হিন্দুদের পূজামণ্ডপে মুসলমানদের যাওয়া, শুভেচ্ছা জানানো, সহযোগিতা করা জঘন্যতম অপরাধ। অনেকে অতি উদার সাজতে গিয়ে পূজার প্রতি মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা, পূজা অনুষ্ঠানে গিয়ে ইসলামী সংগীত পরিবেশন করা খুবই গর্হিত কাজ। চট্টগ্রামের একটি পূজাম-পে একটি ইসলামী ছাত্র সংগঠনের শিল্পীরা ইসলামী সংগীত পরিবেশন করে গর্হিত কাজ করেছে। এরা মুসলমানদের হৃদয়ে চরম আঘাত হেনেছে। তাদেরকে তওবাহ করে ইসলামে ফিরে আসতে হবে। বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রামের পূজাম-পে একটি ইসলামী ছাত্র সংগঠনের শিল্পীরা ইসলামী সংগীত পরিবেশনের প্রতিবাদে আজ শুক্রবার বিভিন্ন ইসলামী দলের নেতৃবৃন্দ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এসব কথা বলেছেন। কথিত শিল্পীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিও উঠেছে।
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ঃ বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি সুলতান মহিউদ্দিন আজ এক বিবৃতিতে বলেছেন, মহান আল্লাহ পাকের নিকট ইসলামই একমাত্র মনোনীত ধর্ম। ইসলাম ছাড়া কোন ধর্মের স্বীকৃতি তিনি দেননি। ইসলাম ধর্মের অনুসারীরাই কেবল এক আল্লার ইবাদত করে, এছাড়া বাকি সব ধর্মের লোকেরা একাধিক স্রষ্টার বিশ্বাস এবং উপাসনা করে। যাকে শিরক বলা হয়।
আল্লাহ তাআলার মনোনীত ধর্ম বাদ দিয়ে একাধিক প্রভুর পূজা বা উপাসনা করা আল্লাহর সাথে সরাসরি বিদ্রোহ। কুফর ও শিরিকের বিরুদ্ধে সকল নবীগণ অবিরাম সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন। কেননা শিরিক ও কুফর ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ। এই ভয়াবহ পাপ থেকে আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে এবং এর প্রতি ঘৃণা থাকতে হবে। তিনি আরো বলেন, হিন্দুদের পূজার সময় কিছু মানুষের মুখে শোনা যায়" ধর্ম যার যার, উৎসব সবার" একথা ইসলাম সমর্থন করে না। হিন্দুদের পূজাতে মুসলমানদের যাওয়া, শুভেচ্ছা জানানো, সহযোগিতা করা জঘন্যতম অপরাধ। তিনি আরো বলেন, অত্যন্ত দুঃখের সহিত বলতে হয়, অনেকে অতি উদার সাজতে গিয়ে পূজার প্রতি মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা, পূজা অনুষ্ঠানে গিয়ে ইসলামী সংগীত পরিবেশন করা খুবই গর্হিত কাজ। ভ্রান্ত আক্বীদায় বিশ্বাসী ছ্ড়াা কোন সচেতন মুসলমান এ ধরনের কাজ করতে পারে না। বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রামের একটি পূজাম-পে একটি ইসলামী ছাত্র সংগঠনের শিল্পীরা ইসলামী সংগীত পরিবেশন করে গর্হিত কাজ করেছে। তাদেরকে তওবাহ করে ইসলামে ফিরে আসতে হবে।
ইসলামিক মুভমেন্ট বাংলাদেশ ঃ চট্টগ্রামের একটি পূজাম-পে কথিত শিল্পীদের ইসলামী সংগীত পরিবেশনের ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে ইসলামিক মুভমেন্ট বাংলাদেশের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খায়রুল আহসান আজ এক বিবৃতিতে বলেন, চট্টগ্রামে পুজাম-পে একটি সংগীত সংস্থার কয়েক ব্যক্তি ইসলামিক গান পরিবেশন করে একটি হারাম ও অনৈসলামিক কাজ সংগঠিত করেছেন। তারা নিজেদেরকে একটি ইসলামিক দলের লোক হিসাবে বিভিন্ন গণমাধ্যমের নিকট পরিচয় প্রকাশ করেছেন । কিন্তু ইসলামিক দলের সদস্য হয়ে এইরকম অনৈসলামিক কার্যকলাপ মারাত্মক অপরাধ। তিনি আরও বলেন, ইসলামী দলের সদস্য, সমর্থকরা কোনভাবেই এহেন গর্হিত কাজে অংশগ্রহণ করতে পারে না এটা ঘৃণিত ও পরিত্যজ্য। তিনি তাদের এহেন গর্হিত অনৈসলামিক কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং দোষী ব্যক্তিদের জরুরীভিত্তিতে গ্রেফতার করে শাস্তির আওতায় আনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট আহ্বান জানান।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ ঃ চট্টগ্রামের পূজাম-পে কথিত শিল্পীগোষ্ঠী ইসলামী সংগীত পরিবেশনের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে আজ জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী বলেন,ইসলাম ভিন্ন মতাবলম্বীদের উপাসনালয়ে গিয়ে এ ভাবে ইসলামী সংগীত গাওয়াকে কোন ভাবেই সমর্থন করে না। যারা এ রকম কাজ করেছেন তাদের ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে ন্যূনতম কোন ধারণা থাকলে তারা কখনোই এমন কর্মকা-ে জড়িত হতো না। আমরা এ রকম গর্হিত কাজের তীব্র নিন্দা জানাই।
বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি ঃ চট্টগ্রামের পূজাম-পে ইসলামী সংগীত পরিবেশনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির নির্বাহী সভাপতি মাওলানা একে এম আশরাফুল হক ও মহাসচিব মাওলানা মুমিনুল ইসলাম। এক বিবৃতিতে বলেন, পূজাম-পে ইসলামী সংগীত পরিবেশন করে পবিত্র ধর্ম ইসলামের অবমাননা করা হয়েছে। মূর্তি পূজায় মুসলমানদের অংশগ্রহণ সর্ম্পূণভাবে হারাম ও নিষিদ্ধ। ইসলাম যেখানে মূর্তি পূজা ধ্বংস করতে এসেছে, সেখানে মুসলিম নামে পূজায় অংশগ্রহণ আবার সেখানে গান গেয়ে সেটাকে ইসলামী সংগীত বলে প্রচার করা চরম ধৃষ্টতা বলে নেজামে ইসলাম নেতৃবৃন্দ জানান। তারা অবিলম্বে জড়িতদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।