শেরপুরে চাঞ্চল্যকর এরশাদ কবিরাজ হত্যার রহস্য উদঘাটন করলো পুলিশ
০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:২৫ পিএম | আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:২৫ পিএম
শেরপুরের চাঞ্চল্যকর এরশাদ আলী (৫৮) কবিরাজ হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। মাত্র সাড়ে তিন লাখ টাকা কন্ট্রাকে হত্যা করা হয় এরশাদ কবিরাজকে। এরশাদ কবিরাজের সমন্ধী আব্দুল মোতালেব এই ভাড়াটিয়াদের দিয়ে তাকে জবাই করে খুন করায়। হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ৫ জনকে এপর্যন্ত গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এরমধ্যে আজ ৪ ডিসেম্বর ভোরে শেরপুর ও জামালপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে পুলিশ এ হত্যাকান্ডের মাষ্টার মাইন্ড আঃ মোতালেব (৫৬), হানিফ মিয়া (২৭) ও শহিদুল ইসলাম (৪৫)কে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তারকৃত আঃ মোতালেব শেরপুর সদর উপজেলার চরমুচারিয়া মাঝপাড়ার মোঃ ওয়াহেদ আলীর ছেলে এবং এরশাদ কবিরাজের সম্বন্ধি, হানিফ মিয়া একই উপজেলার ডাকপাড়ার লেবু মিয়ার ছেলে এবং শহিদুল ইসলাম পার্শ্ববর্তী জামালপুর জেলা সদরের শরিফপুর ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের মৃত লাল মাহমুদের ছেলে।
এর আগে গ্রেপ্তার হয়ে আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে আব্দুর রশিদ ও ছানোয়ার হোসেন।
পুলিশ সূত্রে জানাযায়, শেরপুর সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের কাজিরচর গ্রামের মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে এরশাদ কবিরাজ বিভিন্ন স্থানে কবিরাজি চিকিৎসা করতো ও ঝারফোক দিতো। বেশ কিছুদিন আগে তার সম্বন্ধি আঃ মোতালেবের ছেলে শিমুল অসুস্থ হয়ে অসংলগ্ন আচরণ শুরু করে। এতে তার (মোতালেবের) সন্দেহ হয় এরশাদ কবিরাজ জাদু করে তার ছেলেকে পাগল বানাইছে। সম্প্রতি ঝড়ে মোতালেবের মেয়ের ঘর ভেঙে যায়। এতেও এরশাদ কবিরাজের জাদুকেই দায়ী করে মোতালেব। এই জেদেবশবর্তী হয়েই এরশাদ কবিরাজকে খুন করার পরিকল্পনা করে আঃ মোতালেব। সে হানিফ ও শহিদুলের মধ্যস্থতায় স্থানীয় ময়নাল সাধুর সাথে এরশাদ কবিরাজকে খুন করার জন্য সাড়ে তিন লাখ টাকার চুক্তি করে। চুক্তি মোতাবেক ময়নাল সাধু এরশাদ কবিরাজকে গত ১৭ অক্টোবর নিজ বাড়ি থেকে কৌশলে ডেকে নিয়ে যায়। ডেকে নিয়ে আব্দুর রশিদ, হানিফ ও ছানোয়ারের সহযোগিতায় এরশাদ কবিরাজকে শেরপুর ব্রক্ষপুত্র সেতুর নীচে বালুচরে হাত-পা বেঁধে জবাই করে খুন করার পর সেখানেই বালু চাপা দিয়ে রাখে। এর পাঁচ দিনের মাথায় ঘটনাস্থল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এরশাদ আলী কবিরাজ পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিলো জমিজমা নিয়ে প্রতিবেশীদের সাথে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়েও তিনি খুন হতে পারেন।
এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে অজ্ঞাতদের আসামি করে শেরপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। এরপর থেকেই পুলিশ তদন্ত শুরু করে। তদন্তের একপর্যায়ে সন্দেহ ভাজন আব্দুর রশিদ ও ছানোয়ার হোসেনকে সম্প্রতি গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের কাছ থেকেই বেরিয়ে আসে মূল রহস্য। পুলিশ বিষয়টি গোপন রেখে গ্রেপ্তার অভিযান চালিয়ে আজ ৪ ডিসেম্বর ভোরে মোতালেব, হানিফ মিয়া ও শহিদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। জিজ্ঞেসাবাদে তারা ঘটনার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।
এ ব্যাপারে শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জুবাইদুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শুরু থেকেই পুলিশ পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়ে সতর্কতার সাথে মামলাটি তদন্ত শুরু করে। ইতিমধ্যে রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে এবং বেশিরভাগ আসামিরা গ্রেপ্তার হয়েছে। তারা পুলিশের কাছে ও আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
সউদী আরবকে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগের আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের
গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত আরও ৩৬
যুক্তরাষ্ট্রে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ রফতানিতে চীনের নিষেধাজ্ঞা
বিক্ষোভের মুখে প্রত্যাহার দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক আইন
সিরিয়ার প্রেসিডেন্টকে সতর্ক করে যা বললেন এরদোগান
নভেম্বরে রপ্তানি আয় বেড়েছে ১৫.৬৩ শতাংশ
সৈয়দপুরে পিকআপের ধাক্কায় এক শ্রমিক নিহত
শিক্ষার্থীদের মারধর ও শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে শ্রমিকদের সঙ্গে খুবি শিক্ষার্থীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতীয় ষড়যন্ত্র বরদাস্ত করা হবে না : বিক্ষোভ মিছিলে খেলাফত আন্দোলন
আগরতলায় সহকারি হাইকমিশনে উগ্রবাদীদের হামলার প্রতিবাদে চাঁদপুরে খেলাফত মজলিস বিক্ষোভ
বগুড়ায় ম্যাজিষ্ট্রেটের সিল-স্বাক্ষর জাল করার অভিযোগে ৩ প্রতারক গ্রেফতার
পিলখানা হত্যা, শাপলা চত্বরে গণহত্যা ও ২৪'র গণহত্যার বিচারের জন্য ছাত্র ঐক্যের প্রয়োজন: শিবির সভাপতি
‘কুটনীতিকদের উপর আক্রমণ করে ভারত নিজেদের অসভ্য জাতি হিসেবে পরিচয় দিয়েছে’
ষড়যন্ত্র রুখতে সরকারের পাশে থাকবে বিএনপি
ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ইস্যু নিয়ে ব্যাপক মিথ্যা ও অপতথ্য ছড়ানোয় বিএফইউজে ও ডিইউজের উদ্বেগ
স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য
ইনকিলাব সাংবাদিকের বাসায় দুর্ধর্ষ চুরি
পঞ্চগড়ে বিএনপির আনন্দ মিছিল
অব্যবহৃত মসজিদ বা তার জায়গা সংরক্ষণ করা প্রসঙ্গে?
চা শ্রমিকের ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত করুন