ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ | ২ মাঘ ১৪৩১

আত্মীয়ের জানাযায় অংশ নিতে যাওয়ার পথে লাশ হয়ে ফিরলো স্ত্রী-সন্তানসহ বাবলু, চলছে শোকের মাতম

Daily Inqilab ফুলপুর (ময়মনসিংহ) উপজেলা সংবাদদাতা

১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৫:২৭ পিএম | আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৫:২৭ পিএম

ময়মনসিংহের চর খরিচা গ্রামে ফুফু শ্বাশুড়ির জানাযায় অংশ নিতে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরলো স্ত্রী-সন্তানসহ ফুলপুর উপজেলার চর আশাবট গ্রামের নূরুজ্জামান বাবলু (৫২)। ব্যবসায়ী বাবলুর গ্রামের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। আত্মীয়-স্বজনের কান্নায় ভারি হয়ে গেছে বাতাস।

 

শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ময়মনসিংহ-শেরপুর সড়কের সদর উপজেলার আলালপুর নামক স্থানে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় তিনিসহ তার স্ত্রী শীলা আক্তার (৪০) ও ছেলে সাদমান (৭) মারা যায়। এতে সিএনজি চালক ফুলপুর পৌরসভার দিউ গ্রামের আল আমিন (৪০)সহ মোট ৭ জন ঘটনাস্থলেই নিহত হয়।

জানা যায়, ফুলপুর উপজেলার রামভদ্রপুর ইউনিয়নের চর আশাবট গ্রামের বড়বাড়ির আলহাজ্ব আব্দুল করিম মাস্টারের সন্তান নূরুজ্জামান বাবলু সন্তানদের লেখাপড়ার সুবিধার্থে ফুলপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজ সংলগ্ন এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। তার ফুফু শ্বাশুড়ির মৃত্যু সংবাদ পেয়ে জানাযার নামাজে অংশ নেয়ার জন্য শুক্রবার সকালে স্ত্রী শীলা (৪০) ও ছেলে সাদমান (৭)কে নিয়ে ফুলপুরের বাসা থেকে বের হয়ে যায়। ফুলপুর পৌরসভার দিউ গ্রামের আল আমিন (৪০)এর সিএনজি দিয়ে তার পরিবারসহ মোট ৭ জন ময়মনসিংহের দিকে রওনা হন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ময়মনসিংহ-শেরপুর সড়কের সদর উপজেলার আলালপুর নামক স্থানে পৌছিলে ঢাকা থেকে শেরপুরগামী আদিল সরকার নামীয় একটি বাস ময়মনসিংহগামী তাদের সিএনজিকে চাপা দেয়। এতে বাবলু, তার স্ত্রী শীলা আক্তার (৪০) ও ছেলে সাদমান (৭)সহ সিএনজির ৭ জনই ঘটনাস্থলে নিহত হয়। এরমাঝে ৪ জনই ফুলপুরের। তাদের পরিবারে চলছে শোকের মাতম। ফুলপুর উপজেলার একই পরিবারের ৩ জনসহ ৪ জনের মৃত্যু সংবাদ এলাকায় পৌছা মাত্রই শোকের ছায়া নেমে আসে।

জামিয়া সাদিয়া মহিলা মাদ্রাসা, গোদারিয়ার মুহতামিম মাওলানা মতিউর রহমান শেখ বলেন, সকালেও বাবলু ভাইয়ের সাথে দেখা হয়েছে। তিনি আমাদের পাশের বাসায় থাকতেন। আসলে মৃত্যু মানুষের এতই নিকটে যে তা কল্পনা করা যায় না।


বিভাগ : বাংলাদেশ


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪
মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫
সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই
ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের
গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি
আরও

আরও পড়ুন

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

ধূমপানকে না বলুন

ধূমপানকে না বলুন

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত