৫ হাজার টাকার বাতি ২৭ হাজারে কিনছে রেলওয়ে
২৯ মার্চ ২০২৪, ১২:১৪ এএম | আপডেট: ২৯ মার্চ ২০২৪, ১২:১৪ এএম
রেলওয়ে পাঁচ হাজার টাকার বাতি ২৭ হাজার টাকায় কেনাসহ যন্ত্রাংশ কেনাকাটায় নানা অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেছে । চট্টগ্রাম রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল অফিসে অভিযান চালিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এমন তথ্য প্রমাণ পায়।
বৃহস্পতিবার এ অভিযান চালায় দুদক চট্টগ্রামের তিন সদস্যের একটি টিম। অভিযানে নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম দুদকের সহকারী পরিচালক এনামুল হক।
জানা যায়, দুদক টিম ট্র্যাক সাপ্লাই কর্মকর্তা কার্যালয় থেকে লিফটিং জ্যাক, ড্রিলিং মেশিন এবং কাটিং জ্যাক ক্রয়সংক্রান্ত ডকুমেন্ট সংগ্রহ করে। এতে দেখা যায়, এ পণ্যগুলোর প্রাক্কলিত দর ১ কোটি ৮১ লাখ টাকা। সেখানে এ পণ্যগুলো ১ কোটি ৯৭ লাখ টাকার অধিক ব্যয়ে কেনা হয়। যা পিপিপি এবং পিপিআরের সুস্পষ্ট লংঘন বলছে দুদক। মূলত ঠিকাদারের সঙ্গে যোগসাজশে একই ঠিকানায় নিবন্ধিত দু’টি প্রতিষ্ঠান দরপত্রে অংশ নেওয়ায় তাদের মধ্যে একটিকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়।
এ ছাড়া, বাজারমূল্য নির্ধারণ কমিটি কীসের ওপর ভিত্তি করে ওইসব পণ্যের বাজারমূল্য নির্ধারণ করেছে, সেসংক্রান্ত কোনো ডকুমেন্টস পায়নি দুদক। এরপর দুদক টিম বৈদ্যুতিক প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে ৯০টি এলইডি লাইট এবং এলইডি ল্যাম্প কেনার তথ্য সংগ্রহ করে। সেগুলোর ক্রয়সংক্রান্ত ডকুমেন্ট সংগ্রহের জন্য সিওএস’র দফতরে যায়। সেখান থেকে ডকুমেন্টস সংগ্রহ পর্যালোচনা করে দুদক টিম দেখে, প্রতিটি এলইডি লাইট ২৭ হাজার ৭০০ টাকায় কেনা হয়েছে। যা অসঙ্গতিপূর্ণ বলছে দুদক। একই টিম পরে পাহাড়তলীতে রেলের প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক ও জেলা সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে অভিযান চালায়। সেখানে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট আরঅ্যান্ডআই’র মেরামত করা কক্ষ পরিদর্শন করেন। সেখানে ওয়াকিটকি ক্রয়সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করা হয়। পর্যালোচনায় প্রাথমিকভাবে অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া যায়। দুদকের সহকারী পরিচালক এনামুল হক সাংবাদিকদের বলেন, অভিযানে আমরা প্রাথমিকভাবে বেশকিছু অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছি। অভিযোগ ছিল নির্দিষ্ট মূল্যের চেয়ে আটগুণ ও ১৫ গুণ বেশি দামে এলইডি লাইট, এলইডি স্ট্যান্ড ও ওয়াকিটকি কেনা হচ্ছে। এছাড়া নূরে এলাহী ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যেসব পণ্য সরবরাহ করেছে, যেখানে অনিয়মের সত্যতা পাওয়া গেছে।
দুদকের এ কর্মকর্তা আরও জানান, বাজার দরের একটি কমিটি আছে। রেলে লিফটিং জ্যাক, ড্রিলিং মেশিন এবং কাটিং জ্যাক ক্রয়সংক্রান্ত ডকুমেন্ট সংগ্রহ করে দেখা যায়, এ পণ্যগুলো বাজার দর থেকে বেশি দামে ঠিকাদারের কাছ থেকে কেনা হয়েছে। চারটি বিভাগে আমরা অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু নথি পর্যালোচনা করেছি, যেখানে অনিয়মের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। আমরা এগুলো ভালো করে পর্যালোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেব।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
এশিয়ার সবচেয়ে বড় কোরবানির পশুর হাট বসবে পাকিস্তানের করাচীতে
প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের প্রটোকল অফিসার -২ রাজুর বিরুদ্ধে কুলাউড়া উপজলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ !
বর্তমান সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর : শেখ হাসিনা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিখোঁজের চারদিন পর বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার
কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে : রাষ্ট্রপতি
বন্যার পর এবার ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়লো দুবাই
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফুটবল খেলা শেষে হামলায় যুবক নিহত
আরও কমলো স্বর্ণের দাম
ইপিজেড ও বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে দক্ষিণ কোরীয় বিনিয়োগ চায় বাংলাদেশ
থাই ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখতে কাজ করেছিল তিন বিদেশি শক্তি: জিএম কাদের
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে সুসংহত করতে হবে: ধর্মমন্ত্রী
বৃত্তি পেল সেরা ১৫ জন স্কুল ক্রিকেটার
দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক বাঁধা দূর করতে ভুটান ও বাংলাদেশ উভয় পক্ষ সম্মত
ইয়েমেন উপকূলে জাহাজে আবারো ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
বাবরের ব্যাটে পাকিস্তানের লড়াইয়ের পুঁজি
বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল উন্নয়ন দেখতে পায় না: ওবায়দুল কাদের
বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড যে পাঁচটি দ্বিপাক্ষিক নথি স্বাক্ষর হলো
একটি ছাগল দিয়ে ছেলে এবং মেয়ের আকিকা করা প্রসঙ্গে।
নারীর প্রতি বৈষম্য দূর করতে সরকার নিরন্তর কাজ করছে : মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী