পর্যটকের উচ্ছিষ্ট খাবারে সিলেট তামাবিল সড়কের আশপাশে ময়লার বাগাড় !
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৬:৫০ পিএম | আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৬:৫০ পিএম
সিলেটের জৈন্তাপুরের বিভিন্ন দর্শনীয় স্পট ও প্রকৃতিকন্যা জাফলং বেড়াতে আসা প্রতিদিন শত শত পর্যটকদের বাড়ী থেকে নিয়ে আসা খাবার বসে খাওয়ায় কোন সুনির্দিষ্ট ব্যাবস্হা নেই। সেকারণে এই সমস্ত স্পট থেকে ফেরার পথে সিলেট তামাবিল মহাসড়কের ছায়া সুনিবিড় কোন স্হানে মহাসড়কের পাশে গাড়ী থামিয়ে খাবার খেয়ে থাকেন আগন্তুক পর্যটক ও দর্শনার্থীরা। কিন্তু সচেতনতার অভাবে এবং পর্যাপ্ত ডাষ্টবিনের ব্যাবস্হা না থাকায় পর্যটকদের ফেলে দেয়া খাবার ও উচ্ছিষ্ট অংশ বিনষ্ট হচ্ছে প্রাকৃতিক পরিবেশ।
প্রতিদিন জাফলং আসা সহস্রাধিক পর্যটক সকালের সময়ে জৈন্তাপুর লাল শাপলাবিল কিংবা লালাখাল ভ্রমন করে দূপুরের দিকে জাফলং বেড়াতে যায়। সেখান থেকে বিকেলের পূর্বে ফিরতি পথে বেশীরভাগ পর্যটক ও দর্শনার্থী বাস কিংবা মাইক্রোতে করে গ্রুপ ট্যুরে আসেন। তাদের বেশীরভাগ খাবার বাড়ী থেকে তৈরী করে নিয়ে আসেন। কিন্তু ফেরার পথে তামাবিল মহাসড়কের নির্জন জায়গায় তারা গোল হয়ে অস্হায়ীভাবে বসে দূপুরের খাবার খান। বিশেষ করে জাফলং ভ্যালি বোর্ডিং স্কুল থেকে শ্রীপুর চা বাগান এই দুই কিলোমিটার এলাকা কোলাহলমুক্ত থাকায় মহাসড়কের দুই পাশে চা বাগানের নিকট খাওয়ার পর্বটা সারেন আগন্তুকরা। কিন্তু হতাশার বিষয়টি হচ্ছে খাবার শেষে খাবারের উচ্ছিষ্ট ময়লা ফেলে নোংরা করে চলে যান পর্যটকরা। আসামপাড়া গুচ্ছগ্রাম থেকে শ্রীপুর পিকনিক স্পটের গেইট পর্যন্ত মহাসড়কের দুই পাশে শত শত পিছ ডিসপোসেবল প্লেট, গ্লাস ও প্লাস্টিকের বোতলে সয়লাব হয়ে গিয়েছে। তার উপর উচ্ছিষ্ট খাবার পচন ধরলে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে বলে স্হানীয়দের অভিযোগ।
এ বিষয়ে শ্রীপুর চা বাগানের ব্যাবস্হাপক জহিরুল হক জানান, বর্তমানে চা বাগানকে পুরো স্হায়ী ফেন্সিং এর আওতায় আনা হয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে প্রচুর পর্যটক বাগানে এসে প্রবেশ করতো। বাগান কর্তৃপক্ষ থেকে কোন নিষেধাজ্ঞা দেয়া হত না। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য অল্প দিনের মধ্য পুরো চা বাগান তারা নোংরা অবস্থা করে ফেলেছিলো। এ জন্য বাগানের চা উৎপাদন ব্যাহত না হতে এবং বাগান দূষণমুক্ত রাখতে বেঁড়া দিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এখন বাগানে প্রবেশ করতে না পেরে বেড়াতে আসা দর্শনার্থীরা রাস্তার পাশে খাবার খেয়ে প্লাস্টিকের বোতল প্লেট ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলে রেখে যাচ্ছে। এই বাগানের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা কর্মীরা আশাপাশে নোংরা না করতে বার বার তাগিদ দিলেও তারা কোন কর্ণপাত না করে আবর্জনা ফেলে রেখে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে জাফলং টুরিস্ট পুলিশ সাব জোনের অফিসার ইনচার্জ রতন শেখ জানান, পর্যটক যে স্পটে আকর্ষণ করবে বা নামবে সেখানেই পর্যটন গড়ে উঠে। কিন্তু সে অনুযায়ী পর্যটকদের বিশ্রামাগার কিংবা অস্হায়ী সেডের সংখ্যা একেবারে কম। পরিবেশ নোংরার ব্যাপারে তিনি বলেন, সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি না হলে এই রকম অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব হবে না। এতে টুরিস্ট পুলিশ সাধ্যমত সব ধরণের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছে বলে জানান তিনি।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
রাজবাড়ীতে নিখোঁজের ২দিন পর ধান ক্ষেত থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার
ইরানের পরিষেবা রপ্তানি বেড়েছে ২০ শতাংশ
দিনাজপুর সীমান্তে থেকে বিজিবির হাতে বিএসএফ জওয়ান আটক
তিন কোটির ক্যাশ চেক দিয়ে ডিসির পদায়ন: তদন্ত কমিটি গঠন
স্তব্ধ গদর, বন্ধ সিপিইসি! পাকিস্তানে বিক্ষোভে উদ্বিগ্ন চীন
আমিরাতে প্রবাসীদের সহজ সেবায় বাংলাদেশি 'মুনির ট্রাভেল এন্ড ট্যুরিজম'-এর উদ্বোধন
অধীরের বদলে কেন শুভঙ্কর, পশ্চিমবঙ্গ কংগ্রেসের হাল ফিরবে?
নতুন সুড়ঙ্গ দিয়ে যুক্ত হচ্ছে ডেনমার্ক ও জার্মানি
গায়েবী মামলার ক্ষেত্রে দায়ীদের চিহ্নিত করতে কমিশন গঠনে হাইকোর্টে রিট
ডিএমপিতে ট্রাফিক আইনে একদিনে ৭৭৬ মামলা, জরিমানা ৩৫ লাখ ৬ জাজার
যশোরের জামায়াত নেতাসহ নিহত ২
ভারতে হানা মাঙ্কিপক্সের সেই ভয়ানক ভ্যারিয়েন্টের
ময়নাতদন্তের রিপোর্টে আবু সাঈদের শরীরে গুলির চিহ্ন-মাথায় গর্ত
সেনা কর্মকর্তা নিহতের ঘটনায় জামায়াতের উদ্বেগ
ঠাকুরগাঁওয়ে সীমান্তে বিএসএফ জওয়ানকে আটক করেছে বিজিবি
সড়ক দুর্ঘটনায় সালথা উপজেলা ইসলামী আন্দোলনের সভাপতিসহ দুজন নিহত
নোবিপ্রবি উপাচার্যের সাথে নোবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির নতুন কমিটির সাক্ষাৎ ও মতবিনিময়
চাঁদপুরে বেড়েছে ইলিশের দাম
হবিগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত অর্ধশতাধিক
ঝিনাইদহে সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজন নিহত