প্রেম করে মোর্শেদা খানম (২০) নামে এক তরুণীকে বিয়ে করেন নিশাত শেখ নামে এক যুবক। কিন্তু বিয়ের পর বাসর রাত কাটিয়ে পরদিন শ্বশুর বাড়িতে নববধূ মোর্শেদাকে রেখে পালিয়ে যান স্বামী নিশাত। এতে উলটপালট ওই তরুণীর জীবন। অবশেষে কোন উপায় না পেয়ে স্বামীর স্বীকৃতি পেতে শ্বশুর বাড়িতে অবস্থান নেন তিনি। তবে মোর্শেদা ওই বাড়িতে কয়েক ঘন্টা অবস্থান নেওয়ার পর শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে হাতুরি পিটিয়ে আহত করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে তাকে উদ্ধার করে নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকালে হাতুড়ি পেটা খেয়ে ওই তরুণী হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জয়দেব কুমার সরকার।

এর আগে বুধবার (১৭ প্রিল) রাতে ফরিদপুরের সালথা উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের ফুলবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত স্বামী ফুলবাড়িয়া গ্রামের মো. দুলাল শেখের ছেলে। আর ভুক্তভোগী তরুণী পাশের সোনাপুর ইউনিয়নের চান্দাখোলা গ্রামের সিদ্দিক সর্দারের মেয়ে। ভুক্তভোগী মোর্শেদা খানম এসব তথ্য জানান।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, নিশাতের সঙ্গে আমার ফেসবুকে পরিচয়। এরপর টানা ৯ মাস প্রেম সম্পর্ক চলছিল। প্রেমের সুবাধে নিশাত মাঝে মাঝে আমাদের বাড়িতে আসতেন। একপর্যায় গত ৯ এপ্রিল তার ব্যক্তিগত সম্মতিতে আমাদের বাড়িতে বিয়ে সম্পন্ন করা হয়। বিয়ের পর আমার সঙ্গে বাসর রাত কাটিয়ে পরদিন সকালে আমাদের বাড়ি থেকে পালিয়ে যান নিশাত। এরপর গত এক সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও আমার সাথে কোন যোগাযোগ করেনি। এই জন্য বুধবার সকালে আমি আমার স্বামীর বাড়িতে চলে আসি। কিন্তু সন্ধ্যার পর শ^শুরবাড়ির লোকজন আমাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে।

নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জয়দেব কুমার সরকার বলেন, মোর্শেদা নামে কোন তরুণী হাসপাতালে ভর্তি আছে। তবে তার শারীরিক অবস্থার বিষয়টি আমরা প্রকাশ করবো না। যদি ওই তরুণীর পরিবার আইনী আশ্রয় নেয় তাহলে, লিখিতভাবে সব তথ্য প্রদান করা হবে।

সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমান বলেন, ট্রিপল নাইন নম্বরে ফোন করে বিষয়টি আমাদের জানান ওই তরুণী। তবে তিনি লিখিত কোন অভিযোগ করেননি।

ফরিদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল-নগরকান্দা) মো. আসাদুজ্জামান শাকিল বলেন, বিষয়টি জেনেছি। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হবে। আর যদি ওই তরুণীর পরিবার লিখিত অভিযোগ দেয়, তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।