নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে ৫ বছরেও কাজে আসেনি ৩০ কোটি ৫০ লাখ টাকার ভবন
২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৮ পিএম | আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৮ পিএম
নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালটি চিকিৎসা সেবার একমাত্র ভরসা জেলার ২২ লাখ মানুষের। ২৫০ শয্যার হাসপাতালটির কার্যক্রম চলছে ১৫০ শয্যা দিয়ে। প্রতিনিয়ত রোগীর চাপে শয্যা সংকটে ভোগান্তি বাড়লেও পাঁচ বছরের অধিক সময় ধরে পড়ে আছে ৩০ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত নতুন একটি ভবন।
২০১১ সালে জেলার সদর হাসপাতালটি ১০০ শয্যা থেকে জেনারেল হাসপাতাল হিসেবে ২৫০ শয্যায় উন্নীত হয়। এরপর শয্যা বাড়াতে ২০১৩ সালে ৩০ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে নতুন একটি ভবন নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। সে বছরের ২৫ জুলাই নির্মাণকাজ শুরু হলে সমাপ্তে পেরিয়ে যায় পাঁচ বছরের অধিক সময়। আটতলা ভিত্তির ছয়তলা নির্মাণকাজ শেষে ২০১৯ সালের ৯ এপ্রিল হস্তান্তর হয়। এরপর থেকে শুধুমাত্র আসবাবপত্র আর শয্যার অভাবে পাঁচ বছরের অধিক সময় পড়ে আছে ভবনটি। ফলে পুরাতন ১০০ শয্যার অবকাঠামোতে আরো ৫০ শয্যা বৃদ্ধি করে ১৫০ শয্যায় গাদাগাদি করে চললে চিকিৎসা সেবা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে হাসপাতালের ১০০ শয্যার পুরাতন দ্বিতল একটি ভবনে চলছে রোগীর চিকিৎসা কার্যক্রম। রোগীর চাপ বাড়ায় ওই অবকাঠামোতে বৃদ্ধি করা হয়েছে আরও ৫০টি শয্যা। এরপরও শয্যা সংকটে ওয়ার্ডের মেঝে এবং বারান্দায় ঠাঁই হয়েছে আগত রোগীর। এমন চিত্রটি প্রতিদিনের বলে জানান কর্মরতরা। পুরাতন ওই ভবনটির পাশে দাঁড়িয়ে আছে সাত তলার একটি নতুন ভবন। আটতলা ভিত্তির ছয়তলা নির্মাণ করা হয় প্রথম দফায়। এরপর সম্প্রতি উন্নীত হয় সাত তলায়। নতুন ওই ভবনের প্রথম এবং দ্বিতীয় তলায় আউটডোর এবং অফিসিয়াল কিছু কার্যক্রম পরিলক্ষিত হয়। আসবাবপত্র এবং শয্যার অভাবে চালু হয়নি সেখানে নির্মিত বিভিন্ন ওয়ার্ড।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালে কর্মরত এক সেবিকা বলেন, ‘২৫০ শয্যার এ হাসপাতালে এখন ১৫০ খানা বিছানা আছে। অতিরিক্ত রোগীর চাঁদর নেই, কম্বল নেই, খাট নেই। এজন্য বারান্দা এবং মেঝেতে রোগী রাখতে হচ্ছে। এতে করে রোগীর যেমন ভোগান্তি তেমনি কর্তব্যরতরা নানা সমস্যায় পড়েন’।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. আবু আল হাজ্জাজ জানান, নতুন ভবনের হস্তান্তরের কিছুদিন পর করোনা মহামারী শুরু হয়। তখন ওই নতুন ভবনে আইসোলেশন সেন্টার করা হয়েছিল। এসময় সেটিতে সেন্ট্রাল অক্সিজেন ব্যবস্থা চালু করা হয়। এখন নতুন ভবনে জরুরী বিভাগ, ফার্মেসি, টিকেট কাউন্টারসহ কয়েকটি বিভাগ চালু করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় বিছানাসহ আসবাবপত্র ও যন্ত্রপাতি স্থাপন না হওয়ায় সেখানে রোগী নেয়া যাচ্ছে না।
তিনি বলেন, ‘ভবনটির ছয় তলা পর্যন্ত কাজ শেষে সপ্তম তলার কাজ চলমান আছে। অষ্টম তলার বরাদ্দ হলে সেখানে ৪০টি কেবিন হবে। সপ্তম তলায় থাকবে তিনটি ইউনিট।
এর মধ্যে ১০ শয্যার আইসিইউ বেড, ২০ বেডের আইসোলেশন ওয়ার্ড ও ১০ শয্যার কিডনি ডায়ালাসিস বেড থাকবে। সবমিলে নতুন ভবনে ৮০টি শয্যার জন্য আসবাবপত্রসহ অন্যান্য মালামাল ক্রয়ের টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে ইতিমধ্যে। আশা করছি আগামী মাসের মধ্যে সেটি চালু করা সম্ভব হবে’।
রোগীর চাপের বিষয়ে বলেন,‘বহির্বিভাগে প্রতিদিন গড়ে এক হাজার রোগী দেখতে হয়। জরুরী বিভাগেও প্রতিদিন গড়ে ২৫০ থেকে ৩০০ রোগী দেখতে হয়। ৫৮জন চিকিৎসকের পদে কর্মরত আছেন ২৭জন। সেবিকা সমস্যা না থাকলেও সংকট আছে পরিচ্ছন্নতা কর্মীর। এ পদে ৪৪ জনের স্থলে আছেন ২২জন’।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
লিটনকে বাদ দেওয়ার যে ব্যাখ্যা দিলেন প্রধান নির্বাচক
টেকনাফ জিবির অভিযানে ২লাখ ৫০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার
মোংলায় স্কুল থেকে ফেরার পথে ট্রেনে কাটা পড়ে শিক্ষার্থী নিহত
পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের এমডি ও পিডিকে অপসারণ সহ ৯ দফা দাবিতে ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্তদের মানববন্ধন
পাকিস্তানিদের জন্য ভিসা সহজ করল বাংলাদেশ
ওজন কমাও মাসুদ, না হলে মানুষ মাংস কেটে নেবে!
৭৫-এর বীরদের নিয়ে যে বার্তা দিলেন সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন
সম্মেলন নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে বিএনপি সভাপতি নিহত
কিশোরগঞ্জে অটোরিকশা চালকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার
জামায়াতের ৫-১৫% বেশি ভোট নিয়ে আমার সন্দেহ আছে, যা বললেন ফাহাম
বিকাশের দোকানে হামলা করে ১০ লাখ টাকা নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ
ঝালকাঠিতে চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের মানববন্ধন
মাগুরায় সরিষা ক্ষেতে মৌমাছির মাধ্যমে মধু আহরণ জনপ্রিয় হচ্ছে
নগরকান্দায় বাস-ট্রাক সংঘর্ষে দুইজন নিহত
হাত বদলে দাম বাড়ে সবজিতে, নিরুপায় ক্রেতা
সিরিয়ার পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামির
না ফেরার দেশে সংগীতশিল্পী স্যাম মুর
এবার বাংলাদেশেও এইচএমপিভি শনাক্ত
৫ আগস্ট থেকে মর্গে কাবিলের লাশ, পরনের কাপড় দেখে শনাক্ত করলেন স্ত্রী
তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ভ্যাট বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি বেসিসের