ভোগান্তির শেষ কোথায় ব্রাহ্মণপাড়ায় রাস্তার উপর বাঁশের সাঁকো ৫০ হাজার মানুষের দুর্ভোগ চরমে
০৭ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৩৪ পিএম | আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৩৪ পিএম
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় বন্যা শেষ হয়ে গেলেও মানুষের দুর্ভোগ এখনো শেষ হয়নি। উপজেলার চান্দলা টানাব্রীজ-মন্দভাগ সড়কটির ৩ কিলোমিটার মধ্যে ৩ টি স্থানে বন্যার পানির স্রোতে ভেঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ফলে বন্যা পরবর্তী সময় থেকে এখনো পর্যন্ত সড়কটিতে যান-চলাচল বন্ধ রয়েছে। সড়কের বাকী অংশজুড়ে কার্পেটিং ও পিচ উঠে ইটের খোয়া বেরিয়ে গেছে এবং কয়েকশ ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এ সড়কে বর্তমানে পায়ে হেঁটে চলাচলের জন্য তিন স্থানে রাস্তায় উপর বাঁশের সাঁকো তৈরি করে এলাকাবাসী।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, সড়কের শান্তিনগর এলাকার পশ্চিম অংশে প্রায় ৫০ ফুট, একই এলাকার পূর্ব অংশে প্রায় ১০০ ফুট এবং সড়কের দেউশ অংশে প্রায় ২০ ফুট ভেঙ্গে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
উপজেলার রামচন্দ্রপুর, শান্তিনগর, সাজঘর, দেউশ, রাহুল খাঁর, চড়ের পাথর, মন্দভাগ, চৌব্বাস, গ্রামের প্রায় অর্ধলক্ষ মানুষের আসা-যাওয়ার একমাত্র সড়ক এটি। সড়কটি দিয়ে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এসব গ্রামের মানুষের চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, চাকরিজীবী ও শ্রমজীবী মানুষেরা পায়ে হেঁটে বিভিন্ন স্থানে যেতে হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে শিশু, মহিলা ও বিভিন্ন রোগীরা।
এ ব্যাপারে চান্দলা শান্তিনগর গ্রামের অপু আহমেদ জানান, বন্যার পানির স্রোতে এই সড়কের তিনটি স্থান ভেঙ্গে যায়। আমরা যু্বসমাজ স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে তিনটি স্থানে বাঁশের সাঁকু দিয়ে পায়ে হেটে চলাচলের ব্যবস্থা করেছি। কিন্তু এখন যান-চলাচল বন্ধ থাকায় প্রতিদিন প্রায় ৩ কিলোমিটার হেটে (মিরপুর-কুমিল্লা) সড়কে এসে বিভিন্ন যানবাহনে উঠতে হয়।
মোশাররফ হোসেন খান চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ছাত্র ও সাজঘর উত্তরপাড় গ্রামের বাসিন্দা শাকিব বলেন, আমার কলেজের ক্লাস শুরু হয় সকাল ১০ টায়। আমি বাড়ি থেকে ৮ টার সময় রওনা দিয়ে বের হতে হয়। কারণ আমার প্রায় আড়াই কিলোমিটার পথ হেঁটে গাড়িতে উঠতে হয়। এই সড়কটি অতি জরুরী ভিত্তিতে মেরামত না হলে আমাদের ভোগান্তি শেষ হবে না। তাই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের অনুরোধ সড়কটি যেন অতি দ্রুত মেরামত করার ব্যবস্থা করা হয়।
এ ব্যপারে জানতে চাইলে শশীদল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুল ইসলাম রিয়াদ বলেন, আমার ইউনিয়নে রাস্তাগুলো বন্যায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাছাড়া উপজেলা সদরের যাওয়ার একমাত্র সড়কটি (মন্দভাগ - চান্দলা) বিভিন্ন জায়গায় ভেঙে গেছে। আমার শশীদল ইউনিয়নের এ সমস্ত সড়ক মেরামত করে সাধারণ মানুষের চলাচলের উপযোগী করতে প্রায় ৩ থেকে ৪ কোটি টাকা খরচ হবে বলে তিনি আরো জানান।
এ ব্যপারে এলজিইডির ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. আবদুর রহিম বলেন, বন্যায় শশীদল ইউনিয়নের প্রায় ২০ টি কাঁচা -পাকা সড়কের ৭০ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সড়কগুলো মেরামত না করলে ছোট বড় গাড়ি চলাচলে ব্যহত হবে।এ নিয়ে আমরা সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
পুরস্কারের অর্থ এখনও বুঝে পাননি অনেক ক্রিকেটার
গাজায় যুদ্ধের অবসান হওয়া উচিৎ : অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন
আবারও ইমরানের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভে উত্তাল পাকিস্তান
শীতে এই ৫টি জিনিস ব্যবহারে ত্বক দেখে মুগ্ধ হবে সবাই!
ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে বসুন্ধরা গ্রুপের চাকরি ছাড়লেন শহীদ আবু সাঈদের দুই ভাই
প্রতিরক্ষামূলক টানেল নেটওয়ার্ক নির্মাণ করবে ইরান
আইন উপদেষ্টাকে হেনস্তার ঘটনায় জেনেভা মিশনের শ্রম কাউন্সেলরকে ‘স্ট্যান্ড রিলিজ’
তারুণ্যের প্রভিভা অনুসন্ধানে আসছে রক রিয়েলিটি শো "দ্য কেইজ"
মন্দ কাজের সমালোচনায় সরব থাকবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন
বশির-ফারুকীকে অপসারণসহ ৯ দাবি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের
পাকিস্তানে সেনাবাহিনীর অভিযানে নিহত ১২
হত্যা মামলায় ভোলার সাবেক এমপি আলী আজম মুকুল ঢাকায় গ্রেপ্তার
ঘোড়াঘাটে শ্বাসরোধে যুবকের মৃত্যু, হত্যাকান্ডের অভিযোগে স্ত্রী আটক
ইসরাইলি বাহিনীর বর্বর হামলায় গাজায় নিহত ৪৭
করাচি থেকে প্রথম সরাসরি কার্গো পৌঁছেছে চট্টগ্রামে
হিজবুল্লাহর সাথে সংঘর্ষে নিহত ৬ ইসরাইলি সেনাসদস্য
রাত আড়াইটায় পঙ্গু হাসপাতালে মাহফুজসহ ৪ উপদেষ্টা, অতঃপর...
এবার বুকার পুরস্কার পেলেন ব্রিটিশ লেখক সামান্থা হার্ভে
গোয়ালন্দে অনশন করেও বিয়ের দাবী পুরণ না হওয়ায় ধর্ষণ মামলা, ঢাকা থেকে প্রেমিক গ্রেপ্তার
সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে মুখ্য ভূমিকা রাখেন করদাতারা