২৮ অক্টোবরে লগি-বৈঠার হত্যাযজ্ঞের 'মাষ্টার মাইন্ড' শেখ হাসিনা-কক্সবাজারে জামায়াত নেতা মুহাম্মদ শাহজাহান
২৭ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০৩ এএম
জামায়াতে ইসলামীর এসিসটেন্ট সেক্রেটারি জেনারেল ও মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান বলেছেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবরের লগি-বৈঠার হত্যাযজ্ঞের 'মাষ্টার মাইন্ড' হলো শেখ হাসিনা। হাসিনাই সেদিন ডাক দিয়েছিলেন সারাদেশ থেকে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের লগি-বৈঠা নিয়ে ঢাকায় এসে এ বিরোধী দলের নেতা কর্মীদের পিটাতে।
তিনি বলেন, বিশ্ব-বিবেক বিস্ময়ে সেদিন তাকিয়ে দেখেছিল আওয়ামী লীগ কিভাবে লগি-বৈঠা দিয়ে মানুষ হত্যা করে
মৃত মানুষের উপর দাঁড়িয়ে নাচানাচি করেছিল।
২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর দেশজুড়ে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের লগি-বৈঠা তান্ডবে নিহতদের স্মরণে শনিবার বিকেলে কক্সবাজার পাবলিক হলে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) বিকালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কক্সবাজার শহর শাখার আমীর আবদুল্লাহ আল ফারুকের সভাপতিত্বে কক্সবাজার ইনস্টিটিউট ও পাবলিক লাইব্রেরী হলে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথি মুহাম্মদ শাহজাহান প্রশ্ন তুলে বলেন, একাত্তর সালের মীমাংসিত বিষয় নিয়ে যদি দীর্ঘকাল পর বিচার করা যায় তাহলে ২০০৬ সালের আওয়ামী লীগ লগি-বৈঠা হত্যাকাণ্ডের বিচার কেন বিশেষ ট্রাইব্যুনালে করা যাবে না?
তিনি বলেন, সেদিন ইসলামী আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা আল্লাহর রাসূলের নেতৃত্বের অনুসারীদের মতো আমাদের নেতাদের সামনে মানব-ঢাল হয়ে রক্ষা না করতেন, হয়তো আমাদের অনেক নেতাকেই শাহাদতের অমীয়সুধা পান করতে হতো।
তাঁর মতে, জামায়াত ইসলামী ও ছাত্র শিবির ইসলামী আন্দোলনের কাঙ্ক্ষিত একটি কাফেলার নাম। এই কাফেলার পেছনে কাজ করেছে শত শত নেতা-কর্মীর খুন। এমনও আছে- তাদের কোথায় মৃত্যু হয়েছে, কোথায় কবরস্থ করা হয়েছে আমাদের জানা নেই। এভাবে অনেক ভাইকে গুম করে খুন করে ফেলা হয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে স্বাধীনতার চেতনায় কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যের দিকে নিতে ফ্যাসিবাদের শেকড় উপড়ে ফেলতে হবে। এদেশে খুনিদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে না, শহীদদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে।
এই আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কক্সবাজার জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা নূর আহমদ আনোয়ারী।
কক্সবাজার শহর জামায়াতের সেক্রেটারি রিয়াজ মোহাম্মদ শাকিলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের এসিসটেন্ট সেক্রেটারি জাহেদুল ইসলাম, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য জাফর উল্লাহ ইসলামাবাদী, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কক্সবাজার জেলা সভাপতি শামসুল আলম বাহাদুর, কক্সবাজার পৌরসভার সাবেক মেয়র সরওয়ার কামাল, শহর জামায়াতের নায়েবে আমীর কফিল উদ্দিন চৌধুরী, পেশাজীবী শাখা সেক্রেটারি কামরুল হাসান, শহর জামায়াত সাংগঠনিক সেক্রেটারি দরবেশ আলী, শহর শ্রমিক কল্যাণ সভাপতি সরওয়ার কামাল শিকদার, সদর এসিসটেন্ট সেক্রেটারি আজিজুল ইসলাম প্রমুখ।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
বেনাপোলে গৃহবধূকে বালিশ চাপায় শ্বাসরোধ করে হত্যা, আটক -৪
এত সংস্কারের কথা হচ্ছে, কিন্তু গরিব মানুষের কথা ভাবছি না: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য
সিটি ব্যাংক এর এজেন্ট ব্যাংকিং পয়েন্টে দেয়া যাবে মেটলাইফের প্রিমিয়াম
বাজার পরিদর্শনে উপদেষ্টা আসিফ
জুলাই বিপ্লবে শহীদদের স্মরণে আলোচনা সভা
সুন্দরগঞ্জে গৃহবধূর একসঙ্গে তিন ছেলের জন্ম, দর্শকের উপচে পড়া ভীর
গৌরনদীতে শিক্ষকের চড়থাপ্পরে পরীক্ষাথীর্র কানের পর্দা ফেটে গুরুতর আহত
প্রেসিডেন্টের অপসারণ ইস্যুতে সিদ্ধান্ত জানায়নি বিএনপি
নোয়াখালীতে গাছের ঢাল কাটতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে কিশোরের মৃত্যু
প্রেসিডেন্ট অপসারণ: ‘পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত’
ডিএমপিতে যুক্ত হচ্ছে ভারতের মাহিন্দ্রা গাড়ি
অন্তর্বর্তী সরকারকে ‘বিপ্লবী সরকার’ ঘোষণার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট
গাজী ছিলেন একজন আপোষহীন সাংবাদিক নেতা - সিকৃবি ভিসি ড. মো. আলিমুল ইসলাম
মারাত্মক শব্দদূষণ
তারেক রহমানের ঐতিহাসিক দায়
দলে গণতন্ত্র চর্চা অপরিহার্য
বিএনপি এখন সংশোধিত -জামালপুর জেলা বিএনপির সভাপতি
রফতানির বিপুল সম্ভাবনা কাজে লাগাতে হবে
আঞ্চলিক যুদ্ধের আশঙ্কা
মাওবাদীদের আত্মসমর্পণে আল্টিমেটাম দিলো মোদি সরকার