রাউজানে বিএনপি নেতা মুসা হত্যা জড়িতরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে মামলা হয়নি পুলিশ পাহারায় দাফন
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৭:১১ পিএম | আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৭:১১ পিএম
চট্টগ্রামের রাউজানে নিজ গ্রামে মা-বাবার কবর জিয়ারত করতে গিয়ে নির্মম হত্যার শিকার বিএনপি নেতা মোহাম্মদ মুসার দুই মাসুম সন্তানসহ স্বজনদের কান্না থামছে না। হাটহাজারিতে তার বাসায় চলছে শোকের মাতম। গতকাল শনিবার পুলিশ পাহারায় লাশের ময়না তদন্ত শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। সেখানেও ছিল কড়া পুলিশ পাহারা। কিছু আত্মীয় স্বজন ছাড়া নামাজে জানাযা ও দাফনে দলের কোন নেতাকর্মী যেতে পারেননি। আলোচিত এই খুনের ঘটনার একদিন পরেও থানায় কোন মামলা হয়নি। খুনে জড়িতরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও গ্রেফতার করা হয়নি কোন আসামি।
আগামী ৫ মার্চ কর্মস্থল ওমানে ফিরে যাওয়ার আগে ১৭ বছর পর বাবা-মায়ের কবর জেয়ারত করতে শুক্রবার নিজ গ্রাম রাউজানের সদর ইউনিয়নের হাজিপাড়ায় যান মোহাম্মদ মুসা। গ্রামের মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করার পর সরকারি দলের স্থানীয় কতিপয় নেতাকর্মী তাকে ধরে পিটিয়ে হত্যা করে। তিনি ওই এলাকার মরহুম কবির আহমদের পুত্র। দুই সন্তানের জনক মুসা ওমান ওয়াইলজা শাখা বিএনপির সহ-সভাপতি ছিলেন। এক সময় তিনি রাউজান উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন।
জেলা বিএনপির নেতারা জানান, ২০০৮ সালে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মীর মতো তিনিও রাউজানছাড়া হন। এরপর তিনি ওমানে চলে যান। হাটহাজারীতে তার শ^শুড়বাড়িতে তার পরিবার বসবাস করে।
নিহত মুসার ভাই তৌফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপি সরকার ক্ষমতা ছাড়ার পরই তিনি ওমানে চলে যান। এরমধ্যে কয়েকবার দেশে আসলেও এলাকায় যাননি। হাটহাজারীর শ্বশুর বাড়িতে থাকতেন। এক মাস আগেই তিনি দেশে আসেন। আগামী ৫ মার্চ তার আবার ওমানে চলে যাওয়ার কথা ছিলো। তার আগে বাবা মায়ের কবর জিয়ারতের জন্য গ্রামে গিয়ে লাশ হতে হলো। তিনি তার ভাই হত্যার বিচার দাবি করেন।
এদিকে শুরুতে পুলিশ হার্ট অ্যাটাকে মুসার মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করলেও পরে লাশের ময়না তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়। লাশ চমেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। গতকাল সেখানে ময়না তদন্ত শেষে লাশ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তারা লাশ নিয়ে গ্রামের বাড়িতে যান। সেখানে বিকেলে তার দাফন সম্পন্ন হয়। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন বলেন, মুসার পরিবারের সদস্যরা ছাড়া জানাযা ও দাফনে দলে কোন নেতাকর্মী যেতে পারেননি। পুলিশ পাহারায় সবকিছু হয়েছে। তাকে সরকারি দলের লোকজন নির্মমভাবে হত্যা করেছে উল্লেখ করে তিনি এই খুনের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেন।
হত্যাকা-ের একদিন পরেও থানায় কোন মামলা হয়নি। রাউজান থানার ওসি জাহেদ হোসেন বলেন, মুসার পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো থানায় কোন অভিযোগ করা হয়নি। অভিযোগ পাওয়ার পর পরবর্তি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তা না হলে পুলিশ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। তবে মুসার পরিবারের একজন সদস্য জানান, তারা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। থানায় না হলেও আদালতে তারা মামলা দায়ের করবেন।
জুমার নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বের করে দলীয় কর্মীকে হত্যার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিবৃতি দিলেও রহস্যজনক কারণে নিরব চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপি। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খন্দকারের বাড়িও রাউজানে। অথচ এই ঘটনায় তিনি কোন প্রতিক্রিয়া জানাননি। এ নিয়ে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে বলে জানান দলের কয়েকজন নেতা। কেউ বলছেন সরকারি দলের ভয়ে তিনিও মুখ খুলছেন না।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪
মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫
সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই
ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের
গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি
রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের
শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা
বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা
এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা
দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম
বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের
ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?
আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু
বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ
রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী
ধূমপানকে না বলুন
জালিমের পরিণতি ভালো হয় না
অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি
মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়
১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত