কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন বলেন, জেলা প্রশাসনের প্রথম কাজ হবে দূর্নীতি উৎখাত করা, চোরাআালান প্রতিরোধ, পৌর শহরের পানিবদ্ধতা দূর করা, পাহাড় কাটা ও পাহাড়ে বসবাস দূর করা এবং জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসন জনগের সাথে থাকবে।

পর্যটক আকর্ষণে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে জানিয়ে জনগনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে এবং উপকুলীয় এলাকায় যাতায়াত সহজ ও নিরাপদ করা হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক।

আজ বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন এসব কথা বলেন।

জেলা প্রশাসক বলেন, আমরা জেলা প্রশাসন হিসেবে দেখাতে চাই জনগনের কাছে আমরা আছি। তিনি মিডিয়া কর্মীদের সবসময় তাঁর কাছে থাকার আহবান জানান।
সকল সংবাদ মাধ্যমকে তিনি স্বাধীন ও ফ্রীভাবে কাজ করার আহবান জানান। এক্ষেত্রে জেলা প্রশাসন থেকে সার্বিক সহযোগিতা থাকবে বলেও জানান তিনি।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন,
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব)
বিভীষণ কান্তি দাশ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল গণি ওসমানী ও সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আজিম খান।

কক্সবাজার প্রেসক্লাব সভাপতি মাহবুবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মমতাজ উদ্দিন বাহারী, সিনিয়র সাংবাদিক মুহম্মদ নুরুল ইসলাম, দৈনিক ইনকিলাবের কক্সবাজার ব্যুরো প্রধান শামসুল হক শারেক, এইচ এম এরশাদ ও কামাল হোসন আযাদসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্টিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য বিগত আওয়ামী দুঃশাসনের সময় জেলার সর্বক্ষেত্রে দূর্নীতি আর লুটপাটের আখরায় পরিনত হয়েছে।

এসময় বক্তারা বলেন, জেলা প্রশাসন ভবনসহ জেলার সকল পর্যায় থেকে দূর্নীতি উৎখাত করতে হবে। রোহিঙ্গাদের দ্রত প্রত্যাবাসন বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে। বীচ মেনেজমেন্ট কমিটি পুঃনর্গঠন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনাতার আন্দোনলে ছাত্রদের মিছিলে যে ঘাতকরা প্রকাশ্যে গুলি করেছিল তারা এখনো গ্রেপ্তার হয়নি। তাদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবী জানান।