ফরিদপুর সদর থানার কানাইপুর দিগনগর এলাকায় গত (১৬ এপ্রিল) সড়ক দুর্ঘটনায় ১৫ জন ব্যক্তির মৃত্যু হয়। তাদের রক্তের দাগ শুকাতে না শুকাতেই আবারও সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেল একজন গুরুতর আহত হয়েছে ৫ জন। এদের মধ্যে রক্তাক্ত জখম হওয়া ৩ জনকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এখনও চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (১৯ এপ্রিল) ফরিদপুরের কৈজুরী ইউনিয়নের সমেশপুর ‌ এলাকায় ‌ সড়ক দুর্ঘটনায় ‌আরো এক ব্যক্তি মারা গেছেন এবং আহত হয়েছে আরও ৫ জন।
জানাযায়,বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল)
ফরিদপুর সদর উপজেলার কৈজুরি ইউনিয়নের সমেশপুর নামক এলাকায় মাইক্রোবাস ও মাহেন্দ্র গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।

প্রত্যদর্শী ও মাইক্রোবাসে থাকা আহতরা ইনকিলাব কে জানান, ঘটনার সময়
ফরিদপুর থেকে সালথাগামী একটি হাইয়েস মাইক্রোবাস (যার নম্বর -ঢাকা মেট্রো- চ ১৬-০৭৪৫)
এর সাথে বিপরীত দিক হতে আসা, একটি যাত্রীবাহী মহেন্দ্রের মুখোমুখি সংঘর্ষে হয়।

এঘটনায় একাধিক ব্যক্তি গুরুতর আহত হন। ‌ তিনিই মাহিন্দ্র গাড়ির চালক
সিদ্দিক মোল্লা (৫৫) ,পিতা- জীবন মল্লিক সাং- সালথা বাজার থানা- সালথা জেলা- ফরিদপুর।
খন্দকার জিল্লুর হক সুমন(৪০)
পিতা- মৃত খন্দকার সামসুল হক
সাং -কাফুরা থানা -কোতোয়ালি জেলা -ফরিদপুর

এমদাদ (৫০) পিতা- মৃত তারা যুথি সাং-ঘোড়াদাহ থানা-
কোতোয়ালি জেলা --ফরিদপুর।

লাইজু (৩৮)
পিতা -মো নুরুল ইসলাম ব্যাপারী সাং -সাদীপুর থানা -কোতোয়ালি জেলা -ফরিদপুর।

আক্তারুজ্জামান হিমু (৫৭) পিতা-মৃত সিরাজ উদ্দিন মোল্লা সাং -ভাওয়াল থানা -সালথা জেলা - ফরিদপুর আহত হয়।

পরবর্তীতে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাহেন্দ্র গাড়ির ড্রাইভার এমদাদ (৫০) পিতা- মৃত তারা যুথি সাং-ঘোড়াদাহ থানা- কোতোয়ালি, জেলা - ফরিদপুর মৃত্যুবরণ করেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানাযায়।
এ ছাড়াও গুরুতর অবস্থা থাকায় অন্য একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরন করা হয়েছে।

বর্তমানে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ০৩ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে।

দুর্ঘটনা কবলিত হাইয়েস মাইক্রোবাস ও মাহেন্দ্র স্থানীয় কোতোয়ালি থানা পুলিশ হেফাজতে নিয়েছেন।

এ সংক্রান্ত পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ চলমান রয়েছে বলে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানা সূত্রে জানাগেছে।

উল্লেখ্য, ২ দিন আগে তথা মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল ৭:৩০ মিনিটে ফরিদপুর সদর থানার কানাইপুরপুর দীগনগর এলাকায় বাস ও পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে ১১ জন, হাসপাতালে নেওয়ার পথে একজন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২ জন এবং ঢাকায় উন্নত চিকিৎসা দিতে নেওয়া নারীর ও ঢাকা হাসপাতালে মৃত্যু হয়। এ নিয়ে মোট মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাড়ায় ১৫ জনে।

কানাইপুর সড়ক দুর্ঘটনায় ঘটনায় গতকাল বুধবার (১৭ এপ্রিল) বাসের ড্রাইভার কে ১ নং আসামি করে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা হয়।

এদিকে ১৭ তারিখ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের প্রত্যেকের পরিবার কে ৫ লাখ টাকা এবং আহতদের প্রত্যেকে ৩ লাখ করে টাকা অনুদান ঘোষণা করেন ফরিদপুর জেলা প্রশাসক। কিন্তু এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বৃহস্পতিবার শমেসপুর এলাকায় নিহত ও আহত ব্যক্তিদের বা তাদের পরিবারকে নগদ কোন আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে কিনা তা জানাযায়নি।
ফরিদপুর সড়কের মৃত্যুর মিছিল চলছেই কোন মতেই থামছে না।