সংকট কাটিয়ে আশার আলো রাকসু ঘিরে, নির্বাচনের আশ্বাস রাবি প্রশাসনের

Daily Inqilab রাবি সংবাদদাতা

০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০২ এএম | আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০২ এএম

১৯৮৯ সালে শেষবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে ভোট দিয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা। তারপর কেটে গেছে ৩৪ বছর। আলোচনা, আন্দোলন, ও আল্টিমেটামের পরও হয়নি নতুন নির্বাচন। তবে জুলাই বিপ্লবের পর শিক্ষার্থীরা ফের আশায় বুক বাঁধছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ও রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনগুলোর সাথে মিলে রূপরেখা প্রণয়নের কাজ শুরু করেছে।

 

দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা রাকসু নির্বাচন নিয়ে শিক্ষার্থীদের জানাশোনা খুবই সীমিত। এমনকি অনেক শিক্ষকও রাকসু গঠনতন্ত্র সম্পর্কে অজ্ঞ। ফলে রাকসু একটি ধোঁয়াশাপূর্ণ নাম হয়ে দাঁড়িয়েছে।

 

শিক্ষার্থীদের মনে ঘুরপাক খাচ্ছে একাধিক প্রশ্ন—রাকসু কি? এটি কেন প্রয়োজন? গঠনতন্ত্র কি সংস্কার হবে? নির্বাচন প্যানেলে হবে নাকি স্বতন্ত্রভাবে? সাবেক শিক্ষার্থীরা কি অংশ নিতে পারবেন? রাকসুর ইতিহাস রক্তাক্ত; এবারও কি সহিংসতা হবে? সুষ্ঠু নির্বাচন কি আদৌ সম্ভব? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন উৎসুক শিক্ষার্থীরা।

 

রাকসু আন্দোলন মঞ্চের যুগ্ম-আহ্বায়ক মাহমুদ সাকী জানান, ১৯৭৩-এর অধ্যাদেশ অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে রাকসু কার্যকর থাকা জরুরি। রাকসুর গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, প্রতি বছর ভোটের মাধ্যমে ২১ জন প্রতিনিধি নির্বাচিত হন, যা শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষা, সমস্যার সমাধান, সিনেটে প্রতিনিধিত্ব, এবং সাংস্কৃতিক-সামাজিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তবে দীর্ঘদিন নির্বাচন না হওয়া ও পূর্বের নেতিবাচক অভিজ্ঞতা নিয়ে শিক্ষার্থীদের শঙ্কা স্বাভাবিক। তিনি আশা প্রকাশ করেন, প্রশাসন সময়োপযোগী গঠনতন্ত্র সংস্কার করে সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করবে।

এবিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ফাহিম রেজা বলেন, রাকসু নির্বাচন নিয়ে আলাপ-আলোচনা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আমরা বিশ্বাস করি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের যথেষ্ট সদিচ্ছা রয়েছে। নির্বাচন নিয়ে আমি শতভাগ আশাবাদী কারণ শিক্ষার্থীদের সকলেই এ বিষয়ে সচেতন। রাকসু নির্বাচন না হলে শিক্ষার্থীরা বসে থাকবে না এটা আমাদের সবচেয়ে বড় সম্ভাবনা। পাশাপাশি আমাদের গঠনতন্ত্র একটি বড় সংকট, নির্বাচনকালীন সময়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অন্যতম সংকট ও চ্যালেঞ্জ হতে পারে।

এবিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেন, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক সংগঠন থেকে যেসব পরামর্শ এসেছে সেগুলোর আলোকে কিভাবে রাকসু নির্বাচন সাজানো যায় সেটার কাজ চলছে। পাশাপাশি অর্ডিনেন্সের সংস্কার কাজও চলমান রয়েছে।

নির্বাচন কেন্দ্রিক সংকট ও সম্ভাবনার ব্যাপারে তিনি আরো বলেন, নানা সংকট ও সম্ভাবনা রয়েছে। অবশ্যই এটা অনেক বড় একটা চ্যালেঞ্জ। আমরা এ চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে চাই।


বিভাগ : বাংলাদেশ


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

বন্ধুদের মিলনমেলায় আনন্দ উচ্ছ্বাসে মেতেছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল

বন্ধুদের মিলনমেলায় আনন্দ উচ্ছ্বাসে মেতেছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

সাভারে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ২৫ লাখ টাকার তেলসহ পিকআপ ছিনতাই

কালীগঞ্জে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রশাসনের কম্বল  বিতরণ

কালীগঞ্জে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রশাসনের কম্বল বিতরণ

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হলে কোন সংস্কার কাজে আসবে না :  বাম গণতান্ত্রিক জোট

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হলে কোন সংস্কার কাজে আসবে না : বাম গণতান্ত্রিক জোট

সিংগাইরে "তারুণ্যের ভাবনা,আগামীর বাংলাদেশ"শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

সিংগাইরে "তারুণ্যের ভাবনা,আগামীর বাংলাদেশ"শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

ফুলপুরে অবৈধ ইট ভাটায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, ৯ লাখ টাকা জরিমানা

ফুলপুরে অবৈধ ইট ভাটায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, ৯ লাখ টাকা জরিমানা

লস অ্যাঞ্জেলেসের মতো ‘পাপের নগরী’ ধ্বংসে যে সতর্কবার্তা রয়েছে ইসলামে

লস অ্যাঞ্জেলেসের মতো ‘পাপের নগরী’ ধ্বংসে যে সতর্কবার্তা রয়েছে ইসলামে

তরুণদের মাঝে সাড়া জাগিয়েছে এবারের বিপিএল

তরুণদের মাঝে সাড়া জাগিয়েছে এবারের বিপিএল

বাংলাদেশের সঙ্গে শক্তিশালী প্রতিরক্ষা জোট গড়তে চায় পাকিস্তান

বাংলাদেশের সঙ্গে শক্তিশালী প্রতিরক্ষা জোট গড়তে চায় পাকিস্তান

মির্জাপুরে ৭ দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের লিফলেট বিতরণ

মির্জাপুরে ৭ দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের লিফলেট বিতরণ

সংস্কার কমিশনগুলোর প্রতিবেদনের ভিত্তিতে জনআকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন হবে: আসিফ মাহমুদ

সংস্কার কমিশনগুলোর প্রতিবেদনের ভিত্তিতে জনআকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন হবে: আসিফ মাহমুদ

জাকারবার্গের ‘অনিচ্ছাকৃত’ মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইলো মেটা ইন্ডিয়া

জাকারবার্গের ‘অনিচ্ছাকৃত’ মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইলো মেটা ইন্ডিয়া

শেরপুরে ফুটপাত কাম ড্রেন, ইউনিক সোল্ডার ও সড়কবাতি কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন

শেরপুরে ফুটপাত কাম ড্রেন, ইউনিক সোল্ডার ও সড়কবাতি কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন

মানববন্ধন থেকে অতিরিক্ত ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি খেলাফত আন্দোলনের

মানববন্ধন থেকে অতিরিক্ত ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি খেলাফত আন্দোলনের

মাদারীপুরে আইনজীবীদের শীতকালীন  ক্রিকেট খেলা

মাদারীপুরে আইনজীবীদের শীতকালীন ক্রিকেট খেলা

কমলনগরে হার্ভেস্টার মেশিনের ধাক্কায় শিশু নিহত

কমলনগরে হার্ভেস্টার মেশিনের ধাক্কায় শিশু নিহত

পদ ফিরে পেলেন মির্জাপুর উপজেলা কৃষক দল আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর মৃধা

পদ ফিরে পেলেন মির্জাপুর উপজেলা কৃষক দল আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর মৃধা

রেস্তোরাঁর নামেও এস আলম ঋণ নেয় ২৩৪ কোটি টাকা

রেস্তোরাঁর নামেও এস আলম ঋণ নেয় ২৩৪ কোটি টাকা

ঝিনাইদহে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুই এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত

ঝিনাইদহে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুই এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত

টিউলিপের পদত্যাগ: এবার তোপের মুখে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

টিউলিপের পদত্যাগ: এবার তোপের মুখে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী