সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের দৌরাত্ন্য
০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:২২ পিএম | আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:২২ পিএম
কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের ভেতরে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের প্রবেশ নিষেধ থাকা সত্ত্বেও তা অমান্য করে তারা দিনের পর দিন হাসপাতাল প্রাঙ্গণে অবস্থান করছেন। সম্প্রতি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের একটি নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কোনো ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি বা ডিলার হাসপাতালের ভেতরে প্রবেশ করতে পারবেন না, তবে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই তারা নিয়মিত হাসপাতালের বিভিন্ন অংশে উপস্থিত থাকে, যার কারণে রোগীরা নানা ধরনের হয়রানি ও দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি সমাধানের আশ্বাস দিলেও বাস্তবে তেমন কোনো পদক্ষেপ এখনও চোখে পড়েনি। সচেতন নাগরিকরা মনে করেন, চিকিৎসকদের একটি দৃঢ় ভূমিকা এই সমস্যা সমাধানে কার্যকর হতে পারে।
হাসপাতালের প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা যায়, চিকিৎসকের কক্ষের সামনে ও ভেতরে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের ভিড় লেগেই থাকে। তারা রোগীদের ব্যবস্থাপত্র নিয়ে টানাহ্যাঁচড়া করতে থাকে এবং রোগীদের সঙ্গে চিকিৎসকরা যখন ব্যস্ত থাকেন, তখন তাদের কার্যক্রমে চিকিৎসাসেবায় ব্যাঘাত ঘটছে। এক শিশু রোগীর মা, আয়েশা খাতুন বলেন, “আমি ডাক্তারের কক্ষে ঢুকেই দেখি ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলছেন। দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর চিকিৎসা নিয়েছি। এছাড়া, কুমারখালী উপজেলা থেকে আসা সাইফুল ইসলাম জানান, “যখন একটি রোগীর ব্যবস্থাপত্র নেওয়া হয়, তখন ৫-১০ জন প্রতিনিধি সেখানে উপস্থিত হয়ে তাদের কোম্পানির ওষুধকে প্রাধান্য দেওয়ার চেষ্টা করেন। অনেক সময় রোগীর স্বজনদের সঙ্গে তাঁদের ঝগড়া হয়ে থাকে।
কুষ্টিয়া সচেতন নাগরিক কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান লাকী বলেন, “চিকিৎসকের সঙ্গে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা তাদের কোম্পানির ওষুধ লিখতে চুক্তি করে থাকেন, যা চিকিৎসকের আন্তরিকতার অভাবের একটি দিক। চিকিৎসক যদি কঠোর হন, তবে কোনো নির্দেশনার প্রয়োজন হয় না।” তিনি আরও বলেন, “রোগীর ব্যবস্থাপত্র হলো তার গোপনীয় বিষয়, কিন্তু কোম্পানির প্রতিনিধিরা তা ছবি তুলে নিচ্ছেন, যা রোগীর গোপনীয়তা লঙ্ঘন করছে। এক বিক্রয় প্রতিনিধি জানান, “প্রতিটি প্রেসক্রিপশনে ওষুধ লেখার জন্য ডাক্তারদের কলম, প্যাড, চাবির রিং থেকে শুরু করে টিভি, ফ্রিজ, নগদ অর্থসহ নানা উপহারসামগ্রী দেওয়া হয়, এবং এর বিনিময়ে তাদের ওষুধ লিখতে হয়। এই ব্যবস্থাপত্রের একটি কপি আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে পাঠাতে হয়।” তিনি জানান, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অনুমতি পাওয়ায় তারা নিয়মিত ভিজিটে আসেন।
ফার্মাসিউটিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ এসোসিয়েশন (ফারিয়া) কুষ্টিয়ার সাধারণ সম্পাদক আবু সালেহ (সম্রাট) বলেন, “যদি ভিজিট বন্ধ করা হয়, তবে চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগের ঘাটতি হবে এবং সম্পর্কের দুরত্ব বাড়বে। তাই আমরা অনুরোধ করছি, আমাদের জন্য নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করা হোক, যাতে সাধারণ রোগীদের কোনো ভোগান্তি না হয়। হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) তাপস কুমার সরকার বলেন, “আমাদের কাছে একটি চিঠি এসেছে যেখানে বলা হয়েছে যে, হাসপাতালে কোনো ওষুধ কোম্পানির কর্মী ঢুকতে পারবেন না। আমরা এ বিষয়ে একটি মিটিং করবো এবং তাদের নিষেধ করে দেব যাতে তারা হাসপাতালে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না করে।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগের বিচার করতে হবে আগে : হাসনাত আব্দুল্লাহ
বাংলাদেশের নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে কথা বলতে চায় না জাতিসংঘ
বেগমগঞ্জে তারুণ্যের উৎসব-২০২৫ আলোচনা সভা ও পুরুষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠিত
মডেল তিন্নি হত্যা মামলা: খালাস পেলেন সাবেক সংসদ সদস্য অভি
ফতুল্লায় শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ
টানা ৪০ রাতের পর সূর্যোদয়
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এসকে সুর গ্রেফতার
বগুড়ার নন্দীগ্রামে তারুণ্যের ফুটবল প্রতিযোগিতার উৎসব
দেশে অবস্থানরত অবৈধ বিদেশি নাগরিকদের আবারও সতর্ক করল সরকার
কালীগঞ্জে জাতীয় বিজ্ঞান মেলার পুরস্কার বিতরণী ও সমাপনী
বাউফলে উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়কের বহিষ্কার দাবি
স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের খবর জানালেন জয়
খালেদা জিয়া অনেকটা ভালো আছেন : মির্জা ফখরুল
সুস্থ প্রতিযোগিতা না থাকলে গণমাধ্যমের স্বাভাবিক বিকাশ হবেনা- কমিশন প্রধান
সিংগাইরে স্থানীয় সরকার সংস্কার বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
মালি আছে, বাগান নেই
পাকিস্তান থেকে চাল আমদানি করবে বাংলাদেশ
নতুন খেলোয়াড় চান গুয়ার্দিওলা
এস আলমের ৬৮ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ, জব্দ ১৬ সম্পদ
সিলেটসহ দেশের পাথর ও বালু মহাল নিয়ে সরকারের যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত