ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ | ২ মাঘ ১৪৩১

মাদারীপুরে পুলিশে চাকরি দেওয়ার নামে ঘুষের টাকা আদায়: গ্রেপ্তার-২

Daily Inqilab মাদারীপুর থেকে স্টাফ রির্পোটার

১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৬:৫২ পিএম | আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৬:৫২ পিএম


মাদারীপুরে পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ঘুষের টাকা আদায় চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে জেলার গোয়েন্দা পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে নগদ টাকা ও দুটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার খাতিয়াল গ্রামের মৃত চান মিয়া মাতুব্বরের ছেলে লিটন মাতুব্বর (৫২) ও একই উপজেলার ধুয়াসার এলাকার আবুল বাশার মাতুব্বরের ছেলে সজল মাতুব্বর (২৫)।শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পুলিশ সুপার কার্যালয় থেকে পাঠানো একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, শুক্রবার জেলা পুলিশ লাইনস্ মাঠে বাংলাদেশ পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগের জন্য বাছাইকৃত যোগ্য প্রার্থীদের শারীরিক মাপ ও কাগজপত্র যাচাই-বাছাইয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
এই নিয়োগে ৯ লাখ টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার কথা বলে বেশ কয়েকজন চাকরি প্রত্যাশীদের কাছ থেকে অগ্রিম কিছু টাকা নেন প্রতারক লিটন মাতুব্বর। বিষয়টি জেলার গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) নজরদারিতে ধরা পড়লে শুক্রবার বিকেলে অভিযান চালিয়ে শহরের বঙ্গবন্ধু 'ল' কলেজের সামনে থেকে লিটন মাতুব্বরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে ডাসার উপজেলার ধুলগ্রাম এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের আরেক সদস্য সজল মাতুব্বরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ সময় তাদের কাছ থেকে নগদ ১৫ হাজার টাকা ও দুটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। পরে গোয়েন্দা পুলিশ বাদী হয়ে দুইজনের নামে সদর মডেল থানায় মামলা করে। শনিবার দুপুরে দুইজনকে আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মাদারীপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মাসুদ আলম বলেন, ‘পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগে আবেদন ফি ১২০ টাকা। এর বাইরে চাকরিপ্রত্যাশীদের এক টাকাও বাড়তি দরকার হয় না। কিন্তু ওই দুই প্রতারক ৯ লাখ টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার কথা বলে প্রতারণা করার চেষ্টা করছিল। গ্রেপ্তারের পর ওই দুই প্রতারক তাদের অপরাধ স্বীকার করেছেন। এই প্রতারক চক্রের আরও কিছু সদস্য এ ধরনের কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের ধরতে অভিযান চলমান রয়েছে।


বিভাগ : বাংলাদেশ


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪
মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫
সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই
ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের
গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি
আরও

আরও পড়ুন

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী

ধূমপানকে না বলুন

ধূমপানকে না বলুন

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

জালিমের পরিণতি ভালো হয় না

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত

১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত