হত্যাকে পুঁজি করে কোটি টাকার চাঁদাবাজিতে গ্রেপ্তারে স্বস্তি, চাঁদাবাজদের জামিন আতঙ্কে সালথাবাসী

Daily Inqilab ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা

২৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৩৮ পিএম | আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৩৮ পিএম

 

 

হত্যাকে পুঁজি করে কোটি টাকার চাঁদাবাজিতে গ্রেপ্তারে স্বস্তি, চাঁদাবাজদের জামিন আতঙ্কে সালথাবাসী। গতকাল সোমবার (২৮ অক্টোবর) সরেজমিনে প্রতিবেদন কালে উল্লেখিত বিষয়গুলো প্রকাশ্যে দৃশ্যমান হয়ে উঠে। পাশাপাশি সালথাবাসীর মধ্যে স্বস্তির স্হানে চরম অশান্তি বিরাজ করছে।

ফরিদপুরের সালথায় এক তরুণীকে উত্ত্যক্তের জের ধরে বখাটেদের চাকুর আঘাতে কাসেম বেপারী (২৮) নামের এক যুবক খুন হওয়ার ঘটনাকে পুঁজি করে কোটি টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠে উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক খায়রুল বাশার আজাদ ও তার ভায়রা জাহিদ মাতুব্বর, আ'লীগ নেতা নুরু মাতুব্বর, রফিক মাতুব্বর সহ তাদের ছত্রছায়ায় থাকা একাধিক আ'লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।

সম্প্রতি এ ঘটনায়, খায়রুল বাশার আজাদসহ ২৯ জনের নামোল্লেখ করে একটি লুটপাট ও চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করা হয়।

এছাড়া এ মামলায় অজ্ঞাত আরও ১০/১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। গত সোমবার (২১ অক্টোবর) সালথা থানায় এ মামলাটি দায়ের করা হয়।

উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের আড়ুয়াকান্দি গ্রামের ভুক্তভোগী ফরিদা বেগম নামের এক নারী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

এ ঘটনায় গত রবিবার (২০ অক্টোবর) দিবাগত রাতে সালথার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে যৌথবাহিনী। এ ঘটনায় আজাদের ভায়রা জাহিদ মাতুব্বর গ্রেপ্তার হলেও অদৃশ্য কারণে এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে আজাদ। তাকে রক্ষায় কিছু বিএনপি নেতার তদবির দৃশ্যমান হয়ে উঠছে।

সালথার ভুক্তভোগীসহ একাধিক সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জাহিদ মাতুব্বর, নুরু মাতুব্বর ও রফিক মাতুব্বর এলাকায় আ'লীগের পদধারী নেতা। তারা আ'লীগ সরকারের আমলে স্থানীয় প্রয়াত সংসদ সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ও তার দুই ছেলে আয়মন আকবর বাবলু চৌধুরী এবং শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরীর সময়ে তাদের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে টিআর, কাবিখা, এলজিএসপি, এডিবি, উন্নয়ন তহবিলের ওয়ান পার্সেন্ট, হাট-বাজারের ইজারাসহ নানান সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে এসব আ'লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে।

কিন্তু হঠাৎ গত ৫ আগস্ট আ'লীগ সরকারের পালাবদলের পরপরই রাতারাতি সালথা উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক খায়রুল বাশার আজাদের ছত্রছায়ায় বিএনপি নেতা বনে যান তারা। কিছুদিন পরেই স্থানীয় এক নারীকে উত্যক্তের জের ধরে বখাটেদের ছুরির আঘাতে একটি হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। আর এ হত্যাকান্ডকে পুঁজি করে বিএনপির নাম ভাঙিয়ে আ'লীগের এ সুবিধাভোগী নেতারা কোটি টাকা চাঁদাবাজি, লুটপাট সহ নানা অপকর্মে লিপ্ত হয়ে পড়েন। ভাংচুর চালান সাধারণ মানুষের দোকানপাট ও বাড়িঘর।

অত:পর এসব চাঁদাবাজি ও লুটপাটের খবর গুরুত্বের সঙ্গে প্রমাণসহ দৈনিক ইনকিলাব ধারাবাহিক সংবাদ প্রকাশ করে।

এছাড়া এসময় অন্যান্য জাতীয় দৈনিক পত্রিকাগুলোও সংবাদ প্রকাশ করতে থাকে তাদের অপকর্ম নিয়ে। পরবর্তীতে এসব চাঁদাবাজির ঘটনার সত্যতা পাওয়ার সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে চাঁদাবাজি ও লুটপাটের অভিযোগে জাহিদ মাতুব্বর, নুরু মাতুব্বর, রফিক মাতুব্বর সহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে।

ফলে ওই এলাকার জনমনে স্বস্তি ফিরে আসে। তবে, লুটপাট ও চাঁদাবাজির টাকা ভুক্তভোগীরা এখনও ফিরে না পাওয়ায় উদ্বিগ্ন ও হতাশা প্রকাশ করেছেন। এছাড়া লুণ্ঠিত মালামাল ও চাঁদাবাজির কোটি টাকা এসব আ'লীগ নেতাদের কাছে রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

আর চাঁদাবাজির টাকায় ফরিদপুর কোর্টে প্রভাব বিস্তার সহ ক্ষমতাশালীদের দিয়ে তদবির করে জামিনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে ভুক্তভোগীদের দাবি।

এইসব আ'লীগ নেতাকর্মীরা জামিন পেলে এলাকায় ফের ত্রাসের রাজত্ব কায়েমসহ আর বেপরোয়া হয়ে উঠবে বলে একাধিক সূত্র দৈনিক ইনকিলাবকে নিশ্চিত করেছেন।

তাই লুণ্ঠিত মালামাল ও চাঁদাবাজির কোটি টাকা উদ্ধার কিংবা জব্দ না হওয়া পর্যন্ত তারা জামিন পেয়ে ফিরলে ফের আরও মূর্তিমান আতঙ্কের রুপ ধারন করতে পারে বলে স্থানীয় কয়েকজন বিএনপির নেতাকর্মী জানিয়েছেন। এদের দ্বারা সুনাম ক্ষুন্ন হতে পারে বিএনপির।

তাই চাঁদাবাজির টাকা ফেরত ও লুট হওয়া মালামাল ভুক্তভোগীরা ফেরত না পাওয়া পর্যন্ত তাদের আদালত থেকে জামিন হতে পারে এমন খবর ছড়িয়ে পড়ায় সালথায় ফের সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

এলাকায় ফিরে ফের এসব আ'লীগ নেতারা লুটপাট ও চাঁদাবাজি সহ ভুক্তভোগী পরিবার ও ওই এলাকার জনগণের উপর স্টিম রোলার চাপাতে পারে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।

স্থানীয়দের দাবি, সালথার উপজেলা বিএনপি নেতা খায়রুল বাশার আজাদের আপন ভায়রা ও আ'লীগ নেতা জাহিদ মাতুব্বর এলাকায় দুর্ধর্ষ মূর্তিমান আতঙ্ক। এ জাহিদের বিরুদ্ধে এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রমের বিস্তর অভিযোগ রয়েছে।

এছাড়া এলাকায় তার বাহিনীর দেশীয় অস্ত্রের ঝনঝনানির শব্দ এখনও মানুষের কানে বাজছে।

অন্যদিকে, নুরু মাতুব্বর ওরফে নুরু মেম্বারের বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে দলবাজি ও সালিশ বাণিজ্যের ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে। তার কথার বাইরে ওই এলাকার একটা পাতাও যেন নড়েনা। রফিক মাতুব্বরের বিরুদ্ধে রয়েছে ভয়ভীতি দেখিয়ে নিজ দলে লোক ভিড়ানোসহ নানা অভিযোগ।

তবে চাঁদাবাজির মূলহোতা হিসেবে পরিচিত ও যার পদবিকে পুঁজি করে কোটি টাকা চাঁদাবাজি করার অভিযোগ উঠেছে সেই বিএনপি নেতা খায়রুল বাশার আজাদ এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকায় জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

পুলিশ কিংবা যৌথবাহিনী এখনো তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেননি। এই বিএনপি নেতাকে গ্রেপ্তার করতে না পারায় সালথার সাধারণ জনগণের মধ্যে নানা প্রতিক্রিয়াও দেখা দিয়েছে। ভয় ও আতঙ্কে রয়েছে স্থানীয়রা। ক্ষুন্ন হচ্ছে বিএনপির সুনাম।

তাকে (আজাদ) দ্রুত গ্রেপ্তার করা সহ দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করে সালথা বিএনপিকে বাঁচানোর দাবি করেছেন সাধারণ বিএনপি নেতাকর্মীরা।

তবে বারবারই বিএনপি নেতা খায়রুল বাশার আজাদ তার বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগের বিষয়টিকে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন দাবি করে আসছেন। এটাকে তিনি তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার বলে দাবি করেন।

এব্যাপারে সালথা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, 'বিএনপি নেতা খায়রুল বাশার আজাদ নির্দোষ। কিছু আ'লীগ নেতাকর্মী তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা বলছে। সে কোনো অন্যায় করেনি।'

এ বিষয় ফরিদপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব একে কিবরিয়া স্বপন ইনকিলাবকে বলেন, কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত হচ্ছে বিরোধী কাউকে দলে প্রবেশ করানো যাবেনা। কেউ যদি এভাবে বিএনপির পদকে ব্যবহার করে বিরোধী কাউকে আশ্রয় প্রশ্রয় দেয়। আর সেটা যদি প্রমাণ হয় তবে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এব্যাপারে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেস আলী ইছা বলেন, 'আমরা তার বিরুদ্ধে উঠা কোনো অভিযোগেরই সত্যতা পাচ্ছিনা। যদি এর সত্যতা পাই তবে অবশ্যই দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

 

এব্যাপারে ফরিদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (নগরকান্দা-সালথা) সার্কেল মো. আসাদুজ্জামান শাকিল বলেন, সালথায় একটি হত্যাকান্ডকে কেন্দ্র করে লুটপাট ও চাঁদাবাজির অভিযোগে সালথা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক খায়রুল বাশার আজাদকে প্রধান আসামি করে ২৯ জনের নামোল্লেখ করে একটি চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনী। বাকিদের গ্রেপ্তারে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান অব্যাহত আছে।


বিভাগ : বাংলাদেশ


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

ঘণকুয়াশার কারণে ৭ ঘন্টা পর আরিচা-কাজিরহাট এবং পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি সার্ভিস চালু
আওয়ামী পন্থী মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে যুক্তরাজ্য শাখা বিএনপি নেতার মতবিনিময়
পরিসংখ্যান ব্যুরোর ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক শরিফুলের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ
গভীর রাতে মেসে ছাত্রীদের বিক্ষোভ, মালিকের দুই ছেলেকে পুলিশে সোপর্দ
দিনাজপুর জেলা শিক্ষা অফিসারের বিদায়ী সংবর্ধনা
আরও

আরও পড়ুন

ঘণকুয়াশার কারণে ৭ ঘন্টা পর আরিচা-কাজিরহাট এবং পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি সার্ভিস চালু

ঘণকুয়াশার কারণে ৭ ঘন্টা পর আরিচা-কাজিরহাট এবং পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি সার্ভিস চালু

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত আরও ৫০

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত আরও ৫০

আওয়ামী পন্থী মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে যুক্তরাজ্য শাখা বিএনপি নেতার মতবিনিময়

আওয়ামী পন্থী মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে যুক্তরাজ্য শাখা বিএনপি নেতার মতবিনিময়

পরিসংখ্যান ব্যুরোর ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক শরিফুলের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ

পরিসংখ্যান ব্যুরোর ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক শরিফুলের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ

আ.লীগের দোসর সালাম আলী এখন বিএনপির সভাপতি প্রার্থী!

আ.লীগের দোসর সালাম আলী এখন বিএনপির সভাপতি প্রার্থী!

ঘুস নেওয়ার অভিযোগ, টিউলিপ সিদ্দিককে যুক্তরাজ্যে জিজ্ঞাসাবাদ

ঘুস নেওয়ার অভিযোগ, টিউলিপ সিদ্দিককে যুক্তরাজ্যে জিজ্ঞাসাবাদ

তালাক নিয়ে যুক্তরাজ্যে যেতে চান বাশার আল-আসাদের স্ত্রী

তালাক নিয়ে যুক্তরাজ্যে যেতে চান বাশার আল-আসাদের স্ত্রী

গভীর রাতে মেসে ছাত্রীদের বিক্ষোভ, মালিকের দুই ছেলেকে পুলিশে সোপর্দ

গভীর রাতে মেসে ছাত্রীদের বিক্ষোভ, মালিকের দুই ছেলেকে পুলিশে সোপর্দ

প্রোটিয়াদের হোয়াইট ওয়াশ করে পাকিস্তানের ইতিহাস

প্রোটিয়াদের হোয়াইট ওয়াশ করে পাকিস্তানের ইতিহাস

৯ গোলের উৎসবে লিভারপুলের বড় জয়

৯ গোলের উৎসবে লিভারপুলের বড় জয়

বড়দিনের ছুটির আগে রিয়ালের বড় জয়

বড়দিনের ছুটির আগে রিয়ালের বড় জয়

ঘরের মাঠেই বিধ্বস্ত ইউনাইটেড

ঘরের মাঠেই বিধ্বস্ত ইউনাইটেড

গোলশূন্য ড্রয়ে থামল চেলসির জয়রথ

গোলশূন্য ড্রয়ে থামল চেলসির জয়রথ

এনার্জিপ্যাকের বার্ষিক সাধারণ সভায় ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ

এনার্জিপ্যাকের বার্ষিক সাধারণ সভায় ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ

আমার খাবার কি ফর্টিফায়েড?

আমার খাবার কি ফর্টিফায়েড?

হাসিনা পরিবারের নামে ১৩ বিশ্ববিদ্যালয়, ইউজিসি তাকিয়ে আছে সরকারের দিকে

হাসিনা পরিবারের নামে ১৩ বিশ্ববিদ্যালয়, ইউজিসি তাকিয়ে আছে সরকারের দিকে

ব্র্যাক ব্যাংকের রেমিটেন্স অ্যাওয়ার্ড অর্জন

ব্র্যাক ব্যাংকের রেমিটেন্স অ্যাওয়ার্ড অর্জন

দিনাজপুর জেলা শিক্ষা অফিসারের বিদায়ী সংবর্ধনা

দিনাজপুর জেলা শিক্ষা অফিসারের বিদায়ী সংবর্ধনা

নরসিংদীর শিবপুরে প্লাস্টিক কারখানা আগুনে পুড়ে ছাই

নরসিংদীর শিবপুরে প্লাস্টিক কারখানা আগুনে পুড়ে ছাই

ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স শূন্য যে ১০ ব্যাংকে

ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স শূন্য যে ১০ ব্যাংকে