সম্মানসূচক ডক্টরেট অর্জন করেছেন ব্রিটিশ বাংলাদেশী সমাজকর্মী ফয়েজ উদ্দিন এমবিই
১০ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৪ এএম
ব্রিটিশ বাংলাদেশী কমিউনিটি নেতা মোহাম্মদ ফয়েজ উদ্দিন এমবিই সম্প্রতি পাবলিক সার্ভিসে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেছেন। ডেনমার্কের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস স্কুল অফ স্ক্যান্ডিনেভিয়া (আইবিএসএস) এবং যুক্তরাষ্ট্রের এডুমাইন্ডস লার্নিং যৌথভাবে এই সম্মানসূচক ডিগ্রি প্রদান করে তাকে। এই ডিগ্রি শুধুমাত্র তার কর্মজীবনে একটি অনন্য অর্জন হিসেবেই নয় বরং তা ব্রিটেন এবং বাংলাদেশের সমাজসেবার ক্ষেত্রে তার বহুমুখী অবদানের একটি মূল্যবান স্বীকৃতি । ১৯৬২ সালে সিলেট জেলার দক্ষিণ সুরমা উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন মোহাম্মদ ফয়েজ উদ্দিন। ১৯৭১ সালে মাত্র দশ বছর বয়সে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন এবং স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতায় অর্থ সংগ্রহ ও খাদ্য সরবরাহের কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধে তার অবদান ছিল অনস্বীকার্য। মোহাম্মদ ফয়েজ উদ্দিন ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশের আইএফআইসি ব্যাংকে জুনিয়র অফিসার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন তিনি। পরবর্তীতে উচ্চশিক্ষার জন্য যুক্তরাজ্যে উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়েন। ১৯৯৩ সালে বার্মিংহাম সিটি কাউন্সিলে প্রথম বাংলাদেশী কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট অফিসার হিসেবে নিযুক্ত হন এবং কমিউনিটির উন্নয়নে আশাতীত অবদান রাখেন তিনি। ১৯৯৬ সালে আস্টনে একটি মাল্টি-পারপাস সেন্টার প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন এবং এর জন্য ২.৫ মিলিয়ন পাউন্ডের তহবিল সংগ্রহের এই উদ্যোগ স্থানীয় কমিউনিটির জন্য কল্যাণের একটি মাইলফলক হিসেবে প্রশংসা কুড়ায়। ১৯৯৭ সালে বার্মিংহামের লর্ড মেয়রের একটি গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় সফরে সহায়তা করেন, যেখানে বাংলাদেশ এবং যুক্তরাজ্যের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিশিষ্ট সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তার উদ্যোগে দুই দেশের মধ্যে শহর টুইনিং প্রোগ্রাম চালু হয়, যা পরবর্তীতে বিভিন্ন পর্যায়ে সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখে। মোহাম্মদ ফয়েজ উদ্দিন এমবিই ২০১২ সালে কমিউনিটি কোহেসন ও পুনর্গঠনে তার অমূল্য অবদানের জন্য রাণীর সম্মাননা তালিকায় এমবিই উপাধি লাভ করেন। এছাড়াও তিনি ২০১৮ সালে বাকিংহাম প্যালেসে রাণীর সাথে এক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এবং বিভিন্ন রাজ পরিবারের সদস্যদের সাথেও একাধিকবার সাক্ষাৎ করেছেন। এমবিই উপাধি গ্রহণকালে রাজা চার্লসের সাথে তার সংক্ষিপ্ত আলাপচারিতায় সিলেট ভ্রমণের কথা উঠে আসে, যা তার জন্য ছিল অত্যন্ত গর্বের মুহূর্ত। বর্তমানে মোহাম্মদ ফয়েজ উদ্দিন নিউ হোপ গ্লোবাল এবং নিউ হোপ এডুকেশন (সিআইসি) এর চেয়ারম্যান এবং সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার নেতৃত্বে এই সংস্থাগুলি যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশী ও অন্যান্য এথনিক মাইনরিটি কমিউনিটির জন্য শিক্ষা ও কল্যাণমূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এই সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি লাভের মাধ্যমে তিনি আরও বৃহৎ ও বৈশ্বিক পর্যায়ে এ প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে যেতে পারবেন বলে আশা করা হচ্ছে তিনি। ব্রিটেনে বাংলাদেশী কমিউনিটির উন্নয়নে মোহাম্মদ ফয়েজ উদ্দিন এমবিই’র এই অসামান্য অবদান নিঃসন্দেহে একটি উদাহরণ হয়ে থাকবে বাংলাদেশী বৃটিশ প্রজন্মের জন্য।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
লিসান্দ্রো মার্তিনেজকে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে পাচ্ছেনা আর্জেন্টিনা
খালাস পেলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাবেক এপিএস অপু
পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ডে ব্যাপক তল্লাশি
আমদানি বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ কমে ১৮.৪৬ বিলিয়ন ডলার
অফিস-আদালতসহ সর্বত্রই দুঃশাসনের চিহ্ন রাখা উচিত নয় : রিজভী
পার্লামেন্টে ক্ষমা
ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিরাপত্তায় নতুন প্রহরী: রোবট কুকুর!
লুকিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করায় মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতা থেকে বহিস্কার
মাকে হত্যা করে লাশ ডিপ ফ্রিজে রাখা ছেলে গ্রেফতার
সীমান্তে ৪ বাংলাদেশী নারী আটক
গুলি বর্ষণকারী ৭৪৭ পুলিশ শনাক্ত গ্রেফতারের উদ্যোগ নেই
সিলেটে মতবিনিময় সভা করলো নেজামে ইসলাম পার্টির
স্বামী স্ত্রীকে শর্ত লাগিয়ে তালাক দেওয়ার পর শর্ত উঠিয়ে নেওয়া প্রসঙ্গে।
আন্তঃনগর ট্রেনের সময় পরিবর্তন করুন
জনপ্রশাসনে মেধাশূন্যতা : কারণ ও প্রতিকার
ভারতীয় হেজিমনি ও আওয়ামী লীগের আত্মঘাতী রাজনীতি
বিতর্ক পরিহার করতে হবে
ইসরাইলি বাহিনী হিজবুল্লাহর সঙ্গে অস্ত্রবিরতিতে যাবে না
নির্বাচনে হারার পর প্রথমবার জনসমক্ষে বাইডেন ও কমলা