ঢাকা   শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪ | ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ইসলামী সংবিধানই এ জাতির মুক্তির পথ- ইসলামী ঐক্য আন্দোলন

Daily Inqilab স্টাফ রিপোর্টার

১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:০৯ পিএম | আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:০৯ পিএম

ইসলামী ঐক্য আন্দোলন ঢাকা মহানগরীর কাউন্সিল সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমীর অধ্যাপক মাওলানা মুহাম্মাদ এরশাদ উল্যাহ ভূঁইয়া বলেছেন, দেশ-জাতির আদর্শিক যে সংকট তা কাটিয়ে ওঠার লক্ষ্যে কুরআন-সুন্নাহকে আইনের উৎস হিসেবে গ্রহণ করে সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে। দেশের সকল সংকট সমাধান একমাত্র ইসলামী সংবিধানেই। এই মহাসত্য বুঝতে ও অনুধাবন করতে দেশের রাজনীতিবিদরা যত দেরি করবেন ততই সফলতা অধরা থেকে যাবে। ব্যর্থতার গ্লানিও দীর্ঘায়িত হবে। এবং স্বৈরতন্ত্র ও স্বৈরশাসকের যাওয়া ও আসাই চলতে থাকবে। চলমান মহাসংকট ও ব্যর্থ থেকে বেরিয়ে আসতে হলে ইসলামী অনুশাসন অনুযায়ী দেশ পরিচালনা করতে হবে। আর ইসলামী অনুশাসন প্রতিষ্ঠার একমাত্র পথ একটি পূর্ণাঙ্গ ইসলামী বিপ্লব। একটি পূর্ণাঙ্গ ইসলামী বিপ্লব ছাড়া দেশ জাতির আমূল কোন পরিবর্তন সম্ভব নয়। আমাদের ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা, এদেশে ইসলামী আন্দোলনের স্থপতি মওলানা মুহাম্মাদ আবদুর রহীম (রহ:) আশির দশকে এই ঘোষণাটিই দিয়েছিলেন "একটি পূর্ণাঙ্গ বিপ্লব ছাড়া এ জাতির মুক্তির কোন পথ নেই।"

 

সম্মেলনে কেন্দ্রীয় ও জাতীয় নেতৃবৃন্দ ভবিষ্যত প্রজন্মকে সৎ, দূর্নীতিমুক্ত ও আদর্শবাদী হিসেবে তৈরী করার লক্ষ্যে প্রাথমিক শিক্ষা থেকে শুরু করে শিক্ষার সর্বস্তরে, সর্বপর্যায়ে ইসলামী শিক্ষা ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের জন্য নিজ নিজ ধর্ম শিক্ষা বাধ্যতামুলক করার জন্য জোর দাবী জানান।
নেতৃবৃন্দ দ্বীন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ছোট খাটো বিভেদ বিচ্যুতি ভুলে গিয়ে আলেম, ওলামা, দল, মত নির্বিশেষে কালেমায় বিশ্বাসী সকল ইসলামী জনতাকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে শুধুই দ্বীন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে আত্মনিয়োগ করার আহবান জানান।

 

নেতৃবৃন্দ পতিত সরকারের পালিয়ে যাওয়া প্রধানমন্ত্রীসহ দূর্নীতিবাজ নেতা, সুবিধাবাদী লুটেরাদের বিরুদ্ধে বিচারিক প্রক্রিয়ায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও তাদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবী জানান।

 

নেতৃবৃন্দ দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে গোপন সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দেয়া ও অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সরকার ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র নেতৃবৃন্দের প্রতি আহবান জানান।

 

নেতৃবৃন্দ জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের নামে দেশে সমকামীতাকে প্রমোট করার যে কোন উদ্যোগকে নস্যাৎ করার জন্য সরকার ও তাওহিদী জনতার প্রতি আহবান জানান। ইসলামী ঐক্য আন্দোলন সর্বস্তরের জনগণকে সাথে নিয়ে এ কাজ করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে গাজায় গণহত্যা বন্ধের আহ্বান জানান।

 

নেতৃবৃন্দ গত ১৫ নভেম্বর, ২০২৪, শুক্রবার, সকাল ৯ টায় পল্টনের পল্টন টাওয়ারস্থ ইআরএফ মিলনায়তনে আন্দোলনের ঢাকা মহানগরীর কাউন্সিল সম্মেলনে একথা বলেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কাউন্সিল বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক মাওলানা ফারুক আহমাদ। সভাপতিত্ব করেন আন্দোলনের ঢাকা মহানগরীর আমীর জনাব মোস্তফা বশীরুল হাসান। সম্মানিত অতিথির বক্তব্য রাখেন খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমীর মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দিন ও বাংলাদেশ জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম এর প্রচার সম্পাদক মাওলানা জয়নুল আবেদীন। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নায়েবে আমীর মাওলানা মুহাম্মাদ রুহুল আমীন, সেক্রেটারী জেনারেল জনাব মোস্তফা তারেকুল হাসান, অর্থ সম্পাদক মাওলানা ফারুক আহমাদ। ঢাকা মহানগরীর নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নায়েবে আমীর মাওলানা কবি মুহাম্মাদ ওবায়দুল্লাহ,মাওলানা আনোয়ার হোসাইন, মাওলানা আবু তোহা মোঃ
নুরুল্লাহ,মাওলানা হযরত আলী , জনাব এফএম আলী হায়দার, হাফেজ মাওলানা শহীদুল ইসলাম সহ প্রমুখ।


বিভাগ : বাংলাদেশ


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

গাজীপুরে বেতন পেলেন ৫ কারখানার সাড়ে ৩ হাজার শ্রমিক
সিলেটে এপেক্স জেলা ৪ এর ৩৯ তম কনভেনশন মোহনাপেক্স সম্পন্ন
চন্দ্রঘোনা থানা পুলিশ চোলাই মদ ও অটোরিকশাসহ দুইজন গ্রেপ্তার
উপাচার্যের আশ্বাসে ১৮ ঘন্টা পর অনশন ভাঙলেন রাবি শিক্ষার্থীরা
সেনবাগে কিশোরের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার!
আরও

আরও পড়ুন

গাজীপুরে বেতন পেলেন ৫ কারখানার সাড়ে ৩ হাজার শ্রমিক

গাজীপুরে বেতন পেলেন ৫ কারখানার সাড়ে ৩ হাজার শ্রমিক

১৯ বছর পর বক্সিং রিংয়ে কিংবদন্তী টাইসন,প্রতিপক্ষ ২৭ বছরের পল,

১৯ বছর পর বক্সিং রিংয়ে কিংবদন্তী টাইসন,প্রতিপক্ষ ২৭ বছরের পল,

আইসিএমএবি বেস্ট কর্পোরেট গোল্ড অ্যাওয়ার্ড পেল সোনালী ব্যাংক

আইসিএমএবি বেস্ট কর্পোরেট গোল্ড অ্যাওয়ার্ড পেল সোনালী ব্যাংক

সিলেটে এপেক্স জেলা ৪ এর ৩৯ তম কনভেনশন মোহনাপেক্স সম্পন্ন

সিলেটে এপেক্স জেলা ৪ এর ৩৯ তম কনভেনশন মোহনাপেক্স সম্পন্ন

রেগে সংসদের মধ্যেই নাচ তরুণী এমপির, ভিডিও ভাইরাল

রেগে সংসদের মধ্যেই নাচ তরুণী এমপির, ভিডিও ভাইরাল

চন্দ্রঘোনা থানা পুলিশ চোলাই মদ ও অটোরিকশাসহ দুইজন গ্রেপ্তার

চন্দ্রঘোনা থানা পুলিশ চোলাই মদ ও অটোরিকশাসহ দুইজন গ্রেপ্তার

দেশের সব বন্ধ চিনিকল সচল করা হবে: শিল্প উপদেষ্টা

দেশের সব বন্ধ চিনিকল সচল করা হবে: শিল্প উপদেষ্টা

রাষ্ট্রের বিভিন্ন কাঠামোতে ফ্যাসিবাদের দোসররা আওয়ামী লীগকে রক্ষার চেষ্টা চালাচ্ছে: জাতীয় নাগরিক কমিটি

রাষ্ট্রের বিভিন্ন কাঠামোতে ফ্যাসিবাদের দোসররা আওয়ামী লীগকে রক্ষার চেষ্টা চালাচ্ছে: জাতীয় নাগরিক কমিটি

উপাচার্যের আশ্বাসে ১৮ ঘন্টা পর অনশন ভাঙলেন রাবি শিক্ষার্থীরা

উপাচার্যের আশ্বাসে ১৮ ঘন্টা পর অনশন ভাঙলেন রাবি শিক্ষার্থীরা

ছেলে নয়, গৃহবধূকে হত্যার পর মরদেহ ফ্রিজে রাখেন বাড়ির ভাড়াটিয়া: পুলিশ তদন্তে নতুন মোড়

ছেলে নয়, গৃহবধূকে হত্যার পর মরদেহ ফ্রিজে রাখেন বাড়ির ভাড়াটিয়া: পুলিশ তদন্তে নতুন মোড়

দীর্ঘ ৯ মাস পর চালু হলো ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ সার কারখানা

দীর্ঘ ৯ মাস পর চালু হলো ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ সার কারখানা

মধ্যপ্রাচ্যে সঙ্কট নিরসনে আরব দেশগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা করবে রাশিয়া

মধ্যপ্রাচ্যে সঙ্কট নিরসনে আরব দেশগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা করবে রাশিয়া

সেনবাগে কিশোরের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার!

সেনবাগে কিশোরের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার!

ফারুকীকে প্রত্যাহার না করলে আবারো রাজপথে নামবো মুফতি ফয়জুল করীম

ফারুকীকে প্রত্যাহার না করলে আবারো রাজপথে নামবো মুফতি ফয়জুল করীম

কুরস্কে একদিনে কিয়েভের ৪৩০ সেনা নিহত

কুরস্কে একদিনে কিয়েভের ৪৩০ সেনা নিহত

সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করাই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান দায়িত্ব: মঈন খান

সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করাই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান দায়িত্ব: মঈন খান

সেনবাগে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু!

সেনবাগে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু!

দিন-দুপুরে রাজধানীতে বাসায় লুটপাট, নিয়ে গেছে দুধের শিশুকেও

দিন-দুপুরে রাজধানীতে বাসায় লুটপাট, নিয়ে গেছে দুধের শিশুকেও

জামায়াত দুর্নীতিমুক্ত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়-ডাঃ তাহের

জামায়াত দুর্নীতিমুক্ত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়-ডাঃ তাহের

ময়মনসিংহ জিলা মটর মালিক সমিতির নতুন কমিটিকে ঘিরে উত্তেজনা, প্রশাসক নিয়োগ দিলেন ডিসি

ময়মনসিংহ জিলা মটর মালিক সমিতির নতুন কমিটিকে ঘিরে উত্তেজনা, প্রশাসক নিয়োগ দিলেন ডিসি