কক্সবাজারের হাসপাতালগুলোতে হচ্ছে কী?
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৫:৫৭ পিএম | আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৫:৫৭ পিএম
কক্সবাজারের হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসার নামে হচ্ছ যাচ্ছেতাই। শনিবার হঠাৎ শহরের বেসরকারি কয়েকটি হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে হতবাক হয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। মন্ত্রী অসন্তোষ প্রকাশ করে এসবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নিদের্শ প্রদান করেন।
যার প্রেক্ষিতে শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারী) ইউনিয়ন হাসপাতাল ও জেনারেল হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করে ৬টি বিভাগ সীলগালা করাসহ সতর্ক করা হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন তিনদিনের এক সফরে কক্সবাজার আসেন বৃহস্পতিবার দুপুরে। তিনি তাঁর নির্ধারিত কর্মসূচির বাইরে শুক্রবার বিকাল হঠাৎ করে একটি সরকারি এবং একটি বেসরকারি হাসপাতাল
পরিদর্শন করার সিদ্ধান্ত নেন এবং পরিদর্শনে যান। মন্ত্রীর পরিদর্শন সংক্রান্ত বিষয়ে শুক্রবার রাতে 'স্বাস্থ্য সেবা অধিদপ্তর' এর ফেসবুক ফেইসে ছবি-ভিডিও সহ একটি বিবৃতি প্রচার করে। যেখানে বলা হয়েছে, 'শুক্রবার বিকেলে মন্ত্রী আকস্মিকভাবে কক্সবাজার শহরের জেলা সদর হাসপাতাল সংলগ্ন বেসরকারি
প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন। মন্ত্রী পরিদর্শনকালে ওই হাসপাতালটির ম্যানেজারকে ধুমপানরত অবস্থায় দেখতে পান। হাসপাতালটির 'আইসিইউ'তে গিয়ে দেখেন ওখানে বিশেষজ্ঞ কোন চিকিৎসক নেই। সাধারণ চিকিৎসক দ্বারা চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডে নার্সের বদলে মিডওয়াইফের উপস্থিতি দেখতে পান। অভিযানের পর পরই ডা. টিটু চন্দ্র শীল সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, অভিযানে ইউনিয়ন হাসপাতালে আইসিইউ, সিটি স্ক্যান, পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ড ও অপারেশন থিয়েটার সীলগালা করে বন্ধ করা হয়েছে। এই বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে ব্যবস্থা দিতে নির্দেশ দেন মন্ত্রী। এছাড়া তিনি কক্সবাজার
জেলাসহ সারাদেশের সকল বেসরকারী হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর লাইসেন্স নবায়ন কার্যক্রম দ্রুততার সাথে সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন। এসময় মন্ত্রী ওই হাসপাতালের আইসিইউ থেকে শহরের দুনিয়ারছড়ার আজিম নামের একজন সংকটাপন্ন রোগীকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
এর প্রেক্ষিতে শনিবার বেলা ১২ টার দিকে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাজমিন আলম তুলি ও সদর উপজেলা পরিবার- পরিকল্পনা ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. টিটু চন্দ্র শীল এর নেতৃত্বে অভিযান
পরিচালিত হয়েছে। কক্সবাজার সিভিল সার্জন কার্যালয়ের নথিপত্র মতে, কক্সবাজার জেলায় মোট ৩৪ হাসপাতাল/ক্লিনিক, ৮৩ টি ডায়াগনষ্টিক সেন্টার, ডেন্টাল রয়েছে ১০ টি, মেডিকেল চেকআপ সেন্টার রয়েছে ৫টি।
এর মধ্যে বর্তমানে ২৭ টি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও চেকআপ সেন্টার ছাড়া অন্যান্যগুলো এখনও নবায়ন হয়নি। নবায়নের আবেদন জমা দিয়ে চলছে স্বাভাবিক কার্যক্রম। এমন কি কোন প্রকার অনুমোদন না নিয়ে পুরো জেলা শহরে পরিচালনা করা হচ্ছে অনেক প্রতিষ্ঠান।
ডা. টিটু চন্দ্র শীল বলেন, সারাদেশে চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে কক্সবাজারে অভিযান শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব হাসপাতালে অভিযান চালানো হবে।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
বগুড়ায় কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৪
মতিঝিলে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫
সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই
ডাকসু নিয়ে ৩৭৭ সংস্কার প্রস্তাব ঢাবি ছাত্রদলের
গাজীপুরে থানায় ব্যবসায়ীকে আটক করে ২ লাখ টাকা ঘুষ নিলো ওসি
রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিস অবরোধের ঘোষণা চাকরি বঞ্চিতদের
শামীম ওসমান-নানক পরিবারের বিরুদ্ধে দুই মামলা
বায়ু দূষণে আবারও শীর্ষে ঢাকা
এক মাসের মধ্যে সংস্কারের রোডম্যাপ দিবে সরকার: পরিবেশ উপদেষ্টা
দেশে ফিরেই ছিনতাইয়ের শিকার মালয়েশিয়া প্রবাসী ডালিম
বিপিএল শেষ কর্নওয়ালের
ওয়াটসাপ, টেলিগ্রাম বা বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে মেসেজ দিয়ে দেওয়া সালামের জওয়াব দেওয়া প্রসঙ্গে?
আরচ্যারী ফেডারেশনের তারুণ্যের উৎসব কর্মসূচি শুরু
বেনাপোলে আড়াই বছর পর কবর থেকে তোলা হলো বিএনপি নেতা আলিমের লাশ
রাষ্ট্রের কল্যাণে উপসচিব পদে কাকে প্রয়োজন: নীতি ও ন্যায্যতা কী
ধূমপানকে না বলুন
জালিমের পরিণতি ভালো হয় না
অখণ্ড ভারতের নীলনকশা এবং মুখোশপরা গণশত্রুদের দাস্যবৃত্তি
মাজারে হামলা ও উগ্রপন্থা কাম্য নয়
১২ কোটি জনসংখ্যার ৭ কোটি আক্রান্ত