দীর্ঘ ৭ বছর ধরে পলাতক ১৫ বছরের সশ্রম কারাদ-প্রাপ্ত আন্তঃজেলা মাদক স¤্রাট নাজমুল ইসলাম কাজলকে ১৮৫০ পিস ইয়াবাসহ ৩ জন পেশাদার মাদক ব্যবসায়ীকে রাজবাড়ী সদর থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১০, সিপিসি-৩, ফরিদপুর ক্যাম্প। সে কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার জয়নাবাদ মন্ডল পাড়ার মৃত নুরুল ইসলাম ওরফে টিয়ালার ছেলে।
শুক্রবার সকালে র‌্যাব-১০ ফরিদপুর ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক কেএম শাইখ আকতার প্রেরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার সময় র‌্যাব-১০, সিপিসি-৩ ফরিদপুর ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আন্তঃজেলা মাদক স¤্রাট নাজমুল ইসলাম কাজল (৩৯) অন্যান্যদের সহযোগিতায় ইয়াবা বিক্রির জন্য রাজবাড়ী সদর থানার আলাদীপুর বাজার মাজার গেইটের অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে পাংশা থানার ২০১৭ সালের ২৪ আগস্ট মাদক মামলায় পনের বছরের সশ্রম কারাদ- ও ১০ হাজার টাকা অর্থদ- প্রদান করে। এরপর থেকে দীর্ঘ ৭ বছর ধরে পলাতক আসামী নাজমুল ইসলাম কাজল সহ তার অপর দুইজন সহযোগী মাদক ব্যবসায়ী কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী থানার ছেঁউড়িয়া, মন্ডলপাড়ার মোহাম্মদ মুরাদের ছেলে তাওহিদুল ইসলাম রাফিদ (২১), একই গ্রামের মোঃ আব্দুর সাত্তারের মেয়ে মোছাঃ বর্ষা খাতুন (১৯) কে ১৮৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট সহ হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাদের নিকট থেকে ১টি মোবাইল ফোন ও নগদ এক হাজার চল্লিশ টাকা উদ্ধার করা হয়।
ধৃত আসামী নাজমুল ইসলাম কাজল একজন আন্তঃজেলা মাদক কারবারি ও অন্যান্যরা চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তারা দেশের সীমান্তবর্তী জেলার বিভিন্ন বর্ডার এলাকা থেকে চোরাই পথে মাদকন্ত্রব্য এনে ফরিদপুর, কুষ্টিয়া, রাজবাড়ী জেলাসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় বিক্রি করতো। আসামী কাজলের নামে কুষ্টিয়া জেলার সদর ও রাজবাড়ী জেলার পাংশা ও গোয়ালন্দঘাট থানায় একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। ধৃত আসামী কাজলের নামে মাদক মামলায় একটি ১৫ বছরের সাজা ওয়ারেন্ট রয়েছে। এছাড়াও আসামী কাজলের নামে একাধিক ওয়ারেন্ট রয়েছে। বার বার গ্রেপ্তার হবার পরও সে জামিনে মুক্ত হয়ে বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করে মাদকব্যাবসা অব্যাহত রেখেছিল। গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে রাজবাড়ী সদর থানায় মাদক মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার রাজবাড়ী আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।