সীমান্তে হত্যা ও আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে হানিফ বাংলাদেশীর প্রতিকি ‘লাশের মিছিল’
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০১:৫৪ পিএম | আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০১:৫৪ পিএম
সীমান্ত হত্যা ও আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে হানিফ বাংলাদেশীর ব্যতিক্রমী ‘লাশের মিছিল’ চৌদ্দগ্রাম উপজেলা অতিক্রম করেছে। এরআগে তিনি কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে এ কর্মসূচি শুরু করেন। রোববার সকালে ভারতীয় সীমান্তবর্তী চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে তিনি প্রতিকি লাশের মিছিল করেন। এই মিছিল বাংলাদেশের সাথে ভারত ও মিয়ানমার সাথে সীমান্ত আছে এমন সব জেলা ও উপজেলা প্রদক্ষিণ করে প্রতিবাদ জানাবে। কর্মসূচি যশোরের বেনাপোল উপজেলায় গিয়ে শেষ হবে। এ সময় তাঁর সাথে ছিলন সৌরভ হোসেন বেলাল, নুরুল আজিম, আরিফ, নিরব নামে আরও চার যুবক
প্রতিকি লাশের মিছিল সম্পর্কে হানিফ বাংলাদেশী বলেন, বাংলাদেশের প্রতিবেশি দুইটা দেশ ভারত ও মিয়ানমার সব সময় বাংলাদেশের উপর আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে। ভারত সব সময় সীমান্তে নিরিহ মানুষকে পাখির মত গুলি করে হত্যা করছে। কিছুদিন আগে বাংলাদেশের একজন বিজিবি সদস্যকে বিএসএফ গুলি করে হত্যা করেছে। গত ৪ মাসে ভারত সীমান্তে ২১ জন বাংলাদেশী বিএসএফ এর গুলিতে নিহত হয়েছে। বিভিন্ন মানবাধিকারের অধিকারের হিসেবে ২০১০ সাল থেকে প্রায় ১২৭৬ জন বাংলাদেশীকে বিএসএফ হত্যা করেছে, ১১৮৩ জন আহত হয়েছে। আরেক প্রতিবেশি দেশ মিয়ানমার তাদের ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে অত্যাচার করে বাংলাদেশে পাঠিয়েছে। গত ৫ ফেব্রুয়ারী মিয়ানমারের আন্তরিন যুদ্ধে মর্টারসেলে দুজন বাংলাদেশী নাগরিক নিহত হয়েছেন। সীমান্ত আগ্রসনের বিরুদ্ধে ২০২০ সালে আমি প্রতিকি লাশ কাঁধে নিয়ে ঢাকা থেকে কুড়িগ্রাম পদযাত্রা করেছি।
হানিফ বাংলাদেশী আরও বলেন, বাংলদেশের জনগন সব সময় প্রতিবেশি ও বন্ধু দেশগুলোর সাথে ভালো সম্পর্ক রাখতে চায়। কিন্তু প্রতিবেশী দেশ দুইটি বাংলাদেশের সাথে বৈরি আচরণ করে। সীমান্তে বাংলাদেশিদের হত্যার পরে বলা হয় এরা গরু চোর চোরাকারবারি, হতে পারে এরা গরু চোর চোরাকারবারি এদের আইনের আওতায় এনে বিচার করা হোক। গুলি করে হত্যা করবে কেন? ভারত ও মিয়ানমার যদি তাদের দেশের পাচারকারিদের দমন করে তাহলে বাংলাদেশের পাচারকারিরা এমনিতে বন্ধ হয়ে যাবে।
হানিফ বাংলাদেশী এ প্রতিবেদককে আরও বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশে রাষ্ট্র ক্ষমতায় যে দলই এসেছে সে দলই দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার জন্য দেশের মানুষের আত্মমর্যাদা বিসর্জন দিয়ে বিদেশিদের দ্বারস্থ হয়েছে। শাসকদের এই দুর্বল নতজানুর কারনে ভারত ও মিয়ানমার সব সময় বাংলাদেশের উপর আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে। বিদেশী অন্য দেশগুলো বাংলাদেশের উপ তাবেদারি করার সাহস পাচ্ছে। ৩০ লক্ষ শহিদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন দেশের মানুষ কখনও কোন দেশের দাদাগিরি মেনে নেয়নি নতুন প্রজন্ম ও কোন দেশের আগ্রাসন মেনে নেবে না। বাংলাদেশের মানুষ আত্মমর্যাদা নিয়ে বিশ্বের দরবারে মাথা উচুঁ করে বাঁচতে চায়।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
টাঙ্গাইলে নিজ এলাকায় সেনা কর্মকর্তা তানজিম হোসেন নির্জনের লাশ দাফন
হেজবুল্লাহ কি ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধে জড়াবে?
ড. ইউনূসকে জাতিসংঘের শুভেচ্ছা মরিসাসেস প্রেসিডেন্টের সাথে সাক্ষাৎ
ঠাকুরগাঁওয়ে বজ্রপাতে তিনজনের মৃত্যু, আহত ৯ জন
ব্যাংকিং খাতের সংস্কারে আইএমএফের কারিগরি সহায়তা চায় বাংলাদেশ : ড. সালেহউদ্দিন
শুরু থেকে সচেতন হলে ডেঙ্গু সংক্রমণ হ্রাস পাবে : স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা
নিউইয়র্কে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রীর সঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বৈঠক
শেখ হাসিনা দেশ ছেড়েছে এটা আল্লাহর রহমত, মন্তব্য জিএম কাদেরর
শ্রীলঙ্কায় আগাম সংসদ নির্বাচনের ইঙ্গিত
শোকের আবহে বগুড়ায় স্কুলছাত্র শহীদ রাতুলের দাফন সম্পন্ন
সিলেট জেলা তথ্য অফিসের স্যানসিটাইজেশন সভা অনুষ্ঠিত
শোকের আবহে বগুড়ায় স্কুল ছাত্র শহীদ রাতুল রাতুলের জানাজা ও দাফন সম্পন্ন
জ্যাকির সপ্তম ড্যান অর্জন
ইপিজেড শ্রম আইন সংশোধনের দাবি
গাজীপুরে কাজে যোগ দিয়েছেন শ্রমিকরাঃ বন্ধ রয়েছে ১৩ টি কারখানা
ইসরাইলি হামলায় ৫০ শিশুসহ ৫৫৮ জন নিহত : লেবানন
মির্জাপুরে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ৪ জন গ্রেপ্তার
শ্রমিকদের ১৮ দাবি মেনে নিলো মালিকপক্ষ, বুধবার খুলবে সব কারখানা
বগুড়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে অস্ত্রসহ আ’লীগ নেতা গ্রেপ্তার
শিল্পে বিশৃঙ্খলা বরদাস্ত করবে না সরকার, নিয়ন্ত্রণ হবে কঠোরভাবে