ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ | ২ মাঘ ১৪৩১

রাজশাহীতে ২২ ও ২৩ ফেব্রুয়ারী আহলেহাদীছের তাবলীগী ইজতেমা

Daily Inqilab রাজশাহী ব্যুরো

১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৬:৪৫ পিএম | আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৬:৪৫ পিএম


শিরক ও বিদ‘আতমুক্ত বিশুদ্ধ ইসলামের প্রচার ও প্রসারের লক্ষ্যে ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর ৩৪তম বার্ষিক তাবলীগী ইজতেমা আগামী ২২ ও ২৩ শে ফেব্র“য়ারী বৃহস্পতি ও শুক্রবার রাজশাহী মহানগরীর এয়ারপোর্ট থানার নিকটবর্তী ময়দানে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ইনশাআল্লাহ। ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর আমীর প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্ল¬¬াহ আল-গালিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিতব্য উক্ত ইজতেমায় পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের আলোকে বিষয়ভিত্তিক বক্তব্য পেশ করবেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও দেশ-বিদেশের খ্যাতনামা ওলামায়ে কেরাম। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে হাযার হাযার দ্বীন-দরদী মুসলিম ভাই-বোনের সমাবেশ ঘটবে ইজতেমায়। ১ম দিন বৃহস্পতিবার বিকাল ৪-ঘটিকার সময় শুরু হয়ে শনিবার ফজর পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে ইজতেমার কার্যক্রম চলবে। বিভিন্ন স্থানে এলইডি মনিটরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। রয়েছে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় খাবার হোটেল ও যরূরী চিকিৎসা ব্যবস্থা। ইতিমধ্যে ইজতেমার প্রায় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
এই ইজতেমার শুরু থেকে শেষ অবধি পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছ থেকেই বক্তব্য পেশ করা হয়ে থাকে। যেন শ্রোতারা আল্লাহ প্রেরিত অহীর বিধান অনুযায়ী নিজেদের আমলী যিন্দেগী সমৃদ্ধ করতে পারেন। ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র আল্লাহ প্রেরিত অহি-র আলোকে পরিচালনার উদাত্ত আহবান জানানো হয় এই তাবলীগী ইজতেমায়। উজ্জীবিত করা হয় পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছ মোতাবেক জীবন পরিচালনার একক প্লাটফর্মে সমবেত হয়ে বৃহত্তর মুসলিম সমাজ গঠনের।
উল্লেখ্য যে, জাতীয় পর্যায়ে বিশুদ্ধ দাওয়াত ও তাবলীগের কাজ আঞ্জাম দেওয়ার জন্য ১৯৯১ সাল থেকে নিয়মিত বার্ষিক তাবলীগী ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। আক্বীদা ও আমল সংশোধনে দেশ সেরা বিদ্বানদের বিষয়ভিত্তিক বক্তৃতা উপস্থিত শ্রোতাদের জন্য বিশুদ্ধ জ্ঞানের খোরাক হিসাবে কাজ করে। শানিত হয় তাদের ঈমানী চেতনা। ফিরে যান নিজেদেরকে পরিশুদ্ধ করার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা নিয়ে।


বিভাগ : বাংলাদেশ


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪
মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫
সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই
ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের
গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি
আরও

আরও পড়ুন

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

ধূমপানকে না বলুন

ধূমপানকে না বলুন

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত