হাজার হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায়
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০২:৫০ পিএম | আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০২:৫০ পিএম
মিয়ানমারে গোলাগুলি ও সংঘর্ষ বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে যাতে রোহিঙ্গারা ঢুকতে না পারে, সে ব্যাপারে নাফ নদীতে সর্বোচ্চ সতর্ক পাহারায় রয়েছে বর্ডার গার্ড (বিজিবি)।
টেকনাফের দমদমিয়ায় নাফ নদী ও শাহপরীর দ্বীপ সীমান্তে উন্নতমানের স্পিডবোট দিয়ে জালিয়ার দ্বীপসহ আশপাশের এলাকায় বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিজিবির টেকনাফ ব্যাটালিয়নের-২ অধিনায়ক লে. কর্নেল মো: মহিউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, নাফ নদী অতিক্রম করে মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি কোনো লোকজন যাতে সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ করতে না পারে, সেজন্য অতিরিক্ত বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। টেকনাফের সীমান্ত পয়েন্টে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। মিয়ানমারে সামরিক জান্তা বাহিনীর সাথে সশস্ত্র বিদ্রোহীদের গোলাগুলি ও সংঘর্ষের কারণে দেশটির রোহিঙ্গারা নাফ নদী দিয়ে বাংলাদেশ সীমান্তে ঢোকার চেষ্টা করছে। তবে রোহিঙ্গাদের সম্ভাব্য অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বিজিবি ও কোস্ট গার্ড।
টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপের মাঝি আবু বক্কর বলেন, মিয়ানমারের সাগরের তীরে হাজার হাজার রোহিঙ্গার অবস্থান দেখা গেছে। কমপক্ষে ২০ থেকে ২৫টি রোহিঙ্গা বোঝাই নৌকা দেখা যায়। সেসব নৌকায় করে এই পারে ঢোকার চেষ্টা করে যাচ্ছে তারা। কিন্তু বিজিবি ও কোস্ট গার্ডের ভয়ে তারা অনুপ্রবেশ করতে পারছে না।
স্থানীয় জেলে কবির আহমেদ বলেন, রোহিঙ্গাদের এলাকায় আরাকান আর্মি ঢুকে পড়েছে। এতে সংঘর্ষ বেড়ে যাওয়ায় তাদের অন্য জায়গায় আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে। তাই কয়েক হাজার রোহিঙ্গা প্রাণে বাঁচতে বিলে, সাগরের তীরে আশ্রয় নিয়েছে। তারা যেকোনো মুহূর্তে নাফ নদী পেরিয়ে বাংলাদেশ সীমান্তে প্রবেশ করবে কি না জানি না। রাতের বেলায় তারা শাহপরীর দ্বীপসহ বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে অনুপ্রবেশ করতে পারে। তবে তাদের ঠেকিয়ে রাখছে বিজিবি ও কোস্ট গার্ড।
এদিকে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে টেকনাফ সীমান্তের হ্নীলা, সাবরাং ও সেন্টমার্টিনের নাফ নদীর বিপরীতে মিয়ানমার সীমান্তে। প্রতিদিনই এসব এলাকায় গোলাগুলি ও মর্টার শেলের শব্দ পাওয়া যাচ্ছে বলে জানান স্থানীয়রা।
মিয়ানমারের মংডুর সিকদার পাড়ার রোহিঙ্গা সেলিম বলেন, আমাদের তিনটি গ্রাম ধ্বংস হয়ে গেছে। প্রাণে বাঁচতে বাড়িঘর ছেড়ে চরে আশ্রয় নিয়েছি। সাগরে বাংলাদেশের বাহিনী বেশি থাকায় সেখানে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে আমরা চেষ্টা করব সেখানে ঢোকার। না হলে বাঁচতে পারব না।
তিনি বলেন, হেলিকপ্টার থেকে বোমা মারছে। আমাদের কয়েকটি গ্রাম থেকে গোলাগুলি হচ্ছে। গ্রামগুলো হচ্ছে মংডু কাদিরবিল, নুরুল্যাহ পাড়া, বাগগুনা, নর বাইন্যা, থানাশো। এসব এলাকা থেকে রোহিঙ্গা বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো: মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের জলসীমাজুড়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে। সার্বক্ষণিক স্পিড বোট দিয়ে টহল দেয়া হয়। কোনো অনুপ্রবেশকারীকে ঢুকতে দেয়া হবে না।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪
মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫
সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই
ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের
গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি
রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের
শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা
বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা
এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা
দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম
বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের
ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?
আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু
বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ
রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী
ধূমপানকে না বলুন
জালিমের পরিণতি ভালো হয় না
অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি
মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়
১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত