পুলিশের কাছ থেকে মাদক কারবারি ছিনতাইয়ের মামলায় আসামিরা অধরা।

১৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২৬ পিএম | আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২৬ পিএম

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে মাদক কারবারি কে ধরতে গিয়ে পুলিশের উপর হামলা ও ধৃত আসামী ছিনতাইয়ের ঘটনায় করা মামলার আসামীরা রহস্য জনক কারণে অধরা। এ ঘটনায় এস আই আক্তারুজ্জামান বাদি হয়ে ৩৪ জনের নাম উল্লেখ করে ও ৮০ থেকে ৯০জনকে অজ্ঞাত আসামি করে সেদিন একটি মামলা করেন। সেই মামলায় কয়েকজন জামিনে থাকলেও বাকীরা ২১ দিনেও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। এমনকি অজ্ঞাত ৮০/৯০জনের মধ্যে এখন পর্যন্ত কাউকেই ধরতে পারেনি পুলিশ। এতে সচেতন মহলে শুরু হয়েছে আলোচনা সমালোচনা। সেই ঘটনায় পুলিশের স্বার্থ জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী পুলিশের প্রতি প্রশ্ন তুলে বলেন, পুলিশ যে মামলার বাদি সেই মামলার আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায় এরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে এটা আশ্চর্যের বিষয়। নিশ্চয়ই এতে পুলিশের কোন অজানা কাহিনি রয়েছে।

পুলিশর বরাত দিয়ে জানা যায় গত মাসের (২২ অক্টোবর) মঙ্গলবার থেকে বিশেষ অভিযান শুরু হয় তারই ফলশ্রুতিতে সেদিন রাতে ৮ টার দিকে মাদক বেচা কেনা হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঈশ্বরগঞ্জ থানা সাদা পোশাকে পুলিশের একটি দল, উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের তোতার মোড় এলাকায় অভিযান চালায়। ওই সময় ঘটনাস্থল থেকে জামাল হোসেন ও সাথে থাকা অজ্ঞাত নামা আরেকজনকে গাজাসহ আটক করে। আটকৃত দুইজনকে থানায় নিয়ে আসার সময় আসামীরা গ্রেফতার এড়াতে চিৎকার শুরু করে। আটকৃতদের চিৎকারে সেখানে ৩০-৪০ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল জড়ো হয়ে ভুয়া পুলিশ বলে স্লোগান দিয়ে তাদেরকে ঘিরে ফেলে। পরে পুলিশ ও আটকৃতদের সহ ওই মোড়ে একটি ঘরে নিয়ে যায়। পরে সেখানে তাদের সঠিক পরিচয় জানতে চায়। তারপর পুলিশ তাদের পরিচয় নিশ্চিত করতে পুলিশ লেখা কটি আইডিকার্ড দেখানোর পরও তারা বিশ্বাস করনি। পরবর্তীতে উদ্দেশ্য প্রণদিত হয়ে পুলিশের হাত থেকে জোর পূর্বক হতকড়ার চাবি নিয়ে আটক মাদক কারবারি জামাল ও তার সহকারী দুজনকেই ছেড়ে দেয় সংঘবদ্ধরা। এ খবর থানায় গেলে তৎক্ষনাৎ থানা থেকে পুলিশের আরেকটি টিম ঘটনাস্থলে পৌছে আশপাশের এলাকায় অভিযান চালায়।পরে এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে জুবায়ের আহাম্মেদ সিয়াম (২৪)কে পুলিশ আটক করে। আটকৃত সিয়াম উচাখিলা ইউনিয়নের আলীনগর গ্রামের বদরুল হক বাবলুর ছেলে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই আশরাফ আলী বলেন এই মামলায় অনেকেই জামিনে আছে। আর অজ্ঞাতদের মধ্য থেকে কেউ গ্রেফতার নেই।

ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওবায়দুর রহমান বলেন, এ ব্যাপারে ৩৪ জনের নাম উল্লেখ করে ৮০/৯০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় মামলা করা হয়েছে। তার মধ্যে অনেকেই জামিনে আছে। এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত বলতে পারবে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।

বিভাগ : বাংলাদেশ