সামাজিক মাধ্যমে নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময়, অপসংস্কৃতি বর্জনের আহ্বান
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৩১ পিএম | আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৩১ পিএম
আজ পহেলা বৈশাখ। শুরু হলো আরও একটি নতুন বাংলা বছর। বিদায় ১৪৩০, স্বাগত ১৪৩১। প্রতিবছর নববর্ষকে বরণ করতে থাকে নানা আয়োজন। সেই আয়োজনের ঢেউ পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও। ফেসবুকে বাণী, কবিতা, গান, পোস্টার ইত্যাদি শেয়ার করে এই শুভেচ্ছা বিনিময়ে মেতে ওঠেন নেটিজেনরা। একইসাথে পহেলা বৈশাখ উদযাপনের নামে অপসংস্কৃতির চর্চার বিরুদ্ধেও সরব আওয়াজ তুলেছেন তারা।
বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ বিভিন্ন রকমের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়ে
থাকে। বাংলাদেশ ছাড়াও আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও বাংলা নববর্ষ পহেলা বৈশাখ
উদযাপন করা হয়। প্রতিবছর ইংরেজি সনের ১৪ এপ্রিল বাংলাদেশ পহেলা বৈশাখ পালিত হয়।
নতুন বছরের সূর্য উঠতেই ১লা নববর্ষ উপলক্ষে অনেকেই একে অপরের সাথে শুভেচ্ছা
বিনিময় করেন। অনেকেই নববর্ষের শুভেচ্ছা স্ট্যাটাস এর মাধ্যমে ফেসবুকের সকল বন্ধুদেরকে পহেলা বৈশাখের শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন।
এই স্রোতে শামিল হয়েছেন দেশের ক্রিকেটের বড় তারকা সাকিব আল হাসান। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে একটি শুভেচ্ছা ব্যানার পোস্ট করে সাকিব লিখেছেন, ‘শুভ নববর্ষ! আশা করি আমাদের সবার জীবনে এই নতুন বছর অঢেল সুখ, শান্তি এবং আনন্দ নিয়ে আসবে।’
নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে ক্রিকেটার লিটন কুমার দাস নিজের ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, শুভ নববর্ষ! সবাইকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা।
মো: রুবেল হোসেন লিখেছেন, সবাইকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা শুভ নববর্ষ ১৪৩১!!বাংলা নববর্ষ বাঙালি জাতির একটি সংস্কৃতি। তারুণ্যেই শক্তি নিয়ে সুন্দর আগামীর প্রত্যাশায়..।
শরিফুল হাসান লিখেছেন, ঈদ কিংবা পূজা নয়, বড়দিন কিংবা বুদ্ধ পূর্নিমা নয়, বাংলা নববর্ষই এইদেশের একমাত্র সার্বজনীন উৎসব যা এই দেশের সবাইকে এক বন্ধনে আবদ্ধ রেখেছে। এই বন্ধনের নাম বাংলাদেশ। আমরা কেউ মুসলমান, কেউ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, চাকমা বা মারমা হিসেবে জন্মাই। কিন্তু সবার একটাই দেশ বাংলাদেশ। সার্বজনীন উৎসব নববর্ষ। সবাইকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা। ভালো থাকুন সবাই। ভালো থাকুক প্রিয় বাংলাদেশ।
শুভেচ্ছা জানিয়ে মোঃ সায়েম সারোয়ার লিখেছেন, শুভ নববর্ষ ১৪৩১। সবাইকে জানাই বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা, এ যেন সমস্ত গ্লানি ও জরা মুছে দিয়ে এক সম্ভাবনাময় আগামীর শুরু। এ যেন বাঙালীর নতুন জীবনের প্রতীক। নতুন বছর সবার জীবনে বয়ে আনুক সুখ-শান্তি, সমৃদ্ধি ও সুস্থতা।
এদিকে, প্রগতিশীলতার নামে এখন পহেলা বৈশাখ উদযাপনের নামে অপসংস্কৃতির চর্চার বিরুদ্ধে অনেককেই সোচ্চার হতে দেখা গেছে। পহেলা বৈশাখকে সামনে রেখে গেল কয়েকদিন সামাজিক মাধ্যমে সাংস্কৃতিক আগ্রাসণের বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক প্রচার ছিল চোখে পড়ার মতো।
সমালোচকরা লিখেছেন, দেশজ সংস্কৃতি হটিয়ে হিন্দুত্ববাদকে যায়গা করে দিতে বাংলা নববর্ষ উদযাপনে বিজাতিয় সংস্কৃতি তথাকথিত ‘মঙ্গল শোভাযাত্রার’ আয়োজন করা হয়। বাঁশ-কাঠ-কাগজের তৈরি হাতি, ঘোড়া, ময়‚র বাঘ, সিংহ, প্যাঁচার দখলে চলে গেছে পহেলা বৈশাখ। পহেলা বৈশাখ পালনের নামে শোভাযাত্রায় মুখোশ পরে নতুন বছরকে মিথ্যার মুখোশের আবরণে ঢেকে দেয়া হচ্ছে।
পহেলা বৈশাখে বিজায়ী সংস্কৃতির এই আগ্রাসন নিয়েও অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাদের একজন কামাল উদ্দিন লিখেছেন, বাংলা সনের প্রথম দিন কোনটা। আর বৈশাখী পুজা কোনটা। জানতে পারলেই জট খুলে যাবে।হিন্দু নববর্ষ এবং বাংলা নববর্ষ দুটি ভিন্ন বিষয়।
বাংলা সনের হিশাব গননা হয় হিজরি থেকে (হিজরত থেকে হিজরি) আর হিজরি গণনা শরু হয় মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি এর মক্কা থেকে মদিনায় হিজরতের দিন থেকে। অতএব কেউ যদি বাংলা সনের গোড়ায় যায় তাহলে সে দেখতে পাবে হিজরতের দিনয় হবে বাংলা সনের শুরুর দিন। প্রত্যেক বর্ষের গোড়া ১ দিয়ে শুরু হলেও বাংলাসনের ১ নেই।একারনে এই বাংলা নববর্ষ একান্তই মুসলমানদের।
হিন্দুত্ববাদিরা এই দিনে পুজা করে। যেহেতু ওরা বিশ্বাস করে জীবজন্তু মানুষের ভালমন্দ বিচার করতে পারে। শোভাযাত্রায় জীব জন্তুর প্রতিকৃতি বহন করে থাকে। মুসলমানেরা আবশ্যই বাংলা নববর্ষ পালন করবে, আর পুজা করবে হিন্দুরা।"হিন্দু নববর্ষ এবং বাংলা নববর্ষ দুটি ভিন্ন বিষয়"
ফরিদি নোমান লিখেছেন, ছিলো 'আনন্দ শোভাযাত্রা', হয়ে গেলো 'মঙ্গল শোভাযাত্রা'। ১৩৯৬-এর বাংলা নববর্ষকে স্বাগত জানাতে সেসময়ের চারুকলা ইন্সটিটিউট, ঢাকা'র ছাত্রদের আইডিয়ায় শুরু হয়েছিলো 'বৈশাখ উৎসব-১৩৯৬, আনন্দ শোভাযাত্রা'। আমরা সেকালে যারা চারুকলায় পড়াশোনা করতাম তারা নিজেরাই চাঁদা এবং পরিশ্রম দিয়ে এই আয়োজন করেছিলাম। সেই 'আনন্দ শোভাযাত্রা' কীভাবে 'মঙ্গল শোভাযাত্রা' রূপ পেলো তা গবেষণার দাবি রাখে। সবাইকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা।
রাফাত বিন সাদাফ লিখেছেন, যে জাতির দরিদ্র জনগোষ্ঠীর অর্থে পরিচালিত সেরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমন কলাবিজ্ঞানী উৎপাদিত হয়, যাদের সবচেয়ে বড় স্বপ্ন ও অর্জন হয় রাস্তায় পৃথিবীর সর্ববৃহৎ আল্পনা আঁকা, আর বিশ্বাস হয় হুতুম পেচায় মঙ্গল নিহিত। সে জাতির ভাগ্যাকাশে যে. কালো মেঘের ঘনঘটা ও অমাবস্যার অন্ধকার নেমে আসবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
জুলাই বিপ্লবের ঐক্য বিনষ্টের ষড়যন্ত্র চলছে : হাসান সরকার
তথ্য কমিশনার মাসুদা ভাট্টিকে অপসারণ করলেন প্রেসিডেন্ট
নরসিংদীতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার হালনাগাদ তথ্য সংগ্রহ চলছে
কুষ্টিয়ায় প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চলাচল করছে বালুভর্তি ড্রামট্রাক
আমতলীতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ২ কোটি টাকা মূল্যের ১৬টি দোকান পুড়ে ছাই
ঘোড়াঘাটে সিসি ক্যামেরার সামনে থেকে দিনের বেলায় মোটরসাইকেল চুরি
ট্রাম্পের জন্য জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব আইন পরিবর্তন কঠিন হতে পারে
লেবাননের নতুন নেতৃত্বে হিজবুল্লাহর প্রভাব কি হ্রাস পাচ্ছে?
টিকটককে ৭৫ দিন সময় দিলেন ট্রাম্প
আদানি পুত্রের বিয়েতে আসছেন টেইলর সুইফট!
বেনজীরের সাভানা ইকো রিসোর্টে এনবিআরের অভিযান, মিলেছে বিপুল পরিমাণ কর ফাঁকির প্রমাণ
৭ দিনের মধ্যে প্রত্যাহার হবে রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা: আইন উপদেষ্টা
পঞ্চগড়ে তারুণ্যের উৎসবে বিনামুল্যে চক্ষু শিবির
আগামীকাল নেত্রকোণা জেলা যুবদলের সভাপতি মরহুম আল আমিন খান পাঠানের মৃত্যুবার্ষিকী
তুরস্কের হোটেলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত ১০, আহত আরও ৩২
কাল উত্তরায় আসছেন ধর্ম উপদেষ্টা ২ দিনব্যাপী ওয়াজ মাহফিল ও হালকায়ে জিকির শুরু কাল
কুলাউড়া উপজেলা ও পৌর বিএনপির আহবায়ক কমিটি ঘোষণা
জয়পুরহাট সীমান্তে বিএসএফের বেড়া, বিজিবির বাধায় কাজ বন্ধ
অনির্বাচিত সরকারের চেয়ে নির্বাচিত সরকার ভালো : মির্জা ফখরুল
ধরা পড়েননি পালানো ওসি, ‘সম্ভবত’ ইন্ডিয়া চলে গেছেন: ডিএমপি কমিশনার