেকে আহত হয়। এরপর সভাপতি ইব্রাহীম ফরাজি ও সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসাইন ও সহকারী প্রক্টররা ঘটনাস্থলে এসে নিয়ন্ত্রণ করে। তবে দু্ই গ্রুপ থেকে অন্তত ১২-১৫ জনের বেশি আহত হয়। মারামারির সময় ক্যাম্পাসে পূজারত শিক্ষার্থীরা ও দর্শনার্থীরা ভীত হয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী তাফসির জানান, গতকাল আমার এক বান্ধবীকে উত্ত্যক্ত করা হলে আমি তার প্রতিবাদ করি। তারই জেরে এই ঘটনা।
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইন বলেন, আমাদের এক ছাত্রী বোনকে নিয়ে ক্যাম্পাসের বাইরে একটু কথা কাটাকাটি হয়েছে। ক্যাম্পাসে কোন মারামারির ঘটনা ঘটেনি। প্রয়োজনে ক্যাম্পাসের সিসিটিভি ফুটেজ, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে যাচাই করতে পারেন। এখানে ছাত্রলীগের কোন সম্পৃক্ততা নাই।
শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহীম ফরাজি বলেন, আমরা সিসিটিভি দেখে শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেব।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল বলেন, ক্যাম্পাসের বাইরে মারামারি হয়েছে। সেটার রেশ ক্যাম্পাসের ভিতরে ছিল। এ ঘটনায় কোনো লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
তৌহিদ-জয়শঙ্কর বৈঠক: আলোচনায় যে সব বিষয়
ভারতে পালানোর সময় সীমান্তে আওয়ামী লীগ নেতা আটক
১,০০০ মাইল পাড়ি দিয়ে গন্তব্যে ফিরল হারানো বিড়াল!
গাজীপুরে নারী নিহত : বাসে আগুন
চোটে মৌসুম শেষ রদ্রির
পরিবেশবান্ধব শহরে পরিণত হচ্ছে শাংহাই
জাপানে ভারী বৃষ্টিপাতে নিহত ৬
ভারতীয় পেসাররা এখন আকরাম-ইউনিসের সমতুল্য
লেবাননজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় একদিনেই নিহত ৪৯২
নতুন স্পাইমাস্টার নিয়োগ দিলো পাকিস্তান
মার্শা বার্নিকাটের গাড়িবহরে হামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি সিয়াম গ্রেপ্তার
বার্সা চাইলে ফিরতে প্রস্তুত ব্রাভো
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হ্যাটট্রিকের লক্ষ্যে অস্ট্রেলিয়া
চোটে পড়ে মৌসুম থেকে ছিটকেই গেলেন টের স্টেগেন
ইন্টার মায়ামি ছাড়ছেন মেসি?
ডেভিস কাপ দিয়ে কোর্টে ফিরছেন নাদাল
দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারে অনুমতি পাচ্ছে না ইউক্রেন
গাজা-লেবাননে নিহত আরো ২২২
আসাদের সঙ্গে বৈঠকের জন্য প্রস্তুত এরদোগান
জাবির সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা মামলায় রায়হানের দোষ স্বীকার