চিরিরবন্দরে মাটিতে মিশে যাচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন, দুশ্চিন্তায় কৃষক
২৮ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৩৫ পিএম | আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৩৫ পিএম
দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলায় প্রভাব পড়েছে ঘূর্ণিঝড় দানা'র। ফলে গত তিন'দিন ধরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিসহ দমকা হাওয়ায় অনেক কৃষকের রোপা আমন ধান নুয়ে পড়েছে মাটিতে। ক্ষতির মুখে পড়েছে শীতকালীন আগাম শাকসবজিসহ বিভিন্ন ধরনের রবিশস্য। এতে অভাবনীয় ক্ষতির শঙ্কায় আছেন কৃষকরা। এই মূর্হুতে বৃষ্টি হওয়ায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আগামী দুইদিন রোদ না হলে এসব ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ার শঙ্কাও দেখা দিয়েছে।
গতকাল ২৮ অক্টোবর শনিবার সরজমিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কাঁচা-পাকা ধানের ক্ষেত মাটিতে নুয়ে পড়েছে। স্থানীয় কৃষকরা জানান, জীবন-জীবিকার জন্য উপজেলার অধিকাংশ মানুষ কৃষির ওপর নির্ভরশীল। চলতি রোপা আমন মৌসুমে খরায় রোপা আমন ধান চাষ করা হয়েছে। অধিকাংশ কৃষক বাড়তি খরচে সেচ দিয়ে রোপণ করেছেন এই ধানের চারা। ইতিমধ্যে এই ক্ষেতের ধান বড় হতে শুরু করেছে। কোথাও কোথাও ধান পাঁকতেও দেখা গেছে। এ অবস্থায় উপজেলায় প্রভাব পড়েছে ঘূর্ণিঝড় দানা'র। গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দু'দিন ধরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিসহ বইছে দমকা হাওয়া। এ কারণে রোপা আমন ক্ষেত নুয়ে পড়েছে মাটিতে। ফলে ক্ষতির শঙ্কায় রয়েছেন কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি আমন মৌসুমে উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে ২৩ হাজার ৫৭৮ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে আগাম জাতের বিরি-৭৫, ৮৭ ও বিনা-১৭ ইত্যাদি রয়েছে সাড়ে ৪শ' হেক্টরে।
উপজেলার নশরতপুর ইউনিয়নের উত্তর নশরতপুর গ্রামের কৃষক উজ্জ্বল বলেন, গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ও দমকা বাতাসের কারণে আমার ২০ শতক জমির ধান মাটিতে নুয়ে পড়েছে।
উপজেলার নশরতপুর গ্রামের কৃষক স্বপন চন্দ্র রায় বলেন, এ বছর আমি ৩ বিঘা জমিতে আমন ধান আবাদ করেছি। প্রথমদিকে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা ছিল। গত দু'দিনের বৈরী আবহাওয়ার কবলে ১ বিঘা জমির ধান মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। কৃষক গোলাম রব্বানী বলেন, বৃষ্টি ও দমকা বাতাসের কারণে ইতিমধ্যে তাঁদের অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। আগে প্রতিবিঘা জমিতে যেখানে ২৫-৩০ মণ ধান পাওয়া যেত, সেখানে পড়ে যাওয়া জমিতে মাত্র ৪-৫ মণ ধান আসতে পারে।
উপজেলার সাতনালা ইউনিয়নের কয়েকজন কৃষক বলেন, বৃষ্টি ও দমকা বাতাসের কারণে অনেক জমির কাঁচা-পাকা ধান মাটিতে নুয়ে পড়েছে। অনেকেই এসব পড়ে যাওয়া ধানগাছ রক্ষা করতে ঝুঁটি বেঁধে দিচ্ছেন। কেউবা এসব নুয়ে পড়ে যাওয়া ধানগাছ কেটে নিয়ে গিয়ে গরু-ছাগলকে খাওয়াচ্ছেন। তারা আরও বলেন, ঝড়-বৃষ্টিতে ধানসহ রবি ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। এ যেন মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দেখা দিয়েছে।
উপজেলার দক্ষিণ নশরতপুর গ্রামের কৃষক পরেশ চন্দ্র রায় বলেন, আকাশ পরিস্কার থাকায় জমিতে পাকা ধান কেটে শুকানোর জন্য রেখে দিয়েছিলাম। কিন্তু বৃষ্টি হওয়ায় এখন দুশ্চিন্তায় পড়েছি।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ জোহরা সুলতানা শারমিন বলেন, ঘূর্ণিঝড় দানা'র কারণে অনেক এলাকায় ধান গাছ নুয়ে মাটিতে পড়ে গেছে। তবে বৃষ্টি না হলে ধানের বেশি ক্ষতি হবে না। এসব গাছ কয়েকটি করে এক জায়গায় বেঁধে বা 'লজিং আপ' করলে রক্ষা পাবেন কৃষকরা। এ নিয়ে মাঠ পর্যায়ে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি যেসব ক্ষেতের ধান পেঁকে গেছে সেসব ধান দ্রæত কাটার জন্যও আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
প্রোটিয়াদের হোয়াইট ওয়াশ করে পাকিস্তানের ইতিহাস
৯ গোলের উৎসবে লিভারপুলের বড় জয়
বড়দিনের ছুটির আগে রিয়ালের বড় জয়
ঘরের মাঠেই বিধ্বস্ত ইউনাইটেড
গোলশূন্য ড্রয়ে থামল চেলসির জয়রথ
এনার্জিপ্যাকের বার্ষিক সাধারণ সভায় ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ
আমার খাবার কি ফর্টিফায়েড?
হাসিনা পরিবারের নামে ১৩ বিশ্ববিদ্যালয়, ইউজিসি তাকিয়ে আছে সরকারের দিকে
ব্র্যাক ব্যাংকের রেমিটেন্স অ্যাওয়ার্ড অর্জন
দিনাজপুর জেলা শিক্ষা অফিসারের বিদায়ী সংবর্ধনা
নরসিংদীর শিবপুরে প্লাস্টিক কারখানা আগুনে পুড়ে ছাই
ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স শূন্য যে ১০ ব্যাংকে
বিএনপি নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতায় আসতে চায় না: আব্দুস সালাম
সরকারের আশ্বাসে শাহবাগ থেকে সরে গেলেন বিএসএমএমইউ ট্রেইনি চিকিৎসকরা
সাকাকে হারিয়ে চিন্তিত আর্সেনাল কোচ
৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের প্রস্তাব জমা হবে : বদিউল আলম মজুমদার
সিনিয়র সচিব ড. নাসিমুল গনিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বদলী
মানিকগঞ্জের ঘিওরে ছাত্রদল নেতা লাভলু হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন
বঙ্গবাজার পুড়ে যাওয়া মামলায় একজন গ্রেফতার
জনগণের প্রত্যাশা পূরণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ধীর গতিতে চলছে: আমিনুল হক