শ্রমিক উস্কানির পেছনে আওয়ামী পন্থী এক শীর্ষ ব্যবসায়ীকে নিয়ে গুঞ্জন!
০২ অক্টোবর ২০২৪, ০১:১৩ পিএম | আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০২৪, ০১:১৩ পিএম
হাসিনার পতনের পর হিন্দুত্ববাদী ভারতের অন্যতম প্রধান টার্গেট হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প। জুডিশিয়াল ক্যুসহ বিভিন্ন সেক্টরে একের পর এক বিশৃংখলা সৃষ্টির টার্গেট করে ব্যর্থ হয়ে এখন গার্মেন্টস শিল্পকে নিয়ে ষড়যন্ত্র মেতে উঠেছে পতিত স্বৈরাচার। এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ক্ষোভ জানিয়েছেন সচেতন নাগরিক সমাজ।
সোশাল মিডিয়ায় গুঞ্জন চলছে, সাভার ও আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক আন্দোলনের নেপথ্যে কলকাঠি নাড়ছে আওয়ামী পন্থী একজন শীর্ষ ব্যবসায়ী। বহু গার্মেন্টস কারখানাসহ একটি গ্রুপ অব কোম্পানির মালিক তিনি। তার ইন্ধনেই চলছে অস্থিরতা।
নেটিজেনদের মন্তব্য, আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী সেই ব্যবসায়ী নেতা পোশাক খাতকে অস্থিতিশীল করতে নিজের প্রভাব খাটাচ্ছেন। সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে হয়তো নিজের জায়গা করে নিতে চাইছেন ফ্যাসিবাদের দোসর সেই ব্যবসায়ী।
এদিকে, পোশাক শ্রমিকদের মাঝে অসন্তোষের কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ক্ষমতার পালাবদলে ঝুট ব্যবসা দখল ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের অনুসারীদের মাধ্যমে পোশাক শিল্পের অস্থিরতা তৈরি করছে। ফলে হুমকির মুখে পড়েছে দেশের পোশাকখাত।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, অস্থিরতার পেছনে দেশি-বিদেশি চক্রান্তকারীরা জড়িত বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে। শ্রমিকদের পক্ষে করা দাবিগুলো কতটা যৌক্তিক? নাকি শ্রমিকদের আড়ালে কোনো চক্র অস্থিতিশীল করে তুলতে চায় পোশাকখাতকে, তা এখন অনেকটাই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
মিনার রশিদ নামে একজন লিখেছেন, শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক আন্দোলনের নেপথ্যে কলকাঠি নাড়ছে আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী একজন শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতা ও তার অনুসারীরা। তার অনুসারীরা বিভিন্ন পরিচয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে ও পোশাক শিল্পে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে। তাদের অনেকে নিজদের পরিচয় পাল্টিয়ে বিএনপির সাথে মিশে অরাজকতার সৃষ্টি করছে। এবিষয়ে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীকে অবশ্যই তৎপর হতে হবে।
জাহিদ ইমন নামে আরেকজন লিখেছেন, শ্রমিকের বেশ ধরে আওয়ামী লীগের এজেন্ট এবং হাসিনার তাবেদার মালিকরা ভারতের নীল নকশা বাস্তবায়নে গার্মেন্টসে সংকট জিইয়ে রাখছে। চাপ সৃষ্টি করে ভেতর ভেতর তারা সরকারের উপদেষ্টা প্যানেলে জায়গা করে নেওয়ার পাঁয়তারা করছে। ফ্যাসিবাদের দোসর ব্যবসায়ী নেতাদের কখনই পদপদবী দিয়ে পুনর্বাসন করা ঠিক হবে না।
আবুল হাসান লিখেছেন, পোশাক শিল্পে কিছু মালিক রয়েছেন যারা হাসিনার তাবেদার হিসেবে চিহ্নিত এবং তারা গার্মেন্টস শিল্প থেকে আয়ের বড় অংশ দিয়ে কানাডার বেগম পাড়ায় বাড়ি, মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম, লন্ডন, দুবাই, সিংগাপুরে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন। এদের কেউ কেউ ভারতীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নে নিজের কারখানার শ্রমিকদের বেতন বন্ধ করে তাদের রাস্তায় আন্দোলনে নামার কৌশল নিয়েছেন। এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
আলাউদ্দিন সৌরবের দাবি, স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী বা মহল শ্রমিক ও শ্রমিক সংগঠনের নাম ব্যবহার করে দেশ ও শিল্পখাতকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে। তাদের চিহ্নিত করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সোপর্দ করতে পোশাক খাতে কর্মরত সকল শ্রমিক সংগঠনকে কাজ করতে হবে।
আলী হাসান লিখেছেন, দেশকে অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু করতেই ফ্যাসিবাদের দোসররা পোশাকশিল্পে অস্থিরতা তৈরি করছে।আওয়ামী লীগ ও শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীরা জনরোষের ভয়ে আত্মগোপনে থেকে শ্রমিক নামধারী বহিরাগত সন্ত্রাসীদের দিয়ে এই অরাজকতা সৃষ্টি করছেন।এর মাধ্যমে তাঁরা রাজনৈতিকভাবে পুনর্বাসনের অপচেষ্টায় লিপ্ত।
গতকাল শ্রম উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেছেন, ‘গুজব ছড়িয়ে আশুলিয়ায় সহিংসতা করা হচ্ছে এবং বিক্ষোভরত শ্রমিকদের মধ্যে ঢুকে অনুপ্রবেশকারীরা গুলি চালিয়েছে।’
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
নেপালের প্রধানমন্ত্রীর সাথে পরিবেশ উপদেষ্টার সাক্ষাৎ
যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ঢাকায় গ্রেপ্তার
রাজধানীতে কৃষক লীগ সভাপতি সমীর চন্দ গ্রেপ্তার
ব্যর্থতার আবর্তে ম্যান ইউ
যেখানে নাহিদাই প্রথম
যুক্তরাষ্ট্রে ২ লাখ ডলারে লবিস্ট নিয়োগ করেছেন জয়
সরকারের সর্বত্র এখনো শেখ হাসিনার দোসররা সক্রিয় : রিজভী
পোশাক খাতে অস্থিরতা
সরকারি হাসপাতালের টয়লেট ব্যবস্থাপনা এত করুণ কেন
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের জন্য রহমত স্বরূপ
পাচার করা অর্থ ফেরত আনতে দুদকের উল্টো সুর কেন
বৈষম্যহীন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করাই বিএনপির একমাত্র লক্ষ্য : যুবদল সভাপতি মুন্না
বিএনপির সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সংলাপ শনিবার
চলতি পথে
সুর সম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ
ডেঙ্গু গল্প
তারেক রহমানের পক্ষে বাবুগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা নাজমুল হাসানের গণসংযোগ
অচেনা সুরে
লাতিন কবি রোকে ডালটন’র দুটি কবিতা
কোনো কিছুর উদ্দেশ্যে মানত করলে তা পুরণ না হলে করণীয় প্রসঙ্গে।