ঢাকা   বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারি ২০২৫ | ২৫ পৌষ ১৪৩১

দীপু মনির সাম্রাজ্য চাঁদপুর ছিল অনিয়ম দুর্নীতিতে নিমজ্জিত

Daily Inqilab চাঁদপুর থেকে স্টাফ রিপোর্টার

১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০১:০৯ পিএম | আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০১:০৯ পিএম

আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতার টানা চার মেয়াদে চাঁদপুরে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করেছিলেন সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য দীপু মনি। সর্বমহলেই একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ ছিল তার। তার মতের বাইরে গেলেই নানাভাবে হুমকি-ধামকির শিকার হতে হতো। নিজ দলীয় নেতাকর্মী থেকে শুরু করে প্রশাসনের কর্মকর্তারাও তার হয়রানি থেকে মুক্তি পায়নি।

তার ভাই টিপুর কব্জায় থাকা ৪৮.৫২একর সরকারি সম্পদ উদ্ধার করতে গিয়ে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে চাঁদপুর ছাড়তে হয় জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিসকে। তার অবৈধ নির্দেশ পালন না করায় বছরের মাথায় বদলি করা হয় জেলা প্রশাসক বিশ্বাস মোঃ আজিম উদ্দিনকে। দীপু মনি সিন্ডিকেটের অনিয়ম দুনীতির খবর চেপে রাখতে কথিত ৬ খলিফা নিয়োগ করেন। তাতেও কাজ না হওয়ায় জাতীয় এবং স্থানীয় অন্তত ৬টি পত্রিকা ও ২০জন সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা করে বছরের পর বছর হয়রানি করা হয়। বিশেষ করে দৈনিক ইনকিলাবের বিরুদ্ধে ২টি, দৈনিক যুগান্তরের বিরুদ্ধে ২টি, দৈনিক মানব জমিনের বিরুদ্ধে ১টি, স্থানীয় পত্রিকা দৈনিক চাঁদপুর প্রতিদিনের বিরুদ্ধে ১টি মামলা করা হয়। স্থানীয় পত্রিকা দৈনিক আমার চাঁদপুর এর ডিক্লারেশন বাতিল করা হয়।

মেঘনার ভাঙ্গন থেকে চাঁদপুর ও হাইমচর উপজেলাকে রক্ষায় বিভিন্ন মেয়াদে প্রায় সাড়ে ৫শ’ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়। যার সিংহভাগ অর্থ লুটেপুটে খেয়েছে দীপু মনির সিন্ডিকেট। ফলে প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে ভাঙ্গনের কবলে পড়ে চাঁদপুর শহর ও হাইমচর মানচিত্র থেকে খসে পড়ছে।

চাঁদপুর পদ্মা ও মেঘনার ডুবোচর থেকে ফ্রি-স্টাইলে বালু উত্তোলনেও ছিল দীপু মনির লুলুপ দৃষ্টি। তার ঘনিষ্ঠ লোক হিসাবে পরিচিত লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও চলচ্চিত্র নির্মাতা সেলিম খানকে সেই বালু তুলতে উৎসাহী করেন তিনি। সেলিম খানের পক্ষে বালি উত্তোলনের জন্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে কয়েক বছরে ১৫টি ডিউ লেটার দেন দীপু মনি। বিনিময়ে তার ভাই টিপুু সেলিম খান থেকে নিয়েছেন শত কোটি টাকা। মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তোলার প্রতিবাদ যারাই করেছেন তারাই দীপু মনির রোষানলে পড়েছেন। চাঁদপুরে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে দীপু মনির বিরোধ ও দূরত্ব বাড়ে শুধু বালু উত্তোলন নিয়ে প্রতিবাদ করায়।

নদী রক্ষা কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী বালু তোলার সমালোচনা করে পদ হারান। ২০২৩ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর বিশ্ব নদী দিবসের আলোচনায় তিনি বলেন, মেঘনায় অবৈধভাবে যারা বালু উত্তোলন করছেন, তাদের সঙ্গে চাঁদপুরের একজন নারী মন্ত্রীর সম্পর্ক আছে। এর দুদিন পরই মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যানের পদ থেকে তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

দীপু মনি শিক্ষামন্ত্রী হওয়ার দুই মাসের মাথায় খোদ চাঁদপুর সরকারি হাসান আলী ও মাতৃপীঠ সরকারি হাইস্কুলের দশ জন অভিজ্ঞ শিক্ষককে দেশের দুর্গম এলাকায় এক চিঠিতে তাৎক্ষণিক বদলি করা হয়। কোন অভিযোগ না থাকলেও জামায়াত-বিএনপি তকমা লাগিয়ে তাদেরকে স্ট্যান্ড রিলিজ করানো হয়। ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিকুলাম নিয়ে বক্তব্য রাখায় চাঁদপুর মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয় ইংরেজি শিক্ষক মো. মাসুদুর রহমানকে।

দীপু মনি আওয়ামী লীগের টানা চার মেয়াদে মধ্যে তিন মেয়াদে ছিলেন মন্ত্রী। সেই সাথে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক হওয়ায় তিনি হয়ে ওঠেন একছত্র ক্ষমতাধর। দেশে-বিদেশে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন বলে খবর চাউর রয়েছে। চাঁদপুর জেলা শহরে পৌরসভার একটি আবাসিক ভবনে একটি ফ্ল্যাট ক্রয় করলেও দখলে নিয়েছেন ৪টি ফ্ল্যাট। আমেরিকা ও কানাডায় রয়েছে তার অঢেল সম্পদ। কানাডায় তার অবৈধ সম্পদ দেখভাল করেন সাবেক এপিএস মোঃ মকসুদ খান।

দীপু মনি পররাষ্ট্র মন্ত্রী থাকাকালীন কানাডায় অটোয়ায় বাংলাদেশ হাই কমিশনে তার এপিএস মোঃ মকসুদ খানকে কাউন্সেলর/ফাস্ট সেক্রেটারী নিয়োগ দেন। দুনীতি দমন কমিশন ২০১৭ সালে জ্ঞাত আয় বহিভূত বিপুল পরিমান সম্পদ অজনের অভিযোগে কানাডার বাংলাদেশ হাই কমিশনের ফাস্ট সেক্রেটারী মোঃ মকসুদ খানের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেন। তদন্তে অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির জন্য আদালতে আবেদন করেন। এ ঘটনার পর মোঃ মকসুদ খান বাংলাদেশ হাই কমিশনের ফাস্ট সেক্রেটারী পদ ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যান। তখন থেকে তিনি সপরিবারে কানাডায় অজ্ঞাত স্থানে বসবাস করছেন।

দীপু মনি শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্বে থাকাকালীন চাঁদপুরে তার বাসায় বসতো তদবির-বাণিজ্যের হাট। সর্বনিম্ন দুই লাখ থেকে সর্বোচ্চ ২০ লাখ টাকায় বেচাবিক্রি হতো শিক্ষা প্রশাসনের নানা পদ। ঘুস-দুর্নীতি ছিল ‘ওপেন সিক্রেট’। শিক্ষামন্ত্রীর ক্ষমতার অপব্যবহার করার সুযোগে চাঁদপুরে প্রায়ই চলে আসতেন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য, বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান, শিক্ষা অধিদপ্তরের ডিজি থেকে শুরু করে শিক্ষা বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।

শিক্ষা খাতে ঘুস-দুর্নীতির বিষয় দীপু মনির ভাই টিপু ছাড়াও স্থানীয়ভাবে দেখতেন চাঁদপুর পুরানবাজার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার। তারা দুজন মিলে সব বদলি, নিয়োগসহ মন্ত্রণালয়ের নানা কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। তদবির-বাণিজ্যের জন্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি মশিউর রহমান অন্তত অর্ধশতবার চাঁদপুরে দীপু মনির বাসায় আসেন। তদবির বাণিজ্যের এসব টাকা সংশ্লিষ্টদের পৌছে দেয়া লাগতো কানাডায় মোঃ মকসুদ খানের কাছে।

হয়রানির স্বীকার একাধিক শিক্ষক জানান, রাজধানী কলাবাগান ও বনানীতে ছায়া অফিসের মাধ্যমে দীপু মনির মন্ত্রণালয়ের অনেক কিছু নিয়ন্ত্রণ করত তার ভাই টিপুর নেতৃত্বে গড়ে ওঠা সিন্ডিকেট। ওই সিন্ডিকেট সারা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষকদের এমপিওভূক্তি নিয়ন্ত্রন করতো। শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের (ইইডি) পুরো নিয়ন্ত্রণ ছিল দীপু মনির ভাই টিপুর হাতে। এ খাতে সব ঠিকাদারকে ৫ শতাংশ কমিশন দিয়ে কাজ নিতে হতো।

চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য শুধু জমি অধিগ্রহণে ৩৫৯কোটি টাকা দুর্নীতির পাঁয়তারা করেন দীপু মনি ও ভাই টিপুসহ স্বজনরা। বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য ভূমি অধিগ্রহণের আগেই সেখানকার সাড়ে ৬২ একর জমি মৌজা দরের চেয়ে ২০ গুণ বেশি দাম দেখিয়ে দলিল করে নেন টিপু ও তার নিকট আত্মীয়রা। তারা ভূমি অধিগ্রহণে প্রশাসনিক অনুমোদনের আগেই চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নে জায়গা ঠিক করে নিজেদের নামে দলিল করিয়ে নেন। পরবর্তী সময়ে সেসব জমি জেলা প্রশাসনকে অধিগ্রহণের জন্য বলে। অধিগ্রহণের বিরোধিতা করেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিস। তিনি চাঁদপুরে দীপু মনির ভাইসহ আওয়ামী লীগের একাধিক নেতাকর্মীর জমি দখলের বিরুদ্ধে অবস্থানের জন্য আলোচিত ছিলেন।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দীপু মনি ও তার ভাই টিপুর আশীর্বাদপুষ্ট চাঁদপুর পৌর সভার মেয়রসহ ২০ কাউন্সিলর এবং তার নির্বাচনী এলাকার দুটি উপজেলার ১৯জন ইউপি চেয়ারম্যান গা ঢাকা দেয়। স্থবির হয়ে পড়ে নাগরিক সেবা কার্যক্রম। এ সব মেয়র, কাউন্সিলর ও ইউপি চেয়ারম্যানরা সাবেক মন্ত্রী দীপু মনি ও টিপুর কোটি কোটি টাকার মনোনয়ন বাণিজ্যে এক দলীয় ভোটে নির্বাচিত হয়েছিলেন। বঞ্চিত হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের অনেক ত্যাগি নেতা। আর এ কারনেই জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের সমর্থিত কোন প্রার্থীকে একদলীয় ঐ নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার সুযোগ দেয়া হয়নি। বর্তমানে আত্মগোপনে থাকা ঐ সব জনপ্রতিনিধিদের কাছে ছিল সাধারণ মানুষ জিম্মি।

ফ্যাসিবাদী হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর গা ঢাকা দেন দীপু মনি। তার সাম্রাজ্য ভেঙ্গে পড়ায় পালিয়ে যায় তার দোসররাও। প্রায় দু সপ্তাহ পালিয়ে থাকার পর ১৯ আগস্ট ‘০২ রাজধানীর বারিধারা এলাকা থেকে ডা. দীপু মনিকে আটক করে ঢাকা মহানগর পুলিশ। কয়েক দফা রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে রাখা হয়। ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালীন জুলাই-আগস্টের গণহত্যার সাথে জড়িত দীপু মনিকে গত ১৮ নভেম্বর ‘২৪ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।


বিভাগ : বাংলাদেশ


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

ইন্দোনেশিয়ার নতুন কোচ ক্লাইভার্ট

ইন্দোনেশিয়ার নতুন কোচ ক্লাইভার্ট

কোপ দেলরের শেষ ষোলোতে কে কার মুখোমুখি

কোপ দেলরের শেষ ষোলোতে কে কার মুখোমুখি

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন গাপটিল

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন গাপটিল

পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় ভোগান্তি লাখো মানুষের

পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় ভোগান্তি লাখো মানুষের

ভোগান্তিতে সেবা নিতে আসা জনসাধারণ

ভোগান্তিতে সেবা নিতে আসা জনসাধারণ

আদমদীঘিতে ফসলি জমিতে ফের কোল্ড স্টোর নির্মাণ

আদমদীঘিতে ফসলি জমিতে ফের কোল্ড স্টোর নির্মাণ

পদ্মার চরে শিকারিদের কবলে অতিথি পাখি

পদ্মার চরে শিকারিদের কবলে অতিথি পাখি

বাগেরহাটে বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ ৮ বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, আহত ২০

বাগেরহাটে বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ ৮ বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, আহত ২০

গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি সোসাইটির নতুন কমিটি গঠন

গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি সোসাইটির নতুন কমিটি গঠন

বিপন্ন প্রজাতির হনুমান পাচারকালে ২ জনের কারাদ-

বিপন্ন প্রজাতির হনুমান পাচারকালে ২ জনের কারাদ-

মিরপুরে তুরাগ নদী এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান

মিরপুরে তুরাগ নদী এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান

৪৮ ঘণ্টা পরও লাশ ফেরত দেয়নি বিএসএফ

৪৮ ঘণ্টা পরও লাশ ফেরত দেয়নি বিএসএফ

ঢাকা বিমানবন্দরে পাখির আঘাতের হার বৈশ্বিক গড়ের চেয়ে বেশি

ঢাকা বিমানবন্দরে পাখির আঘাতের হার বৈশ্বিক গড়ের চেয়ে বেশি

ভারত আইনের শাসন মানে না : রিজভী

ভারত আইনের শাসন মানে না : রিজভী

ভয়াবহ দাবানলে ছাড়খাড় লস অ্যাঞ্জেলেস

ভয়াবহ দাবানলে ছাড়খাড় লস অ্যাঞ্জেলেস

সরকারের সঙ্গে আলোচনার নির্দেশনা ইমরান খানের

সরকারের সঙ্গে আলোচনার নির্দেশনা ইমরান খানের

‘উন্নয়ন চাইলেও গণতন্ত্র দরকার সংস্কার চাইলেও গণতন্ত্র দরকার’ : বিএনপি শীর্ষ নেতা নজরুল ইসলাম খান

‘উন্নয়ন চাইলেও গণতন্ত্র দরকার সংস্কার চাইলেও গণতন্ত্র দরকার’ : বিএনপি শীর্ষ নেতা নজরুল ইসলাম খান

ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তাকে ছুরিকাঘাত

ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তাকে ছুরিকাঘাত

সচিবালয়ের সামনে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

সচিবালয়ের সামনে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

আওয়ামী সরকারের অসহযোগীতায় ব্রাজিল থেকে গরুর গোশত আমদানি করা সম্ভব হয়নি : রাষ্ট্রদূত

আওয়ামী সরকারের অসহযোগীতায় ব্রাজিল থেকে গরুর গোশত আমদানি করা সম্ভব হয়নি : রাষ্ট্রদূত