গাজীপুর জেলার বিভিন্ন কারখানার আন্দোলনরতশ্রমিকরা আইনসৃঙ্খলা বাহিনী ও কারখানা কর্তৃপক্ষের আশ্বাসের প্রতিশ্রুতিতে কাজে ফিরে গেলেও টঙ্গীতে ৩ কারখানার শ্রমিকরা তাদের বকেয়া বেতনের দাবিতে আবারও কর্মবিরতি পালন করেছেন। সকাল থেকে শ্রমিকদের কর্মবিরতির কারণে ওই তিন কারখানায় উৎপাদন বন্ধ ছিল। একাধিক প্রাপ্ত তথ্য তোকে জানা গেছে, টঙ্গীর সিজন্স ড্রেসেস লিমিটেড পোশাক কারখানাসহ আরও দুই পোশাক কারখানার শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করেছেন। টঙ্গী পশ্চিম থানার খাঁ পাড়া এলাকার ওই কারখানার প্রায় ১৫০০ শ্রমিক জুলাই মাসের অবশিষ্ট (অর্ধেক) বেতনের দাবিতে উৎপাদন কাজ বন্ধ করে কারখানা অভ্যন্তরে কর্মবিরতি পালন করেন। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় কারখানায় প্রবেশ করে তারা কর্মবিরতি শুরু করেন।

শ্রমিকরা জানান, গত মঙ্গলবার মালিকপক্ষ জুলাই মাসের অর্ধেক বেতন পরিশোধ করেছে। বাকি অর্ধেক বেতন পরিশোধ করেনি। বলেছে বকেয়া বেতন পরে পরিশোধ করা হবে। এটা আমরা মানতে পারবো না। বকেয়া বেতন পরিশোধ করে আমাদের কাজে নিতে হবে। গত মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সিজন্স ড্রেসেস লিমিটেডের শ্রমিকরা জুলাই মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছিলেন। ওই সময় কারখানা কর্তৃপক্ষ তাদের ওই মাসের অর্ধেক বেতন পরিশোধ করেছিল।

গাজীপুর শিল্পপুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (টঙ্গী অঞ্চল) মোশাররফ হোসেন জানান, সিজন্স ড্রেসেস লিমিটেড পোশাক কারখানার শ্রমিকদের আগামী রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) বকেয়া বেতনের অর্ধেক পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কারখানা কর্তৃপক্ষ। ঘোষণার দিন শ্রমিকরা কারখানা কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত মেনে নিলেও বকেয়া অর্ধেক বেতনের জন্য তারা বৃহস্পতিবার আবার কারখানার ভেতরে কাজ বন্ধ করে কর্মবিরতি পালন করেন।

তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে গাজীপুর টঙ্গী পশ্চিম থানার সাতাইশ রোড, উত্তর আউচপাড়া এলাকার এস আর পি সোয়েটার লিমিটেডের প্রায় দুই শতাধিক শ্রমিক আগস্ট মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে উৎপাদন বন্ধ রেখে কারখানার অভ্যন্তরে কর্মবিরতি পালন করেন। সকাল ১০টার দিকে টঙ্গী পূর্ব থানার পাগাড় এলাকায় শিশির নিটিং অ্যান্ড ডাইং লিমিটেড কারখানার ১২৫০ জন শ্রমিক আগস্ট মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে কারখানার প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান করেন। ঘটনাস্থলে শিল্পপুলিশ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।